|
|
|
|
টুকরো খবর |
মারধরের নালিশ, জখম ৫
নিজস্ব সংবাদদাতা • এগরা |
একটি খুনের মামলায় অভিযুক্ত হয়ে গ্রাম ছাড়তে হয়েছিল ভগবানপুর ১ ব্লকের গোপীনাথপুর গ্রামের খগেন্দ্রনাথ মান্নার পরিবারকে। মাস ছ’য়েক আগে অভিযুক্তেরা জামিন পেয়ে গেলেও গ্রামে ফেরার সাহস পাননি। প্রায় এক বছর পরে গত শনিবার বাড়ি ফিরে ফের গ্রাম ছাড়তে হল তাঁদের। অভিযোগ, পুরনো সেই মামলার জের টেনে রবিবার সকালে গ্রামের কয়েকজন বাড়িতে হামলা চালিয়ে ব্যাপক মারধর করেন পাঁচ সদস্যকে। ৫ জনকেই ভগবানপুর গ্রামীণ হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে। ভগবানপুর থানার ওসি আনন্দ বিশাল জানান, তদন্ত শুরু হয়েছে। তবে, কেউ গ্রেফতার হয়নি। ঘটনার সূত্রপাত ২০১০ সালের ১০ অক্টোবর। গ্রামের বাসিন্দা গোপাল মান্নার গলাকাটা দেহ উদ্ধার হয় নিজের বাড়িতেই। এটি খুন না আত্মহত্যার ঘটনা তা নিয়ে ধন্দ তৈরি হয়। পুলিশ ঘটনাস্থলে আসতে দেরি করায় গ্রামবাসীরা পুলিশকর্মীদের মারধর করে ও গাড়ি ভাঙচুর করে। পরে ননদ গৌরী মান্না, তাঁর স্বামী খগেন্দ্রনাথ ও ছেলে শম্ভুর বিরুদ্ধে খুনের অভিযোগ দায়ের করেন গোপালবাবুর স্ত্রী রেবতীদেবী। শম্ভুবাবু বলেন, “গ্রামবাসীদের চাপে মিথ্যা ওই অভিযোগ দায়ের হওয়ার পরে আমাদের তাড়িয়ে দেওয়া হয়। শনিবার আমি ছাড়া বাড়ির আর পাঁচ সদস্য গ্রামে ফিরলে ফের মারধর করে। দু’লক্ষ টাকা দিতে বলেছিল ওরা। আমরা পারিনি।” সিপিএমের লোকজনই এই ঘটনার পিছনে রয়েছে বলে অভিযোগ মান্না পরিবারের। যদিও সিপিএম নেতা সুব্রত মহাপাত্রের মতে, “ঘটনার সঙ্গে রাজনীতির যোগ নেই।”
|
নির্যাতনে ধৃত চার জন মহিলা
নিজস্ব সংবাদদাতা • মেদিনীপুর |
দুই সন্তানের জননী রুমকি বেহারাকে বিবস্ত্র করে নির্যাতনের ঘটনায় চার মহিলাকে গ্রেফতার করল পুলিশ। ধৃতেরা সকলেই রুমকির শ্বশুরবাড়ির লোক। সোমবার সকালে তাঁদের গ্রেফতার করা হয়। পাপ্পু বেহারা নামে আরও এক অভিযুক্তের খোঁজে তল্লাশি চালাচ্ছে পুলিশ। শনিবার সন্ধ্যায় পরিচারিকার কাজ সেরে ফেরার পথে শ্বশুরবাড়ির লোক রুমকিকে নিগ্রহ করে বলে অভিযোগ। পাড়ার এক জনের সঙ্গে বিবাহ-বহির্ভূত সম্পর্কের অপবাদ দিয়ে তাঁকে বিবস্ত্র করে মারধর করা হয়, ছেঁটে দেওয়া হয় চুল। মেদিনীপুর শহরের বটতলাচকে প্রকাশ্য রাস্তায় এই ঘটনা ঘটলেও এগিয়ে আসেননি কেউ। শেষে রুমকির আত্মীয়রা এসে তাঁকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করান। শ্বশুরবাড়ি থেকে দীর্ঘ দিন বিতাড়িত রুমকি দুই ছেলেকে নিয়ে ঠাকুমার কাছে থাকেন। খাস মেদিনীপুর শহরে এমন ঘটনা ঘটার পরে নড়েচড়ে বসেছিল পুরসভা। স্থানীয় কাউন্সিলর শম্ভুনাথ চট্টোপাধ্যায় ও উপ-পুরপ্রধান এরশাদ আলি পুলিশকে কড়া ব্যবস্থা নিতে বলেন। সোমবার ধরা পড়ে সন্ধ্যা বেহারা, ঝর্না বেহারা, নমিতা বেহারা ও ষষ্ঠী বেহারা। তাঁদের বিরুদ্ধে মহিলার শ্লীলতাহানি, মারধর, হুমকির অভিযোগ রুজু হয়েছে। এই ঘটনার প্রতিবাদে সরব হয়েছে সারা ভারত মহিলা সাংস্কৃতিক সংগঠন। এ দিন তারা জেলাশাসককে স্মারকলিপি দিয়ে দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি ও নিগৃহীতা বধূর চিকিৎসার ব্যয়ভার দোষীদের বহন করতে বাধ্য করার দাবি জানায়। সংগঠনের শহর কমিটির পক্ষে জয়শ্রী চক্রবর্তী, ঝর্না জানা, চন্দ্রাণী জানা বলেন, “এমন ঘটনা নিন্দা করার ভাষা হয় না।” |
|
|
 |
|
|