বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী পি চিদম্বরমের তিনবিঘা সফরকে কেন্দ্র করে মেখলিগঞ্জে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করল কোচবিহার জেলা প্রশাসন। বুধবার ১৯ অক্টোবর সকালে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী ভারত ভূখণ্ড ঘেরা সে দেশের ছিটমহল দহগ্রাম-আঙ্গারপোঁতায় একটি অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন। সেখানে স্বাস্থ্যকেন্দ্র ও বিদ্যুতের সাব স্টেশনের শিলান্যাসের কথা। রাজধানি ঢাকা থেকে হেলিকপ্টারে সরাসরি ওই এলাকায় পৌঁছবেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী। সরকারি ওই অনুষ্ঠান সেরে শেখ হাসিনা সড়কপথে তিনবিঘায় যাবেন। পুলিশ সূত্রের খবর, সেখানে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীকে স্বাগত জানাতে উপস্থিত থাকবেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রীর সঙ্গে তিনবিঘায় বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী একটি বৈঠক করতে পারেন বলে জানা গিয়েছে। দু’জনে একসঙ্গে তিনবিঘায় পরিদর্শন করতে পারেন বলেও জানা গিয়েছে। হাসিনা-চিদম্বরমের ওই বৈঠককে কেন্দ্র করে তিনবিঘা এলাকা নিরাপত্তার মুড়ে দেওয়া হয়েছে। সোমবার সেখানে কুচলিবাড়ি থানায় বসে ‘অ্যাডভ্যান্সড সিকিউরিটি লিয়াজঁ’ বৈঠক করেন পুলিশ, প্রশাসন ও বিএসএফ কর্তাদের সঙ্গে। রাজ্য পুলিশের ভারপ্রাপ্ত আইজি ড্যানিয়েল শেরিং লেপচা বলেন, “ওই দিন তিনবিঘায় কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রীর সফরের ব্যাপারে আমরা কোনও ঝুঁকি নেব না। প্রয়োজনীয় সমস্ত নিরাপত্তার ব্যবস্থা হচ্ছে। পর্যাপ্ত পুলিশ ও বিএসএফ মোতায়েন করা হবে।” কোচবিহারের জেলাশাসক মোহন গাঁধী বলেন, “বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী তিনবিঘা ঘুরে দেখবেন। সোমবার কুচলিবাড়িতে নিরাপত্তা সংক্রান্ত ব্যাপারে পুলিশ এ বিএসএফ কর্তাদের সঙ্গে প্রশাসনের বৈঠকও হয়েছে।” ওই বৈঠকে তিনবিঘায় ওয়াচ টাওয়ার, ক্লোজ সার্কিট টিভি বসানোর পরিকল্পনা হয়েছে। দহগ্রাম থেকে শেখ হাসিনা নিজস্ব কনভয়ে তিনবিঘায় পৌঁছবেন। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী হেলিকপ্টারে তিনবিঘায় পৌঁছবেন। দুই শীর্ষ নেতৃত্বের বৈঠক হবে সকাল ১০টায়। মেখলিগঞ্জের মহকুমাশাসক দেবাশিস কর্মকার বলেন, “বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী এবং কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর তিনবিঘিা সফরে ক্লোজ সার্কিট টিভির ব্যবস্থা করার চেষ্টা হচ্ছে।” |