মাঠ আছে। সীমানা প্রাচীরও রয়েছে। সম্প্রতি ওই মাঠে গ্যালারি নির্মাণের জন্য টাকাও বরাদ্দ হয়েছে। কিন্তু ওই মাঠে যাওয়া আসার কোনও রাস্তা নেই। এমনই অবস্থা মানবাজার থানার মানভূম কলেজের মাঠের।
মানভূম কলেজের মাঠটি বরাবাজার-মানবাজার রাস্তার ধারে অবস্থিত। পাকা রাস্তা থেকে প্রায় দেড়শো মিটার ভিতরে। সীমানা প্রাচীরের বাইরে কলেজের নিজস্ব কোনও জমি নেই। অন্যের জমির মাঝখান দিয়ে ওই মাঠে যাতায়াত করতে হচ্ছে। এই মাঠে জেলাস্তরের ক্রীড়া প্রতিযোগিতা-সহ নানা অনুষ্ঠান হয়। তৃণমূলের ব্লক ছাত্র সভাপতি অপূর্ব সিংহের যুক্তি, “মাঠের ঢোকার কোনও রাস্তা নেই। অন্যের রায়তি জমি দিয়ে মাঠে যেতে হয়। রায়তিরা তাঁদের জমির অংশ কৃষিকাজে ব্যবহার করলে বা অন্য কাজে লাগালে মাঠে যাওয়ার আর কোনও পথ থাকবে না। এই সমস্যা না মিটিয়ে গ্যালারির জন্য টাকা চেয়ে প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে।” সিপিএমের জেলা সম্পাদক নকুল মাহাতো এই কলেজের পরিচালন সমিতির সভাপতির পদে দীর্ঘ ২৫ বছর ধরে ছিলেন। সম্প্রতি তাঁর জামাইকে সভাপতির পদে বসানো হয়েছে। তৃণমূলের দাবি, এই জট পাকানোর দায়িত্ব তাঁরা এড়াতে পারেন না। নকুলবাবু অবশ্য এ বিষয়ে কোনও মন্তব্য করতে চাননি। সিপিএমের মানবাজার জোনাল কমিটির সম্পাদক সৌরীন্দ্র মোহন মিশ্র বলেন, “এটা কোনও সমস্যাই নয়। রাস্তা আমরা পেয়ে যাব।” কলেজের টিচার ইনচার্জ অমিতাভ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “ওই মাঠে ঢোকার জন্য কলেজের হাতে বাড়তি কোনও জায়গা নেই। সমস্যার কথা পরিচালন সমিতিকে জানানো হয়েছে।” কলেজের সদ্য প্রাক্তন টিচার ইনচার্জ প্রদীপ মণ্ডল বলেন, “ওই মাঠে গ্যালারি নির্মাণের জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের মঞ্জুরি কমিশনের কাছে ৪০ লক্ষ টাকার প্রকল্প পাঠানো হয়েছে।” কলেজ পরিচালন সমিতির সভাপতি যামিনীকান্ত মাহাতোর কথায়, “আমি সদ্য এই পদে এসেছি। মাঠে ঢোকার রাস্তা নেই। তবে গ্যালারির জন্য প্রকল্পের প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে বলে আমার জানা নেই।” সিধো-কানহো বীরশা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য তপতী মুখোপাধ্যায় বলেন, “এখন ছুটি চলছে। বিশ্ববিদ্যালয় খুললে বিষয়টি সম্পর্কে খোঁজ নেব।” |