পুরুলিয়া, বাঁকুড়া জেলায় রবিবার দু’টি স্কুলে পরিচালন সমিতির অভিভাবক প্রতিনিধি নির্বাচন হয়েছে। দু’টি স্কুলেই তৃণমূল সমর্থিত প্রার্থীরা জয়ী হয়েছেন। তবে বাঁকুড়ার কেঠারডাঙা হাইমাদ্রাসায় ত্রিমুখী প্রতিদ্বন্দ্বিতা হয়েছে। এই স্কুলে কংগ্রেস, তৃণমূল ও নির্দল ছ’জন করে প্রার্থী দিয়েছিল। তৃণমূল ৩, কংগ্রেস ১ ও নির্দল ২টি আসন পায়।
কেঠারডাঙা হাইমাদ্রাসায় জোট না হওয়ায় একে অপরকে দুষছে কংগ্রেস ও তৃণমূল। কংগ্রেসের বাঁকুড়া জেলা সাধারণ সম্পাদক অরূপ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “ভোটের আগে তৃণমূলের তরফ থেকে আমাদের সঙ্গে আলোচনায় বসেনি। ফলে আমরা ছ’টি আসনে প্রার্থী দিয়েছি।” তবে তৃণমূলের জেলা কার্যকরী সভাপতি অরূপ চক্রবর্তী বলেন, “জেলা কংগ্রেস নেতৃত্বের এই অভিযোগ মিথ্যা।” তাঁর দাবি, “জোট করা নিয়ে আমরা আগ্রহ প্রকাশ করলেও তাঁরা এগিয়ে আসেননি।” অন্য দিকে, বান্দোয়ানের রসিকনগর জুনিয়র হাইস্কুলের অভিভাবক প্রতিনিধি নির্বাচনে জয়ী হয়েছেন তৃণমূল জোট সমর্থিত প্রার্থীরা। তিনটি আসনের মধ্যে ২টি পেয়েছে তৃণমূল এবং ১টি আসন পেয়েছে ঝাড়খণ্ড মুক্তিমোর্চা। বান্দোয়ান ব্লক যুব তৃণমূল সভাপতি জগদীশ মাহাতোর অভিযোগ, “এই প্রথম ওই স্কুলের পরিচালন সমিতির আমরা দখল পেলাম। এর আগে সিপিএম ওখানে নির্বাচন হতে দেয়নি। বিরোধী প্রার্থীদের মনোনয়নপত্র দাখিল করতে দেওয়া হত না।” সিপিএমের জেলা সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য কৃষ্ণপ্রসাদ সিংহ দেও বলেন, “ওই এলাকায় আমাদের সংগঠন তেমন নেই। তাই এরকম ফল হয়েছে।”
ওই দিনই বাঁকুড়া জেলা গ্রন্থাগার কর্মী প্রতিনিধি ও পুরুলিয়ার পুঞ্চার বাগদা অঞ্চলের কুন্ধুড়কা কৃষি সমবায় উন্নয়ন সমিতির নির্বাচন হয়েছে। গ্রন্থাগার নির্বাচনে দু’টি আসনেই জয়ী হয়েছেন বাম সমর্থিত প্রার্থীরা। এ বিষয়ে সিপিএমের বাঁকুড়া জেলা সম্পাদক অমিয় পাত্র বলেন, “আমাদের কিছু কর্মী তৃণমূলে যোগ দেওয়ায় এই নির্বাচন করতে হল। তাতে আমাদের সমর্থিত প্রার্থীরা জয়লাভ করায় খুশি।” গ্রন্থাগারের নির্বাচনে হারের ব্যাপারে অরূপবাবু বলেন, “এটা কর্মী প্রতিনিধি নির্বাচন। রাজনৈতিক লড়াই নয়। ওখানে ঠিক কী হয়েছে আমি জানি না।” আর এই প্রথম পুঞ্চার ওই সমবায়ে নির্বাচন হল। তাতে জয়ী হয়েছে তৃণমূল। এর আগে অবশ্য মনোনয়নের মাধ্যমে নির্বাচন হত। |