|
|
|
|
অবহেলায় পড়ে সেচ দফতরের পার্ক, ক্ষোভ |
নিজস্ব সংবাদদাতা • দুর্গাপুর |
এক সময় যেখানে মানুষজনের সমাগম ছিল, এখন সেখানে চরে বেড়ায় গরুর পাল। বাগান ভরে গিয়েছে আগাছায়। অবহেলায় পড়ে রয়েছে শুকনো বাঁধানো পুকুরও। পরিচর্যা ও সংস্কারের অভাবে সেচ দফতরের ছয় দশকের পুরনো সাজানো বাগানের এমনই হাল। স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, রাতের অন্ধকারে নানা অসামাজিক কাজকর্মও চলে সেখানে। সেচ দফতরের এগজিকিউটিভ ইঞ্জিনিয়ার অবনী রায় অবশ্য জানান, শীঘ্র অর্থ বরাদ্দ হয়ে যাবে। নতুন করে সাজিয়ে তোলা হবে পার্ক দু’টি।
সেচ দফতর সূত্রে জানা যায়, দামোদরের উপরে দুর্গাপুরে ডিভিসি ব্যারাজ গড়ে তোলার পরে ১৯৫৪ সালে ব্যারাজের দু’দিকে দু’টি পার্ক গড়ে তোলা হয়। উদ্দেশ্য ছিল, মানুষজনের মনোরঞ্জন করা। দুর্গাপুর ছাড়াও বাঁকুড়ার মানুষজনেরও আগ্রহ আছে এই ব্যারাজ নিয়ে। তাছাড়া পার্কদুটির অবস্থান এমনই, যাতে ভরা বর্ষায় একসঙ্গে ব্যারাজের অনেকগুলি গেট দিয়ে জল ছাড়লে তা দেখা যায় পার্কে বসেই। স্বাভাবিক ভাবেই পার্ক দু’টি ঘিরেও মানুষের উৎসাহ রয়েছে। |
|
কিন্তু বিগত কয়েক বছরে পার্ক দু’টি নিয়মিত সংস্কার করা হয় না বলে অভিযোগ। ফলে দিনের পর দিন পার্কের পরিকাঠামো ভেঙে পড়েছে। মাথায় পাকা ছাতা-সহ কংক্রিটের বেঞ্চ ভেঙে গিয়েছে। ফুলের বাগানও নষ্ট হয়ে গিয়েছে। পার্কের পাশে বড় গাছগুলির ডালপালা বড় হয়ে নুইয়ে পড়েছে পার্কের উপরে। সাপের ভয়ে কেউ আর তাই সেখানে যেতে চান না। চরে বেড়ায় শুধু গরুর পাল। এক সময় পার্কের বিশেষ আকর্ষণ ছিল কৃত্রিম ঝর্ণা। এখন তাও আর নেই।
বীরভানপুর এলাকার প্রবীণ বাসিন্দা অমলেন্দু হাজরা বলেন, “আমরা ছোটবেলায় নিয়মিত ওই পার্কে যেতাম। আগে ভাল পরিকাঠামো ছিল না। পরে সেচ দফতর নতুন পরিকাঠামো গড়ে তোলে। এখন আবার সংস্কারের অভাবে সেটি বেহাল হয়ে পড়েছে।” আর এক বাসিন্দা মোহনদাস মণ্ডল বলেন, “বাড়িতে বাইরে থেকে আত্মীয়-পরিজন এলে তাঁদের পার্কে নিয়ে যেতাম। এখন আর সে সুযোগ নেই।” দ্রুত পার্কটির সংস্কারের দাবি জানান তিনি।
এই ব্যাপারে সেচ দফতরের এগজিকিউটিভ ইঞ্জিনিয়ার অবনী রায় জানান, সেচ দফতর বরাবর পার্ক দু’টির নিয়মিত রক্ষণাবেক্ষণ করে এসেছে। পরে কিছু আর্থিক সমস্যার কারণে তা আর হয়ে ওঠেনি।তবে শীঘ্র সেই সমস্যা মিটে যাবে বলে আশ্বাস দিয়েছেন তিনি।
পার্কের সুদিন ফিরবে। আপাতত সেচ দফতরের এই আশ্বাসই ভরসা বাসিন্দাদের। |
|
|
|
|
|