কিছুদিন আগেও ইংরেজবাজার শহর ছিল ঝা চকচকে। নিশ্চিন্তে মানুষ রাস্তা দিয়ে চলাফেরা করতেন। কয়েক বছর আগে পরিবেশের জন্য রাজ্যে শ্রেষ্ঠ শিরোপা পেয়েছিল ইংরেজবাজার পুরসভা। সেই ঝা চকচকে মালদহ শহর এখন বেআইনি জবরদখলকারীদের কব্জায় চলে গিয়েছে। চোখের সামনে একের পর এক রাস্তা দখল করে শুধু দোকান ঘর কিংবা বাজারই নয়, রাস্তা দখল করে গজিয়ে উঠেছে ম্যাক্সি-ট্যাক্সি, অটোরিক্সার স্ট্যান্ড। সাধারণ মানুষ থেকে শুরু করে ব্যবসায়ীরা বহু বার বেআইনি দখলদার উচ্ছেদের দাবিতে সরব হলেও পুরসভা ও জেলার প্রশাসনিক কর্তারা নির্লিপ্ত থাকায় দখলদারদের দৌরাত্ব্য বেড়ে গিয়েছে বলে অভিযোগ। মালদহ মাচের্ন্ট চেম্বার অফ কমার্সের সম্পাদক জয়ন্ত কুন্ডু বলেন, “মালদহ শহর এখন নরকের চেয়েও খারাপ হয়ে গিয়েছে। রাস্তা তো দূরের কথা, নিশ্চিন্তে ফুটপাথ দিয়েও চলাফেরা করা যায় না। বহুবার পুর চেয়ারম্যান ও জেলাশাসককে বেআইনি দখলদার উচ্ছেদ করতে অনুরোধ করেছি। কেউই উদ্যোগী হয়নি।” শহরের সবচেয় ব্যস্ততম রাস্তা রাজমহল রোড। অথচ চিত্তরঞ্জন পুর বাজারের সামনে ওই ব্যস্ততম রাস্তার অর্ধেক দখল করে রয়েছে চপ, ঘুগনি, তরকা, রুটির দোকান। প্রতিদিন ওই রাস্তা যানজটের শিকার হচ্ছেন সাধারণ মানুষ। পুলিশ কিংবা পুর কর্তৃপক্ষের সামনেই দখলদাররা রাস্তা আটকে ব্যবসা করছেন। ট্রাফিক পুলিশের এক কনস্টেবল আক্ষেপের সঙ্গে বলেন, “কী করব বলুন, রাস্তা থেকে সরাতে গেলে আমাদেরই বদলি করে দেওয়ার ভয় দেখানো হয়।” কেবল রাজমহল রোডই নয়, মালদহ শহরের বুক চিরে গিয়েছে ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়ক। চার লেনের জাতীয় সড়কের দুটি লেন দখলদারদের কব্জায়। মালদহ কলেজ অডিটোরিয়ামের লাগোয়া জাতীয় সড়কের একটি লেনে ম্যাক্সি-ট্যাক্সি স্ট্যান্ড, মিনি ট্রাক স্ট্যান্ড গজিয়ে উঠেছে। রথবাড়ি মোড় থেকে এনসিসি কোয়ার্টার পর্যন্ত ম্যাক্সি-ট্যাক্সি ও মিনি ট্রাক স্ট্যান্ড গড়ে ওঠায় জাতীয় সড়কের একটি লেন পুরোপুরি বন্ধ হয়ে গিয়েছে। ওই স্ট্যান্ড লাগোয়া জাতীয় সড়কের ফুটপাত দখল করে গজিয়ে উঠেছে অজস্র দোকান, শ্রমিক ইউনিয়নের অফিস, শৌচাগার। জাতীয় সড়ক দখল করে বসছে বাজারও। উল্টো দিকে অটো রিকশা স্ট্যান্ড। |