মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে শুরু হয়েছে ‘অকুপাই ওয়াল স্ট্রিট’ আন্দোলন
‘যে দিন গরিব মানুষের জন্য আর কোনও খাবারই অবশিষ্ট থাকবে না, সে দিন কিন্তু তারা বড়লোকদের খেয়ে ফেলবে।’ এটা একটা হাতে লেখা পোস্টারের বয়ান। এই পোস্টার, এই রকম আরও অনেক পোস্টার নিয়ে অজস্র মানুষ জড়ো হচ্ছেন ওয়াল স্ট্রিটে। একটা আন্দোলন চলছে অকুপাই ওয়াল স্ট্রিট। ওয়াল স্ট্রিট দখল করো। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে যে ভাবে অসাম্য বাড়ছে ক্রমশ, আর সরকার যে ভাবে বড় বড় ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানকে আর্থিক সাহায্য দিয়ে বাঁচিয়ে রেখেছে, তারই প্রতিবাদে এই আন্দোলন।
আন্দোলনের কেন্দ্রে ওয়াল স্ট্রিট কেন? কারণ, নিউইয়র্কের লোয়ার ম্যানহাটন-এর এই রাস্তাটিই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের শেয়ার সংক্রান্ত ব্যবসায়িক কাজকর্মের কেন্দ্রভূমি। রাস্তাটির এক দিকে ব্রডওয়ে, অন্য দিকে সাউথ স্ট্রিট। পাশে ইস্ট রিভার। রাস্তাটির ইতিহাস বহু দিনের। সপ্তদশ শতাব্দীর গোড়ার দিকে শহরের ডাচ বাসিন্দারা ইংরেজদের থেকে নিজেদের পাড়া আলাদা রাখার জন্য একটি মাটির দেওয়াল তুলে দেন। সেই দেওয়াল বরাবর রাস্তাটির নাম দেন দা ওয়াল স্ট্রিট। সেই থেকেই এই নাম। ঊনবিংশ শতকের শেষ ভাগ থেকেই এই অঞ্চলটি ব্যবসায়িক প্রাণকেন্দ্র হয়ে উঠতে থাকে। আর, গত শতকের মাঝামাঝি সময় থেকে গোটা দুনিয়ার সবচেয়ে নামজাদা ব্যবসায়িক কেন্দ্র হয়ে ওঠে এই ওয়াল স্ট্রিট। নিউ ইয়র্ক স্টক এক্সচেঞ্জ, ন্যাসড্যাক, নিউ ইয়র্ক বোর্ড অব ট্রেড সবার সদর দফতর এই ওয়াল স্ট্রিটে।
ঠিক কত বড় এখানকার ব্যবসা? দু’একটা উদাহরণ দিই। ২০০৮ সালে, মন্দা আরম্ভ হওয়ার আগে, শুধু এই পাড়াতেই চাকরি করতেন দু’লক্ষ মানুষ। তার আগের বছর ওয়াল স্ট্রিটে মোট লাভ হয়েছিল ৭,০০০ কোটি ডলার, নিউ ইয়র্ক শহরের মোট রাজস্বের ২২ শতাংশ। এই পাড়াতেই অফিস ছিল দুনিয়ার সবচেয়ে বড় আর্থিক সংস্থাগুলোর বেয়ার স্টার্নস, জে পি মরগান চেজ, সিটিগ্রুপ ইনকর্পোরেটেড, গোল্ডম্যান স্যাকস, মরগান স্ট্যানলি, মেরিল লিঞ্জ, লেম্যান ব্রাদার্স। অবশ্য, এ সবই মন্দার আগের কথা। ২০০৮ সালের মন্দায় লেম্যান ব্রাদার্স দেউলিয়া হয়ে যায়, বেয়ার স্টার্নসকে কিনে নেয় জে পি মরগান চেজ আর ব্যাঙ্ক অব অ্যামেরিকা কিনে নেয় মেরিল লিঞ্চকে। তাতে অবশ্য ওয়াল স্ট্রিটের গৌরবে কালির ফোঁটাটুকুও পড়েনি। এখনও গোটা দুনিয়ার শেয়ার বাজার তাকিয়ে থাকে ওয়াল স্ট্রিটের দিকে এই বাজারের সূচকের ওঠাপড়ার ওপর নির্ভর করে, সারা পৃথিবীর শেয়ার বাজারে কী হবে।
