|
|
|
|
পূর্বে প্রাথমিক বিদ্যালয় সংসদ |
পুনর্গঠনের পরেই নিরঙ্কুশ তৃণমূল |
নিজস্ব সংবাদদাতা • তমলুক |
জেলা প্রাথমিক বিদ্যালয় সংসদের পুনর্গঠন হচ্ছে পূর্ব মেদিনীপুরে। ফলে রাজ্যে পালাবদলের পরে এ বার সংসদেরও নিরঙ্কুশ নিয়ন্ত্রণ পেতে চলেছে তৃণমূল।
ইতিমধ্যেই সংসদে নতুন সরকার মনোনীত সদস্যদের নিয়োগ হয়েছে। বিধায়ক সদস্যদের নিয়োগ প্রক্রিয়া বাকি থাকলেও পুনর্গঠিত সংসদের হাতে বৈঠক ডাকার ক্ষমতা চলে এসেছে বলে জানান বিদ্যালয় সংসদের চেয়ারম্যান গোপাল সাহু। তিনি বলেন, “সদস্যদের নিয়ে বৈঠক ডাকার ক্ষমতা এসেছে পুনর্গঠিত সংসদের হাতে। জেলায় প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষার জন্য শীঘ্রই সংসদের বৈঠক ডাকা হবে। আপাতত জেলায় প্রাথমিক শিক্ষকদের বদলি প্রক্রিয়া চলছে। চলতি মাসেই এই প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ হয়ে যাবে।”
২০১০ সালের ২৮ নভেম্বর শিক্ষক প্রতিনিধি নির্বাচনের পরে নতুন সংসদ গঠনের প্রক্রিয়া শুরু হলেও তা সম্পূর্ণ হয়নি। প্রশাসনিক জটিলতার জেরে নতুন চেয়ারম্যান কাজে যোগ দিতেও পারেননি। বিধানসভা নির্বাচনে রাজনৈতিক পালাবদলের পরে বাম নিয়ন্ত্রিত সংসদের চেয়ারম্যান ওঙ্কারপ্রসাদ রায় পদত্যাগ করেন। তৃণমূলের রাজ্য সরকার ক্ষমতাসীন হওয়ার পরে পূর্ব মেদিনীপুর জেলা প্রাথমিক বিদ্যালয় সংসদের নতুন চেয়ারম্যান হন তৃণমূল ঘনিষ্ঠ শিক্ষক নেতা গোপাল সাহু।
নতুন চেয়ারম্যান নিয়োগ করা হলেও ৩০ সদস্যের সংসদে বিগত বাম সরকার মনোনীত ৬ জন প্রশাসনিক প্রতিনিধি ও ৫ জন বামফ্রন্ট বিধায়ক ছিলেন। ক্ষমতায় এসে তৃণমূলের নতুন রাজ্য সরকার বিজ্ঞপ্তি দিয়ে বাম সরকার মনোনীত ৬ প্রতিনিধির সদস্যপদ প্রত্যাহার করে। ১৪ অক্টোবর নতুন ছয় সদস্যের নাম পাঠানো হয়। অন্য দিকে, বিধায়ক পদ না থাকায় পুরনো বাম বিধায়কদের বাদ দিয়ে নতুন বিধায়ক সদস্য নিয়োগের প্রক্রিয়াও শুরু হয়েছে। অর্থাৎ এখন সংসদে বাম সদস্য হিসাবে রয়েছেন শুধু শিক্ষক প্রতিনিধি হিসাবে জেতা ৭ সদস্য ও সংসদ কর্মচারী হিসাবে জেতা এক প্রতিনিধি।
এ দিকে, গত দু’বছর ধরে জেলায় প্রায় চার হাজার প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়া ঝুলে রয়েছে। বহু শিক্ষক পদ শূন্য হয়ে পড়ে থাকায় ক্ষতি হচ্ছে পঠন-পাঠনের। সংসদের চোয়ারম্যান গোপালবাবুর আশ্বাস, “নিয়োগ নিয়ে শীঘ্রই আলোচনা শুরু হবে। আপাতত ছাত্র-শিক্ষক অনুপাতে সামঞ্জস্য আনতে ৯০০ প্রাথমিক শিক্ষককে বদলি করা হচ্ছে। বদলির চিঠি আগামী ২৭ অক্টোবর থেকে ডাকযোগে পাঠানো হবে। আড়াইশো প্রধান শিক্ষককে বদলি করা হচ্ছে।” |
|
|
 |
|
|