পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে দলের সাংগঠনিক শক্তি বৃদ্ধি করার জন্য দলীয় কর্মীদের আন্দোলনের রাস্তায় নামার পরামর্শ দিয়েছেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি প্রদীপ ভট্টাচার্য। পঞ্চায়েত রাজ্য সম্মেলনকে সামনে রেখে প্রদীপবাবুরা জেলায় জেলায় প্রস্তুতি সম্মেলন করছেন। সেখানেই এই ‘বার্তা’ দিচ্ছেন প্রদেশ নেতৃত্ব।
উত্তর ২৪ পরগনার বিরাটি ও পুরুলিয়ায় সম্মেলন ছিল রবিবার। বিরাটিতে প্রদীপবাবু বলেন, পঞ্চায়েত ভোটের দেরি আছে। কিন্তু দলের সাংগঠনিক শক্তিকে পঞ্চায়েত স্তরে শক্তিশালী করতে হবে। কী ভাবে সাংগঠনিক শক্তি বৃদ্ধি করতে হবে, তার রাস্তা বাতলাতে গিয়ে প্রদীপবাবু বলেন, কংগ্রেসের নেতৃত্বাধীন কেন্দ্রের জোট সরকার গ্রামের গরিব মানুষের কল্যাণের জন্য নানা প্রকল্প চালু করেছে। কিন্তু সেই প্রকল্পের কাজ ঠিক মতো হচ্ছে কি না, তা দেখতে হবে। ১০০ দিনের কাজের মতো প্রকল্প না-হলে বিডিও-র কাছে মানুষকে সঙ্গে নিয়ে মিছিল করার পরামর্শ দেন প্রদীপবাবু।
সম্প্রতি মালদহে প্রস্তুতি সম্মেলনে জোটসঙ্গী তৃণমূলের বিরুদ্ধে কংগ্রেস নেতৃত্ব ক্ষোভ প্রকাশ করেছিলেন। সেখানে পঞ্চায়েত ভোটে ‘একক ভাবে’ লড়াই করার ইঙ্গিতও দিয়েছিলেন কংগ্রেস নেতারা। প্রদীপবাবুর উপস্থিতিতেই বিরাটিতে এ দিন প্রদেশ কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক অজয় ঘোষ, জেলা নেতা তাপস মজুমদার প্রমুখ অভিযোগ করেন, লোকসভা, বিধানসভা ভোটে তো বটেই, বসিরহাট উত্তর বিধানসভা কেন্দ্রের উপনির্বাচনেও কংগ্রেস কর্মীরা যে ‘রাজনৈতিক গুরুত্ব’ দিয়ে কাজ করেছেন, তৃণমূল পরিচালনাধীন পঞ্চায়েতে সেই ‘গুরুত্ব’ তাঁদের দেওয়া হয় না।
পুরুলিয়ার সম্মেলনেও প্রদেশ কংগ্রেসের সহ-সভাপতি দেবব্রত বসু ও অন্যান্য নেতৃবৃন্দের উপস্থিতিতে জেলার সমস্ত ব্লকের প্রতিনিধিই পঞ্চায়েত ভোটে ‘একক’ ভাবে লড়ার পক্ষে মত দিয়েছেন। পরে দেবব্রতবাবু বলেন, “পুরুলিয়া জেলা কংগ্রেস সভাপতি নেপাল মাহাতো-সহ বিভিন্ন বক্তাই বলেছেন, জোট থাকা সত্ত্বেও তৃণমূল আমাদের আক্রমণ করছে। আমাদের কার্যালয়ে হামলা করছে। আবার উল্টে আমাদেরই কর্মীদের পুলিশে ধরিয়ে দিচ্ছে। তাই পঞ্চায়েতে কংগ্রেসের তৃণমূলের সঙ্গ ছেড়ে একাই লড়াই করা উচিত।” পঞ্চায়েত ভোটে জোট হওয়া বা না-হওয়ার বিষয়টি অবশ্য বরাবরই স্থানীয় স্তরে ঠিক হয়। তার সঙ্গে বৃহত্তর রাজনীতির বিশেষ যোগ থাকে না।
|