বিদ্যুতের আলো যেখানে পৌঁছায়নি সেখানকার বাসিন্দাদের ভরসা হ্যারিকেন অথবা লণ্ঠনের আলো। আর লণ্ঠনের মাধ্যমে গ্রামবাসীদের আলোর ভরসা জোগানো বিষ্ণুপুরের লণ্ঠন শিল্পীদের দিন কাটে হতাশার আঁধারে।
লণ্ঠন শিল্পের সঙ্গে যুক্ত আনন্দ পাল, বাসু গরাইরা বলেন, “কাচের দাম বেশ বেড়েছে। এই শিল্পের প্রধান উপকরণ গ্যালভানাইজড শিটের দামও চড়া। কিন্তু সে তুলনায় লণ্ঠনের দাম বাড়েনি।” মূলত নিম্নবিত্ত ক্রেতাদের উপরেই নির্ভরশীল এই শিল্প। ফলে প্রয়োজন থাকলেও দাম বাড়াতে পারছেন না লণ্ঠনশিল্পীরা। আশঙ্কা একটাই, যদি বাজার পড়ে যায়! ব্যবসা মার খেলে এই শিল্পের সঙ্গে যুক্ত প্রায় ২০০০ মানুষের রোজগার বন্ধ হয়ে যাবে। |
শুধু নিম্ন মধ্যবিত্তেরাই নয়, লণ্ঠন যে কত প্রয়োজনীয়- সাম্প্রতিক লোডশেডিংয়ে গ্রামাঞ্চলের পাশাপাশি অনেক শহরাঞ্চলের মানুষও টের পেয়েছেন। এই পেশার সঙ্গে যুক্ত কর্মীদের ধারণা, দিনে রোজগার ৫০ থেকে ৬০ টাকার বেশি হয়না। কিন্তু, লণ্ঠনের দাম বাড়ানোর ঝুঁকি নেওয়া যায় না। তাঁরা জানিয়েছেন, ছোট লণ্ঠনের দাম ২৫ টাকা, বড়গুলির দাম ৪০ টাকা। গত কয়েক বছরে এই এক দামই রয়েছে। প্রশাসন কাঁচামাল কেনার জন্য ভর্তুকি দেওয়ার মতো সাহায্য না করলে শিল্প হারিয়ে যাবে।
মহকুমাশাসক (বিষ্ণুপুর) সুশান্ত চক্রবর্তী বলেন, “স্বল্প তেল খরচে বেশি আলো দেয় লণ্ঠন। এই হস্তশিল্পের জন্য বিষ্ণুপুরের খ্যাতি রয়েছে। কুটির শিল্পেরের উন্নয়নে অনেকগুলি সরকারি প্রকল্প রয়েছে। ব্যাঙ্ক ঋণের ব্যবস্থাও করা যেতে পারে। আমি লণ্ঠন শিল্পীদের সঙ্গে কথা বলব।” |