উৎসবের মরসুমে সাধারণ মানুষের বোঝা আরও বাড়িয়ে ফের ১০ শতাংশ ছাড়িয়ে গেল খাদ্যপণ্যের মূল্যবৃদ্ধি। গত ৮ অক্টোবর শেষ হওয়া সপ্তাহে তা ১০.৬০% ছুঁয়েছে বলে বৃহস্পতিবার সরকারি সূত্রের খবর। আগের সপ্তাহের হার ৯.৩২%। তবে গত বছর এই সময়ে খাদ্যপণ্যের মূল্যবৃদ্ধি ছিল ১৫.৭২%।
খাদ্যপণ্যের মূল্যবৃদ্ধি সাড়ে ১০% ছাড়ানোর জেরে এ দিন পড়তে থাকে শেয়ার দরও। রিজার্ভ ব্যাঙ্ক তার ২৫ অক্টোবরের আসন্ন ঋণনীতিতে আবারও সুদ বাড়াতে চলেছে, এই আশঙ্কাতেই সেনসেক্স পড়ে যায় ১৪৮ পয়েন্ট। যদিও বাজার খোলার পর মূল্যবৃদ্ধির খবরে সেনসেক্স পড়ে গিয়েছিল ৩৪০ পয়েন্ট। পরে অবশ্য বাজার কিছুটা ঘুরে দাঁড়ায়। এ দিন ডলারে টাকার দামও ৬৫ পয়সা পড়ে নেমে আসে গত ২৮ মাসে সবচেয়ে নীচে। দিনের শেষে ১ ডলারের দাম দাঁড়ায় ৪৯.৮০/৮১ টাকা। প্রসঙ্গত, গত দেড় মাস যাবৎ খাদ্যপণ্যের মূল্যবৃদ্ধি ছিল ১০ শতাংশের নীচে। এর আগের সর্বোচ্চ হার গত ১৬ এপ্রিলের ১১.২৫%।
|
হলদিয়া পেট্রোকেমিক্যালসের (এইচপিএল) আর্থিক পরিস্থিতির যে-ভাবে অবনতি ঘটছে, তাতে সংস্থাকে ঘিরে বিতর্ক দ্রুত না-মিটলে রাজ্যের অন্যতম ‘শো-পিস’-কে বাঁচানো সম্ভব হবে না। বৃহস্পতিবার বিধানসভায় পূর্ণেন্দু চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে বৈঠক শেষে তাঁকে সঙ্গে নিয়ে শিল্পমন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় সাংবাদিকদের এ কথা জানিয়ে বলেন, পেট্রোকেমকে বাঁচাতে রাজ্য সরকার যা করার করবে। পূর্ণেন্দুবাবুকে পাশে নিয়েও অবশ্য শিল্পমন্ত্রী জানান, রাজ্যের স্বার্থ বিসর্জন দিয়ে কোনও পদক্ষেপ করা হবে না। বাম আমলেই এইচপিএল-এর মালিকানা থেকে হাত গুটিয়ে ফেলার সিদ্ধান্ত নেয় রাজ্য। বর্তমান তৃণমূল জোট সরকারও মালিকানা হাতে রাখার পক্ষপাতী নয়। চ্যাটার্জি গোষ্ঠীর দাবি, সংস্থা তৈরির সময়ে করা চুক্তি অনুসারে, সরকার তার শেয়ার বিক্রি করতে চাইলে, তা কেনার প্রথম প্রস্তাব চ্যাটার্জি গোষ্ঠীকেই দিতে হবে। কিন্তু সমস্যা দানা বাঁধে শেয়ারের দাম নিয়ে। বর্তমান সরকার এইচপিএল শেয়ারের দাম নির্ধারণে উপদেষ্টা সংস্থা নিয়োগ করেছে। কিন্তু চ্যাটার্জি গোষ্ঠীর দাবি, সরকারের সঙ্গে অতীতে শেয়ার কেনা নিয়ে যে চুক্তি হয়েছিল, সেই অনুযায়ী মূল্যায়ন সংস্থার নির্ধারিত দামেই তাদের হাতে সরকারের শেয়ার তুলে দিতে হবে। পার্থবাবু এ দিন বলেন, আগে যে চুক্তি হয়েছে, তার আইনগত দিক খতিয়ে দেখা হচ্ছে। |