আগামী পঞ্চায়েত নির্বাচনে জলপাইগুড়িতে তৃণমূলই যাতে একক ভাবে জেলা পরিষদ দখল করতে পারে, সে জন্য কর্মীদের এখনই সংগঠন গড়ে তোলার কাজে নামার পরামর্শ দিলেন দলের কেন্দ্রীয় মহাসচিব তথা কেন্দ্রীয় মন্ত্রী মুকুল রায়। সোমবার জলপাইগুড়ি রবীন্দ্র ভবনে দলের এক সাংগঠনিক সভায় তিনি বলেন, “২০০৮ সালে রাজ্য জুড়ে মমতা হাওয়া বইলেও পঞ্চায়েত নির্বাচনে জলপাইগুড়িতে জেলায় তা কাজে লাগানো যায়নি। ২০১০ সালে জলপাইগুড়ি পুর নির্বাচন, এমনকী, চলতি বছরে বিধানসভা নির্বাচনেও দলের ফল আশাব্যঞ্জক নয়। আগামী পঞ্চায়েত নির্বাচনে যাতে আমরাই জেলা পরিষদে একক ভাবে ক্ষমতার আসতে পারি সেই ব্যাপারে কর্মীদের উদ্যোগী হতে হবে।”দলের জেলা কমিটির নির্বাচন হতে চলেছে চাউর হয়ে যাওয়ায় এদিন সন্ধ্যা থেকেই রবীন্দ্র ভবন প্রাঙ্গন ছিল তৃণমূলের নেতা কর্মীদের ভিড়ে ঠাসা। সন্ধ্যা ৭টা থেকে দলের সভা হওয়ার কথা থাকলেও প্রায় এক ঘন্টা আগেই রবীন্দ্র ভবন প্রেক্ষাগৃহে তিলধারণের জায়গা ছিল না। প্রেক্ষাগৃহের বাইরের মাঠও ভিড়ে ঠাসা। দলের সব গোষ্ঠীর নেতা কর্মীরাই ভিড় করেন রবীন্দ্র ভবনে। |
সাড়ে ৭টা নাগাদ তৃণমূলের রাজ্য সভাপতি সুব্রত বক্সী, সর্বভারতীয় সম্পাদক মুকুল রায়, উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী গৌতম দেব, বনমন্ত্রী হিতেন বর্মন-সহ অনান্য নেতৃবৃন্দ উপস্থিত হন। বক্তব্য পেশ করে রাজ্য সভাপতি সুব্রত বক্সী জানিয়ে দেন, “এখানে জেলা কমিটির কোনও নির্বাচন হবে না। আগামী ২ নভেম্বর কলকাতায় দলের সর্বভারতীয় কমিটির নির্বাচনের জন্য প্রতিনিধি বাছাইয়ের কাজ হবে।” সর্বভারতীয় কমিটির নির্বাচনের জন্য জেলার প্রতিটি ব্লক থেকে প্রতিনিধিদের নাম উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী গৌতম দেবের কাছে জমা দেওয়ার নির্দেশ দেন দলের রাজ্য নেতৃত্ব। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী মুকুল রায় বলেন, “যারা প্রথম থেকেই দলে ছিলেন তাঁদেরও যেমন বঞ্চিত হওয়ার আশঙ্কা নেই। তেমনই যারা পরে দলে এসে দলের শ্রীবৃদ্ধি ঘটিয়েছেন তাঁদেরও কোনও ভাবনা নেই। সবাইকে নিয়েই দল চলতে চায়।” ২০০৮ সালের পঞ্চায়েত নির্বাচন থেকে শুরু করে ২০১১ বিধানসভা নির্বাচনের পরিসংখ্যান উল্লেখ্য করে মুকুলবাবু বলেন, “সারা বাংলায় যখন মা মাটি মানুষের জয় হচ্ছে তখন এটা আপনাদের সম্মানের প্রশ্ন। যথাযথ ভাবে দায়িত্ব পালন করুন। পঞ্চায়েত নির্বাচনে জলপাইগুড়ি জেলা পরিষদে যেন তৃণমূলের একক জয় আসে।” |