নেপালের মদেশীয় অঞ্চলে সম্প্রতি একের পর এক ‘সংস্কৃতি কেন্দ্র’ খুলছে বেজিং। বিষয়টি নিয়ে নেপালের নব-নির্বাচিত প্রধানমন্ত্রী বাবুরাম ভট্টরাইকে তাদের উদ্বেগ জানাবে নয়াদিল্লি।
প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পর এই প্রথম ভারত সফরে আসছেন মাওবাদী নেতা বাবুরাম ভট্টরাই। আগামী ২১ তারিখ প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে তাঁর বৈঠককে বর্তমান কূটনৈতিক পরিপ্রেক্ষিতে তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছে বিদেশ মন্ত্রক। নেপালের অস্থির রাজনৈতিক পরিস্থিতির আঁচ যাতে ভারতে না আসে তাই নয়াদিল্লির উদ্বেগ রয়েই যাচ্ছে। পাশাপাশি নেপালের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা বাড়িয়ে নয়াদিল্লির উপর চাপ বাড়ানোর চিরাচরিত চিনা কৌশল প্রশমিত করার একটা চেষ্টাও ভারতের দিক থেকে করা হবে। ভিয়েতনাম থেকে শ্রীলঙ্কাভারতের প্রতিবেশী দেশগুলির মধ্যে প্রভাব বাড়ানোর ক্ষেত্রে অতি সক্রিয়তা দেখিয়ে চলেছে বেজিং। কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা বিভাগের রিপোর্ট অনুযায়ী, ভারত-বিরোধী সন্ত্রাসবাদী সংগঠনগুলিকেও চিনের তরফে মদত দেওয়া হচ্ছে। এ ব্যাপারে বিস্তারিত আলোচনা হবে নেপালের রাজনৈতিক নেতৃত্বের সঙ্গে। পাশাপাশি পরিকাঠামো এবং শক্তি ক্ষেত্রেও দু’দেশের মধ্যে বেশ কিছু চুক্তি সই হওয়ার কথা। বিদেশ মন্ত্রক সূত্রের খবর, এই সফরে কাঠমান্ডুকে ২৫ কোটি মার্কিন ডলার ঋণ (স্বল্প সুদে) দেবে ভারত। সে দেশের সড়ক পরিকাঠামো উন্নয়নের জন্য এই অর্থ দেওয়া হবে বলে জানা গিয়েছে।
নেপালের সেনাবাহিনীতে মাওবাদী ক্যাডারদের অন্তর্ভুক্তির বিষয় নিয়ে দীর্ঘদিন টালবাহানা চলছে। এ ব্যাপারে কোনও সূত্র খুঁজে বের করা সম্ভব হয়েছে কি না তা জানতে চাইবে ভারত। কূটনৈতিক পর্যবেক্ষকদের মতে, ভোটের মাধ্যমে রাজনৈতিক মূলস্রোতে ফিরে আসার সাড়ে তিন বছর পর হতাশা ও বিভাজন তৈরি হয়েছে নেপালি মাওবাদীদের মধ্যে। পিপলস লিবারেশন আর্মি (পিএলএ)-র সব ক্যাডারদের মূল সেনাবাহিনীর মধ্যে অন্তর্ভুক্ত করার প্রশ্নে ব্যর্থ হয়েছেন নেপালি মাওবাদী সর্বাধিনায়ক প্রচণ্ড। পিএলএ-র উপর দলের কেন্দ্রীয় নিয়ন্ত্রণও বেশ দুর্বল। বিদেশ মন্ত্রকের বক্তব্য, প্রতিবেশী রাষ্ট্রে এমন অস্থিরতা তৈরি হলে তার আঁচ বরাবরই ভারতের নিরাপত্তার উপর পড়ে। এখনও অন্যথা হচ্ছে না। |