নিজস্ব সংবাদদাতা • আরামবাগ |
চার মাসেরও বেশি সময় ধরে ব্যাঙ্কে পড়ে রয়েছে ইন্দিরা আবাস যোজনার উপভোক্তাদের টাকা। কিন্তু তাঁরা টাকা তুলতে পারছেন না। কেননা, এখনও উপভোক্তাদের চূড়ান্ত তালিকাই ব্লক প্রশাসনের কাছে পাঠায়নি পঞ্চায়েত।
এই পরিস্থিতি হুগলি জেলার আরামবাগের মলয়পুর-২ পঞ্চায়েতের। পঞ্চায়েতের অভিযোগ, তালিকা নিয়ে তৃণমূলের আপত্তিতেই সমস্যা সৃষ্টি হয়েছে। প্রশাসন সমস্যা মেটাতে উদ্যোগী হচ্ছে না, এই অভিযোগ তুলে পঞ্চায়েতে ইতিমধ্যে কয়েক বার বিক্ষোভ দেখিয়েছেন প্রকল্পের উপভোক্তারা।
আরামবাগের বিডিও মৃণালকান্তি গুঁই এ ব্যাপারে বলেন, “ওই পঞ্চায়েতের ৭০ জন বিপিএল তালিকাভুক্তের নামের তালিকা জেলা পঞ্চায়েত ও গ্রামোন্নয়ন দফতরে পাঠানো হয়েছিল। কিন্তু ওই দফতর ৪৩ জন উপভোক্তার নাম চূড়ান্ত করে পাঠাতে বলে। সে কথা পঞ্চায়েতকে জানানো হয়েছিল। কিন্তু পঞ্চায়েত জানিয়েছে, তা পাঠাতে সমস্যা হচ্ছে। সব পক্ষকে নিয়ে আলোচনায় বসে দ্রুত বিষয়টির সমাধান করতে বলা হয়েছে।”
প্রসঙ্গত, আরামবাগ ব্লকের ১৫টি পঞ্চায়েত এলাকা থেকে ব্লক প্রশাসন ইন্দিরা আবাস যোজনা প্রকল্পের টাকার জন্য মোট ৭৮৯ জন উপভোক্তার নাম নির্বাচন করে পাঠায় জেলা পঞ্চায়েত ও গ্রামোন্নয়ন দফতরে। কিন্তু ওই দফতর ৫৫০ জন উপভোক্তার টাকা মঞ্জুর করে। মলয়পুর-২ পঞ্চায়েতে ৪৩ জন উপভোক্তা বাদে বাকি ১৪টি পঞ্চায়েত এলাকার উপভোক্তাদের টাকা দেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু হয়ে গিয়েছে। এই প্রকল্পে এক এখ জন উপভোক্তার জন্য বরাদ্দ করা হয় ৪৫ হাজার টাকা। দু’টি কিস্তিতে তা উপভোক্তার ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে দেওয়া হয়। ব্লক প্রশাসনের অনুমোদন নিয়ে সেই টাকা তোলেন উপভোক্তারা।
তৃণমূলের মলয়পুর-২ অঞ্চল সভাপতি মৃণাল ঘোষ বলেন, “ইচ্ছামতো উপভোক্তাদের তালিকা তৈরি করা হয়েছে। সেই তালিকায় কেউ দেখা যাচ্ছে কাউকে দু’বার টাকা দেওয়া হচ্ছে, কারও আবার পাকা ঘর রয়েছে। এ ভাবে সিপিএমের লোকেদের টাকা পাইয়ে দেওয়া হচ্ছে। এ ব্যাপারে ভাল ভাবে তদন্ত হওয়া জরুরি। তার পরেই চূড়ান্ত তালিকা তৈরি করা হোক।” এ বিষয়ে সিপিএম পরিচালিত মলয়পুর-২ পঞ্চায়েতের প্রধান সহদেব সামন্ত বলেন, “সিপিএমের লোকদের টাকা পাইয়ে দেওয়া হচ্ছে বলে যে অভিযোগ তুলে বাধা সৃষ্টি করা হয়েছে, তা একেবারেই ঠিক নয়। ব্লক প্রশাসনই তালিকা ওই তৈরি করে। তৃণমূল নেতাদের সঙ্গে এ ব্যাপারে আলোচনা চলছে। আশা করছি, সমস্যা শীঘ্রই মিটে যাবে।” |