আর হ্যাঁ, শেয়ার বাজার ভাল চলার আন্তর্জাতিক প্রতীক যে ষাঁড়, তারও জন্ম কিন্তু ওয়াল স্ট্রিটেই।
• এক মাসের ওপর হয়ে গেল তেলেঙ্গানা পৃথক রাজ্যের দাবিতে গোটা অন্ধ্রপ্রদেশ জুড়ে হরতাল। কিন্তু কেন, কোথা থেকে, কবে থেকে এই তেলেঙ্গানা আন্দোলন? তেলেঙ্গানা অঞ্চলটি অন্ধ্রপ্রদেশ উত্তর-পশ্চিম ভাগে অবস্থিত, হায়দরাবাদ, আদিলাবাদ, নিজামাবাদ, ওয়রঙ্গল ইত্যাদি ১০টি জেলা নিয়ে গঠিত, কৃষ্ণা ও গোদাবরী দুটি প্রধান নদী-সমেত। স্বাধীনতার পর ১৯৪৮ সালে যখন হায়দরাবাদের নিজামের রাজ্য জোর করে ভারতীয় ইউনিয়নের মধ্যে আনা হয়, তখন থেকেই তেলেঙ্গানার আলাদা রাজ্য নির্মাণের দাবি প্রবল, যে রাজ্যের রাজধানী হবে হায়দরাবাদ। বক্তব্য: অন্ধ্রপ্রদেশের মধ্যে তেলেঙ্গানাবাসীদের প্রতি সুবিচার হয় না, তারা অবহেলিত, চাকরিহীন, তাদের অঞ্চল অনুন্নত, অথচ তাদের প্রাকৃতিক সম্পদের জোরেই অন্ধ্র অর্থনীতি পরিপুষ্ট। স্বভাবতই এই ক্ষোভকে কাজে লাগাতে ব্যস্ত হয়ে পড়ে ভারতীয় রাজনীতি। ১৯৯০-এর দশকে ভারতীয় জনতা পার্টি জানায় যে, ক্ষমতায় এলেই তারা পৃথক রাজ্যের ব্যবস্থা করবে। ২০০৪ সালে কংগ্রেসও জানায় যে তারা পৃথক তেলেঙ্গানার পক্ষে। ২০০৯ সালে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী চিদম্বরম পৃথক রাজ্যের প্রতিশ্রুতি দেন। কিন্তু অবশিষ্ট অন্ধ্রবাসীর দাঙ্গা, অনশন, অগ্নিসংযোগের ভয়াবহতার সামনে ঠিক হয় সর্বদলীয় ঐকমত্য ছাড়া এ বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে না। এ বছর ১৩ সেপ্টেম্বর থেকে গোটা তেলেঙ্গানা অঞ্চলে চলছে কর্মরোধ। আপাতত প্রবল চাপের সামনে অন্ধ্র প্রাদেশিক সরকার ও কেন্দ্রের ইউ পি এ সরকার।
• ডাক নাম এনডিএম-১। পুরো কথাটা নিউ দিল্লি মেটালো-বিটা-ল্যাকটামেজ-১। জিনিসটা আসলে এমন এক রাসায়নিক, যা বেশ কিছু জীবাণুকে বানিয়ে ফেলতে পারে মহা শক্তিশালী। এতটাই যে, তেমন জীবাণুরা তখন তোয়াক্কা করে না অ্যান্টিবায়োটিক ওষুধকেও। ২০০৮ সালে এই এনডিএম-১ প্রথম আবিষ্কৃত হয়েছিল ভারতীয় বংশোদ্ভুত এক সুইডিস নাগরিকের দেহে। দিল্লির বেশ কিছু এলাকায় সম্প্রতি শনাক্ত হয়েছে এনডিএম-১ আশীর্বাদপুষ্ট ভাইরাস। রাজধানীর মানুষেরা আতঙ্কিত। অবশ্য দিল্লির রাজ্য সরকারের তরফে স্বাস্থ্যমন্ত্রী এ কে ওয়ালিয়া ঘোষণা করেছেন পরিস্থিতি বিপজ্জনক নয়।
মন্ত্রীর আশ্বাসবাণীতে সাধারণ মানুষ আশ্বস্ত নন। কারণ ওখানকার কয়েকটি হাসপাতালে খোদ ইন্টেনসিভ কেয়ার ইউনিটে পর্যন্ত শনাক্ত হয়েছে এনডিএম-১। মন্ত্রী ওয়ালিয়া নির্দেশ দিয়েছেন হাসপাতালে অ্যান্টিবায়োটিক ব্যবহার বুঝেসুঝে করতে। এনডিএম-১ নিয়ে গত বছর হইচই হয়েছিল বিস্তর। খবরের কেন্দ্রে ছিল স্বাস্থ্য বিষয়ক জার্নাল ‘ল্যান্সেট’। পত্রিকাটি দাবি করেছিল, এনডিএম-১-এর