শহরে উন্নয়নে সক্রিয় তৃণমূল
লেবরে বেড়ে উঠলেও গড়ে ওঠেনি পরিকাঠামো। পরিষেবাও অধরা। রাস্তা, বাজার, নিকাশি, পথবাতি সবেতেই অব্যবস্থা। ‘গেটওয়ে অব ডুয়ার্স’ ময়নাগুড়ির ওই দুর্দশা কাটাতে নাগরিক কনভেনশন করে বাসিন্দাদের মতামত জানতে উদ্যোগী হয়েছেন জলপাইগুড়ি জেলা তৃণমূল নেতৃত্ব। কে বলবে ওই জনপদ এক সময় পশ্চিম ডুয়ার্সের প্রশাসনিক সদর ছিল! বৃটিশ শাসনকালে যে সমস্ত রাস্তা তৈরি হয়েছিল আজও তার আদল পাল্টায়নি। সময়ের সঙ্গে তাল রেখে চলতে তৈরি হয়নি পরিকাঠামো। উন্নত নাগরিক পরিষেবার ‘মাষ্টার প্ল্যান’। গুরুত্ব পায়নি পর্যটন শিল্প বিকাশের সম্ভাবনা কাজে লাগানোর ভাবনা। পরিকল্পনা ছাড়া উন্নয়নের অছিলায় ইচ্ছে মতো কাজ করতে গিয়ে উল্টে সমস্যা বেড়েছে। জলপাইগুড়ি জেলা তৃণমূলের মহাসচিব চন্দন ভৌমিক বলেন, “ময়নাগুড়িকে কেন্দ্র করে পর্যটন শিল্প বিকাশের যথেষ্ট সম্ভাবনা আছে। কিন্তু সে জন্য যে পরিকাঠামো ও পরিষেবার প্রয়োজন তার কিছুই এখানে নেই। বিগত সরকার ওই বিষয়ে কাজ করেনি। আমরা নাগরিক কনভেনশন করে এলাকার বাসিন্দাদের মত নিয়ে পরিকাঠামো গড়ে তোলার প্রকল্প তৈরি করব।” তৃণমূল নেতৃত্বের অভিযোগ, ন্যূনতম পরিষেবা ময়নাগুড়িতে মিলছে না। শহর জুড়ে বেহাল দশা পথবাতির। সন্ধ্যার পরে অন্ধকারে ডুবে থাকে বিস্তীর্ণ এলাকা। গত সাড়ে তিন দশকে যে নিকাশি নালাগুলি তৈরি করা হয়েছে সেগুলি দিয়ে জল যায় না। নেই ডাম্পিং গ্রাউণ্ড। বাড়িতে পরিস্রুত পানীয় জল সরবরাহের উদ্যোগ। গড়ে ওঠেনি আধুনিক বিপনন ব্যবস্থা। স্টেডিয়ামও অধরা। উপেক্ষিত থেকেছে শিশু ও প্রবীণ নাগরিকদের বিনোদন। অথচ ওই সময় কালের মধ্যে জন বিস্ফোরণ ঘটেছে। শহরের জনসংখ্যা ৫০ হাজারে পৌছেছে। বেড়েছে বসতি। বহুতল বাড়ি। যানবাহনের চাপ। তৃণমূল নেতৃত্ব মনে করেন, বাহ্যিকতায় ফুলেফেঁপে উঠলেও সময়োপযোগী পরিকাঠামো গড়ে তোলার পরিকল্পনা ও উদ্যোগ না-থাকায় জটিল সমস্যার আবর্তে পড়ে ডুয়ার্সের ওই প্রাচীন জনপদ হাসফাস করছে। ওই সমস্যা সমাধানের জন্য তাঁরা ময়নাগুড়িকে পুরসভায় উন্নিত করার কাজকে অগ্রাধিকার দিতে চান। কিন্তু দলীয় ভাবনাকে চাপিয়ে না-দিয়ে ওই বিষয়ে এলাকার বাসিন্দাদের মতামত যাচাই করে নিতে আগ্রহী দলের জেলা মহাসচিব। ওই কারণে দ্রুত নাগরিক কনভেনশনের দিনক্ষণ ঠিক করতে তিনি ময়নাগুড়ি ব্লক নেতৃত্বকে নির্দেশও দিয়েছেন। তৃণমূল নেতৃত্বের সঙ্গে একমত বিদ্বজন মহলের একাংশ। ময়নাগুড়ি কলেজের ভূগোল বিভাগের প্রধান মধুসূদন কর্মকার বলেন, “ময়নাগুড়ির ভবিষ্যত পর্যটন শিল্প। ওই শিল্প বিকাশের জন্য শহরকে আকর্ষণীয় করে তুলতে হবে। এ জন্য প্রথম প্রয়োজন পুরসভা।” ওই দাবি অধরা থাকায় ক্ষোভ ও হতাশা যে বেড়েছে তা নিয়ে সংশয় নেই বিদ্বজনদের। ময়নাগুড়ি ব্লক তৃণমূল কংগ্রেস সম্পাদক মনোজ রায় বলেন, “কেন ক্ষোভ হবে না! ফ্রন্ট জনপ্রতিনিধিরা বাসিন্দাদের ডেকে কনভেনশন করে তাঁদের চাহিদার কথা জানতে চেয়েছেন! ওঁরা নিজেদের সর্বজ্ঞ মনে করে কাজ করেছেন। তাই গ্রাম পঞ্চায়েতের পরিকাঠামো টিকিয়ে রাখার চেষ্টা করেছেন। পুরসভার কথা ভাবতে পারেননি।” আরএসপি বিধায়ক অনন্তদেব অধিকারী তৃণমূল নেতৃত্বের অভিযোগ উড়িয়ে দিতে পারেননি। তিনি বলেন, “আমরা যে কনভেনশন করে সমাজের বিভিন্ন স্তরের মত জানার চেষ্টা করিনি তা অস্বীকার করি কেমন করে! মানুষের চাহিদা মতো কাজ করা সম্ভব হয়নি। পরিকল্পনা ত্রুটি থেকে গিয়েছে।”



First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.