• প্রথম দিনই প্র্যাক্টিসে মাঠে গোবর পরিষ্কার করেছিলাম। অ্যালেক্স ফার্গুসন কী করতেন?
• জলে ভেসে যাওয়া জিমন্যাসিয়ামে জং ধরা পুরনো জিনিসপত্র গোছাতে হয়েছে।
• যে তরুণরা খাবার দেয়, তাদের হাতে অনেক কষ্ট করে গ্লাভস পরাতে হয়েছে আমায়। অথচ ওখানে প্রচুর লোকে পেটের গণ্ডগোলে ভুগত।
• সচিব আমায় যখন তিন ব্যাক নিয়ে প্রশ্ন তুলতেন, তখন আমরা চার ব্যাকে খেলতাম। উনি যখন বলতেন বেশি ট্রেনিং হচ্ছে না, তখন আসলে লিভারপুলের মতো ট্রেনিং করাতাম। ৩০ ডিগ্রি গরমে প্র্যাক্টিস না করিয়ে ভিতরে করাতাম। সম্ভবত উনি সব বুঝলেও এ নিয়ে প্রশ্ন তুলতেন।
• অর্থ সচিব কোনও দিন খেলেননি, বা কোচিং করাননি। তিনি আমি আসার আগেই সব ফুটবলারকে সই করিয়ে নেন কোনও ডাক্তারি পরীক্ষা ছাড়া। উনি আমায় বলেন, তিন ঘণ্টা প্র্যাক্টিস করাতে। বলেন, ই পি এলের ক্লাবের ট্রেনিং ভারতীয় দলের পক্ষে আদর্শ নয়। এও বলেন, প্রকাশ্যে ফুটবলারদের বিরুদ্ধে বা প্রেসের সামনে না চেঁচাতে। জে লিগের ফুটবলার আনতে চেয়েছিলাম। উনি বলেন, বেঁটে। অথচ ছেলেটা বার্সেলোনার কার্লোস পুওলের সমান লম্বা।
• শেষ ধৈর্যের বাঁধ ভাঙল যখন আমার গোপন রিপোর্ট ফাঁস হয়ে গেল। তার পরে আমাকে না জানিয়ে তিন সদস্যের কমিটি হয়ে গেল। একটা প্রেস রিলিজে আমায় জানানো হল সেটা। অজ্ঞাত কারণে কর্মকর্তারা আমার সঙ্গে কথা বন্ধ করে দিলেন। বার্তা পাঠাতে লাগলেন সাংবাদিকের মাধ্যমে। সেই প্রেসযার সম্পর্কে আমায় বলা হয়েছিল বিশ্বাস না করতে। সেই প্রেসকে ভুল খবর খাওয়ানো হচ্ছিল।
• কমিটির এক জন এসে প্রথম দিনই বলে দিল, প্লেয়াররা ফিট নয়। কোনও বিজ্ঞান সম্মত পদ্ধতিতে বলা হল? না। স্রেফ মত ছুড়ে দেওয়া হল।
• আমায় বলা হয়েছিল, আমি পদত্যাগ না করলে প্লেয়ারদের নথিবদ্ধ করা হবে না। টেকনিক্যাল স্টাফদের হুমকি দেওয়া হল। এটা একেবারে ‘কালচার অফ ফিয়ার’। প্রথম দিন থেকে লোকে আমায় বলত, একে বিশ্বাস করো না, ওকে বিশ্বাস করো না। দুর্ভাগ্য, ওরাই ঠিক। তাই আমি বিশ্বাস করেছিলাম, এখানে হয় হাঁটু মুড়ে আত্মসমর্পণ করতে হবে। কিংবা লড়াই করতে হবে। তাই পদত্যাগ করি।
• ক্লাবে কোনও প্রেস অফিসার নেই। মার্কেটিং ম্যানেজার নেই। ক্লাবের কোনও দোকান নেই।
• ভারত ফুটবলে উঠে দাঁড়াবে যদি ফুটবলের প্রশাসন বদলায়। কিন্তু সেটা আধুনিক হতে হবে। প্রস্তর যুগের নয়।
|
সচিব অঞ্জন মিত্রের পাল্টা |
• ওঁকে তাড়িয়ে দেওয়ার জন্য এত কথা বলছেন। মাইনে দিয়ে দু’বছর রেখে দিলে আমরাই হয়ে যেতাম ভগবান।
• ভারতীয় ফুটবল নিয়ে ওর অভিযোগ থাকলে আসার সাত দিনের মধ্যে বলা উচিত ছিল। ওঁর বক্তব্য গুরুত্ব না দেওয়া ভাল। আগে তো কোনও বিদেশি কোচ এত কথা বলেননি। |
|