মূল্যস্ফীতির হার নামতে শুরু করলে ডিজেলের দাম বাড়াতে হবে। এবং পরের ধাপে পেট্রোলের মতো ডিজেলের দরকেও সরকারি নিয়ন্ত্রণের বাইরে নিয়ে যাওয়ার পক্ষে আজ জোরালো সওয়াল করলেন প্রধানমন্ত্রীর আর্থিক উপদেষ্টা পরিষদের চেয়ারম্যান সি রঙ্গরাজন।
বিশ্ব বাজারে অশোধিত তেলের দাম এখনও ব্যারেলপিছু ১০৫ ডলারের উপরে। যার প্রেক্ষিতে গতকাল হতাশা প্রকাশ করেছিলেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী প্রণব মুখোপাধ্যায়। কেননা এর দরুণ সরকারের ঘাড়ে ভর্তুকির বোঝা বাড়ছে। এ বার রঙ্গরাজন জানিয়ে দিলেন, “ডিজেলের দামকে সরকারি নিয়ন্ত্রণমুক্ত করতেই হবে। কারণ, আন্তর্জাতিক দরের সঙ্গে সঙ্গতি রেখে দেশের বাজারে পেট্রোপণ্যের খুচরো দাম স্থির হওয়া জরুরি। সুবিধাজনক পরিস্থিতি পেলেই কাজটা সেরে ফেলতে হবে।”
কেন্দ্র ইতিমধ্যে পেট্রোলের দাম বাজারের হাতে ছেড়ে দিলেও ডিজেল, কেরোসিন ও রান্নার গ্যাসে ভর্তুকি দিয়ে চলেছে। রঙ্গরাজনের বক্তব্য, ভর্তুকি না-দিলে তেল বিপণন সংস্থাগুলোর ক্ষতির পরিমাণ বাড়বে। আর তার প্রভাব পড়বে তাদের আর্থিক স্বাস্থ্যে, যা কখনওই কাম্য নয়। কিন্তু ডিজেলের দাম বাড়লে তো পণ্য পরিবহণের খরচ বৃদ্ধি পাবে! তাতে নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের মূল্যবৃদ্ধি অনিবার্য নয় কি? রঙ্গরাজনের উত্তর, “তা না-হলে ভর্তুকি দিতে গিয়ে সরকারের আর্থিক ঘাটতির হার বাড়বে। তারও কুপ্রভাব পড়বে সেই নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসের দামেই।” তবে মূল্যস্ফীতির হার এখনও যথেষ্ট বেশি বলে এখনই ডিজেলের দাম বাড়ানোর পক্ষপাতী নন তিনি। প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টার কথায়, “যখনই বোঝা যাবে মূল্যস্ফীতির হার পাকাপাকি ভাবে কমতে শুরু করেছে, তখনই ডিজেলের দাম বাড়াতে হবে, যাতে তা সহনযোগ্য হয়। তার পরে মূল্যস্ফীতি স্বস্তিজনক মাত্রায় নেমে এলে ডিজেলের দাম নিয়ন্ত্রণমুক্ত করে ফেলা উচিত।” |