জন্ম নাকি ভারতে। সেই সূত্রে রাসায়নিকটির নামের মধ্যে এন ডি বা নিউ দিল্লি শব্দ-দুটি এসেছে। ভারত সরকারের পক্ষ থেকে এই নামকরণে ঘোর আপত্তি জানানো হয়েছিল। এনডিএম-১-এর উৎস সম্পর্কে ‘ল্যান্সেট’-এ প্রকাশিত দাবিতে চ্যালেঞ্জও করেছিল ভারতীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক। বলাই বাহুল্য, সে আপত্তি টেকেনি। গত এপ্রিলে ওই জার্নালে প্রকাশিত আর এক রিপোর্টে ফের দাবি করা হয়েছিল দিল্লিতে এনডিএম-১-এর উপস্থিতি। দিল্লি প্রশাসন যে পানীয় জল সরবরাহ করে, তা জীবাণুমুক্ত কিনা, সে বিষয়েও সন্দেহ প্রকাশ করা হয়েছিল।
নোবেল
• সম্প্রতি ২০১১ সালের নোবেল পুরস্কার বিজয়ীদের নাম ঘোষিত হল। নতুন রাসায়নিক গঠন ‘কোয়াসিক্রিস্টালস’ আবিষ্কার করার জন্য এ বছর নোবেল পেলেন ইজরায়েলি রসায়নবিদ ড্যানিয়েল শেখটমান। শান্তি, গণতন্ত্র ও উন্নয়নের প্রশ্নে নারীর অধিকারকে অবিচ্ছেদ্য বলে ঘোষণা করে তিন কন্যার শান্তি অভিযানকে সেলাম জানাল নোবেল কমিটি। এ বছর নোবেল শান্তি পুরস্কার পাচ্ছেন লাইবেরিয়ার প্রেসিডেন্ট এলেন জনসন স্যরলিফ, লাইবেরিয়ারই সমাজকর্মী লেমা জিবোউয়ি এবং ইয়েমেন-এর মানবাধিকার কর্মী তাওয়াকুল কারমান। কবিতায় সহজ শব্দ ব্যবহার করে বাস্তব দুনিয়াকে নতুন ভাবে তুলে ধরার জন্য এ বারের সাহিত্যে নোবেল পেলেন সুইডিশ কবি টমাস ট্রান্সস্ট্রোয়েমার। আমাদের ব্রহ্মাণ্ডের আকারে বেড়ে চলার হার যে ক্রমশই বেড়ে চলছে, সেটা জানানোর জন্য পদার্থবিজ্ঞানে নোবেল পেলেন জন্মসূত্রে তিন মার্কিন বিজ্ঞানী সল পার্লমাটার, ব্রায়ান স্মিট এবং অ্যাডাম রিস। ‘র্যাশনাল এক্সপেক্টটেশন্স’-এর তত্ত্ব নিয়ে কাজ করার জন্য অর্থনীতিতে নোবেল পেলেন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে দুই অর্থনীতিবিদ টমাস সার্জেন্ট ও ক্রিস্টোফার সিমস। মেডিসিনে ক্যানসার এবং অন্যান্য সংক্রামক রোগ নিরাময়ের ক্ষেত্রে ইমিউন সিস্টেম নিয়ে আবিষ্কারের জন্য নোবেল পাচ্ছেন ব্রুস এ বিউটলার, জুল হফম্যান এবং প্রয়াত র্যালফ স্টাইনম্যান।

২০১১ কেমিক্যাল ল্যান্ডমার্ক প্লাক
• ব্রিটেন-এর ‘রয়্যাল সোসাইটি অব কেমিস্ট্রি’ আচার্য প্রফুল্লচন্দ্র রায়কে ‘কেমিক্যাল ল্যান্ডমার্ক প্লাক’ দেওয়ার কথা ঘোষণা করল।

জোবস
• ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে ৫৬ বছর বয়সে মারা গেলেন ‘অ্যাপল’-এর কর্ণধার স্টিভ জোবস।

আকাশ
• ভারতে শিক্ষার প্রসার ঘটাতে ছাত্রছাত্রীদের জন্য পৃথিবীর সবচেয়ে সস্তা ট্যাবলেট-কম্পিউটার ‘আকাশ’-এর উদ্বোধন করা হল।

জগজিৎসিংহ
• ৭০ বছর বয়সে মারা গেলেন ভারতের জনপ্রিয় গজল গায়ক জগজিৎ সিংহ।


First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.