|
|
|
|
জোড়া ফাঁড়া থেকে রক্ষা কেন্দ্রীয় দলের |
নিজস্ব সংবাদদাতা • রাঁচি |
যেতে-আসতে দু’-দু’টো ‘ফাঁড়া’ প্রায় কান ঘেঁষে বেরিয়ে গেল! সংক্ষেপে এটাই বলা যায়, উন্নয়নের রূপরেখা তৈরি করতে দিল্লি থেকে আগত কেন্দ্রীয় দলের সারান্ডা সফরের নির্যাস।
গত কাল সকালে রাঁচির কাছে খুঁটির কোবাডের জঙ্গলে বিএসএফের যে হেলিকপ্টারটি ভেঙে পড়ে, সেই হেলিকপ্টারেই দিল্লির ওই আমলাদের কয়েকজনের সারান্ডার গহনে থলকোবাদে যাওয়ার কথা ছিল। রাঁচি থেকে সড়ক-পথে চাইবাসা পৌঁছনোর পরে ওই আধিকারিকেরা চাইবাসার বিমান-ঘাঁটিতেই অপেক্ষা করছিলেন। কেন্দ্রীয় দলটির সদস্যেরা কপ্টার দুর্ঘটনার জেরে জঙ্গলের কোর এরিয়ায় থলকোবাদ-যাত্রা স্থগিত রেখে শেষ পর্যন্ত দু’টি দলে ভাগ হয়ে অন্য দু’টি দিকে সফর করেন।
আর একটি ফাঁড়া মালুম হল আজ সকালে। যখন কিরিবুরু ও করমপদার মাঝে একটি কালভার্টের নীচে শক্তিশালী ল্যান্ডমাইন বিস্ফোরণের ঝটকা সিআরপি-র একটি গাড়ির কাচ চুরমার করে দিয়ে গেল। গত কাল ওই রাস্তা ধরেই কেন্দ্রীয় দলটির কয়েকজন সদস্য মোটরবাইকে যাতায়াত করেছিলেন। সফরকারী দলটির সঙ্গী ঝাড়খণ্ডের গ্রামোন্নয়ন দফতরের বিশেষ সচিব পরিতোষ উপাধ্যায় এ দিন বলেও ফেললেন, “ভাগ্যিস কিরিবুরু থেকে আমরা মোটরবাইকে করে করমপদার দিকে গিয়েছিলাম। গাড়িতে করে কী হতো, ভাবতেই শিউরে উঠছি। মনে তো হচ্ছে, কালও ওখানটায় মাইন পোঁতা ছিল।”
চাইবাসার এসপি অরুণকুমার সিংহ অবশ্য দাবি করেন, “কেন্দ্রীয় বাহিনী নয়, সিআরপি-র জওয়ানদের নিয়ে যাতায়াতের একটি গাড়ি ওই ল্যান্ডমাইনের নিশানা ছিল।” তবে কেন্দ্রীয় সরকার সারান্ডায় জঙ্গি-দমনে বড় সাফল্য মিলেছে বলে দাবি করলেও এ দিনের বিস্ফোরণের মাধ্যমে মাওবাদী জঙ্গিরা তাদের অস্তিত্ব জাহির করে বার্তা দিল বলেই মনে করা হচ্ছে। চাইবাসার এসপি অবশ্য বলেন, “এ সব বিচ্ছিন্ন ঘটনা। সারান্ডায় মাওবাদীদের সংগঠিত শক্তি অনেক কমেছে।” আবার তিনিই বলছেন, “দিল্লির দলটি থাকতে থাকতে কিছু ঘটেনি, ভগবান বাঁচিয়ে দিয়েছেন।’’ পুলিশ জানায়, এ দিন সকালে কিরিবুরুর শীর্ষদেশে অভিযানরত সিআরপি-র একটি দলকে চাইবাসায় ফিরিয়ে আনতেই গাড়ি পাঠানো হয়েছিল। তখন গাড়িতে একা চালক ছিলেন। কয়েক মুহূর্ত আগে বিস্ফোরণ ঘটলে বড় বিপদের সম্ভাবনা ছিল। শেষ পর্যন্ত নেহাতই অল্পের উপরে গাড়ির কাচের উপর দিয়ে বিস্ফোরণের ঝাপ্টা গিয়েছে। গাড়ির চালক পুরোপুরি অক্ষত। কিন্তু ফেরার সময়ে ওই পথে জওানদের গাড়ি ফেরানোর ঝুঁকি নেয়নি সিআরপি। তাঁদের মোটরবাইকে করেই ফেরানো হয়। এ দিনই কেন্দ্রীয় আমলারা রাঁচি থেকে বিমানে দিল্লি ফিরে গিয়েছেন। তাঁদের তরফে কেন্দ্রীয় গ্রামোন্নয়ন দফতরের বিশেষ সচিব এন মুরুগানন্দম, ১০০ দিনের কাজ প্রকল্পের কেন্দ্রীয় অধিকর্তা এস পি বশিষ্ঠ, জাতীয় গ্রামীণ কর্মসংস্থান মিশনের কর্ত্রী এম কেজরিওয়াল প্রমুখ এ দিন ঝাড়খণ্ডের উন্নয়ন কমিশনার দেবাশিস গুপ্তের সঙ্গে বৈঠক করেন। রাজ্য সরকারের আমলারাও তাতে উপস্থিত ছিলেন। |
|
|
|
|
|