পঞ্চায়েতের প্রস্তুতি শুরু |
নিজস্ব সংবাদদাতা • জলপাইগুড়ি |
২০১৩ সালের পঞ্চায়েত ভোটের সাংগঠনিক প্রস্তুতি শুরু করে দিল জলপাইগুড়ি জেলা কংগ্রেস। পঞ্চায়েত নির্বাচনে তৃণমূলের সঙ্গে জোট না করে একক শক্তিতে লড়াইয়ে নামার দাবি উঠেছে দলের নিচুতলা থেকে। সেই আওয়াজকেই সমর্থন জানিয়ে দলের প্রদেশ নেতৃত্বও সুর মিলিয়েছেন। একক ভাবে ভোটে লড়ার জন্য যে সাংগঠনিক প্রস্তুতি প্রয়োজন, তার কাজ আপাতত শুরু করে দিয়েছে দলীয় নেতৃত্ব। একই ভাবে জোটের সম্ভাবনাকেও পুরোপুরি নস্যাৎ করে দিতেও রাজি নন প্রদেশ নেতৃত্ব। শনিবার এই ব্যাপারে জলপাইগুড়ি জেলা কংগ্রেস কমিটির সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে জলপাইগুড়ির প্রয়াস হলে। আগামী মাসে কলকাতায় দলের পঞ্চায়েতি রাজ সম্মেলনকে সফল করার প্রস্তুতি হিসেবেই এদিনের সভা হয়। সভায় ব্লক থেকে শুরু করে জেলা সকল স্তরের নেতারাই তৃণমূলের বিরুদ্ধে জোটধর্ম পালন না করার অভিয়োগ এনেছেন। সেই সঙ্গে একক শক্তিতে পঞ্চায়েত ভোটে লড়ে দলকে শক্তিশালী করার দাবি জানিয়েছেন। এদিনের সভায় প্রদেশ কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক এবং প্রদেশের মুখপাত্র ওমপ্রকাশ মিশ্র উপস্থিত ছিলেন। তিনি বলেন, “যে কোনও দলের কাছেই নির্বাচনে লড়াটা একটি বিশেষ বিষয়। আমরা দলের নিচুতলার আওয়াজ শুনেই আগামী পঞ্চায়েত নির্বাচনে একক ভাবে লড়ার প্রস্তুতি শুরু করেছি। তবে ক্ষেত্রবিশেষে অন্য কোনও রাজনৈতিক দলের সঙ্গেও জোট হতে পারে। সাংগঠনিক স্তরে সে সব নিয়ে চিন্তাভাবনা চলতে থাকবে। আপাতত দলের নেতা কর্মীদের নিয়ে পঞ্চায়েতি রাজ সম্মেলনের প্রস্তুতি চলছে।” এদিনের সভায় জেলার বিভিন্ন সরকারি মনোনীত পদে কংগ্রেসের সঙ্গে আলোচনা না করেই একতরফা ভাবে তৃণমূলের প্রতিনিধি নিয়োগ করা বা বিভিন্ন সংস্থায় কংগ্রেসি জনপ্রতিনিধিদের না রাখার বিষয়টি নিয়ে একাধিক অভিযোগ জানানো হয়। ওমপ্রকাশবাবু বলেন, “তৃণমুল যে ভাবে নিজেদের সংগঠন বিস্তারের জন্য সরকারি বিভিন্ন পদের ব্যবহার করছে বা জাতীয় কংগ্রেসের কোনও প্রতিনিধিকে রাখছে না তা দলের কর্মীরা মেনে নিতে পারছেন না। কর্মীদের এই মনোভাবকে আমরাও সমর্থন জানাই। এই ধরনের প্রবণতা দু’দলের সম্পর্কের ক্ষেত্রে শুভ লক্ষণ নয়।”এদিনের সভায় জলপাইগুড়ির জন্য পৃথক উন্নয়ন পর্ষদ গঠনের দাবিও উঠেছে। জেলা কংগ্রেসের সভাপতি মোহন বসু বলেন, “দলের নেতাকর্মীরা ক্ষোভজানিয়েছেন। প্রদেশ নেতৃত্ব সবই শুনেছেন। আমাদের জেলায় পঞ্চায়েত ভোটের প্রস্তুতি শুরু করে দেওয়া হয়েছে। জেলায় কংগ্রেস একক ভাবেই যথেষ্ট শক্তিশালী।” এদিনের সভায় কংগ্রেস নেতা বিশ্বরঞ্জন সরকার, মোহন শর্মা, বাবলু মুখোপাধ্যায়, মান্নালাল জৈন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। |