নিজস্ব সংবাদদাতা • কলকাতা |
প্রাতর্ভ্রমণে বেরিয়ে ছিনতাইবাজদের হাতে আক্রান্ত হলেন এক বৃদ্ধা। ওই বৃদ্ধার পরিজনদের অভিযোগ, ছিনতাইবাজেরা তাঁর হাত-পা বেঁধে, ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত করে সোনা ও রুপোর গয়না নিয়ে চম্পট দেয়। সোমবার ভোরে, বালির নিশ্চিন্দার ঘটনা। আশঙ্কাজনক অবস্থায় ডলি মিত্র (৭৭) নামে ওই বৃদ্ধা হাওড়া জেলা হাসপাতালে ভর্তি।
পুলিশ জানায়, অবিবাহিতা ডলিদেবী নিশ্চিন্দা পূর্বপাড়ায় তাঁর বোনপো অসীম বসুর বাড়িতে থাকেন। কিছু দিন ধরেই তিনি অসুস্থ। ডলিদেবীর পরিজনেরা পুলিশকে জানিয়েছেন, চিকিৎসকের পরামর্শ মতো তিনি রোজ ভোরে এলাকায় হাঁটতে বেরোতেন। এ দিনও ভোর ৫টা নাগাদ তিনি বাড়ি থেকে বেরিয়েছিলেন। সকাল ছ’টা নাগাদ স্থানীয় বাসিন্দারা অসীমবাবুদের বাড়িতে খবর দেন, রেল লাইনের ধারে হাত-পা বাঁধা, রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে রয়েছেন ডলিদেবী।
অসীমবাবুর স্ত্রী সুলেখা বসু জানান, খবর পেয়েই তাঁরা প্রতিবেশীদের নিয়ে ওই রেল লাইনের ধারে ছুটে যান। সেখানে গিয়ে দেখেন, লাইনের পাশের রাস্তায় পড়ে রয়েছেন ডলিদেবী। তাঁর হাত-পা গাছের ডাল দিয়ে বাঁধা। বাঁ কানে ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত করার ফলে প্রচণ্ড রক্তপাত হচ্ছে। সুলেখাদেবী বলেন, “গিয়ে দেখি উনি অচৈতন্য অবস্থায় পড়ে রয়েছেন। গলা, হাতের সব গয়না উধাও।” কিন্তু এই ঘটনার কোনও প্রত্যক্ষদর্শী পাওয়া যায়নি বলে পুলিশ জানিয়েছে। তদন্তকারী অফিসারদের কথায়, “যে রাস্তায় ঘটনাটি ঘটেছে, সেখানে ভোর চারটে থেকে লোক চলাচল শুরু হয়। কিন্তু কেন কারও চোখেই ঘটনাটি পড়ল না, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।”
সুলেখাদেবীরা পুলিশের কাছে লিখিত অভিযোগে জানিয়েছেন, ডলিদেবীর সোনার দুল, চুড়ি, আংটি ও রুপোর হার খোয়া গিয়েছে।
জখম ডলিদেবীকে প্রথমে উত্তরপাড়া স্টেট জেনারেল হাসপাতালে, পরে জয়সোয়াল হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়। বিকেলে জয়সোয়াল হাসপাতাল থেকে তাঁকে আনা হয় হাওড়া জেলা হাসপাতালে। হাওড়া পুলিশের ডেপুটি কমিশনার (সদর) সুকেশ জৈন বলেন, “অভিযোগ পেয়েছি। তবে বিষয়টি এখনও পরিষ্কার নয়। তদন্ত শুরু হয়েছে।” |