|
|
|
|
|
|
|
‘মনমোহন সিংহ’ স্কলারশিপ |
ভারতের প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংহ কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের সেন্ট জনস্ কলেজ থেকে অর্থনীতিতে স্নাতক ডিগ্রি লাভ করেন। পরে এই কলেজ থেকেই তাঁকে সাম্মানিক ফেলোশিপ প্রদান করা হয়। ভারতীয় অর্থনীতিতে তাঁর অসামান্য অবদানের কথা মাথায় রেখে ২০০৭ সালে দিল্লিতে ‘ড. মনমোহন সিংহ স্কলারশিপস’ চালু করার কথা ঘোষণা করেছে কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়। সায়েন্স এবং টেকনলজি, ইকনমিক্স এবং সোশাল সায়েন্স নিয়ে যে সব মেধাবী ভারতীয় ছাত্রছাত্রী কেমব্রিজের সেন্ট জনস্ কলেজে উচ্চশিক্ষা করতে যাবে তাদের এই বৃত্তি দেওয়া হবে। বৃত্তির মধ্যে পড়াশোনার খরচের পাশাপাশি বিদেশ যাত্রার জন্য আন্তর্জাতিক উড়ান, থাকা খাওয়া এবং ইউ কে ভিসা খরচও বরাদ্দ করা থাকবে।
কী যোগ্যতা লাগবে?
১) প্রার্থীকে ভারতীয় নাগরিক হতে হবে।
২) ৩১ ডিসেম্বর ২০১১ সালে বয়স ৩৫ বছরের মধ্যে থাকতে হবে।
৩) সংশ্লিষ্ট বিষয়ে স্নাতক এবং স্নাতকোত্তর স্তরে ফার্স্ট ক্লাস ডিগ্রি সহ কোনও স্বীকৃত বিশ্ববিদ্যালয় বা প্রতিষ্ঠান থেকে মাস্টার্স ডিগ্রি থাকতে হবে।
৪) বলা ও লেখার ক্ষেত্রে ইংরেজিতে দক্ষতা থাকা চাই।
৫) ব্রিটেনের সরকারের কাছ থেকে আগে কোনও অনুদান পাওয়া অথবা সেখানকার পড়াশোনার সঙ্গে পরিচিতি থাকা চলবে না।
৬) পার্সোনাল স্টেটমেন্ট-এর মাধ্যমে নেতৃত্ব দেওয়ার ক্ষমতা সম্পর্কে প্রমাণ দিতে হবে।
৭) ভর্তির জন্য প্রতিষ্ঠানের দেওয়া অন্যান্য শর্তও পূরণ করতে হবে।
|
|
আবেদনের প্রক্রিয়া ক্ষেত্রে কয়েকটি ধাপ রয়েছে। যেমন:
১) প্রার্থীকে উপযুক্ত ডক্টরাল প্রোগ্রাম ও সেই সূত্রে বিশ্ববিদ্যালয়ের সুপারভাইজার বাছতে হবে।
২) ‘ড. মনমোহন সিংহ স্কলারশিপস’-এর জন্যে আবেদনের সময়েই তাকে প্রতিষ্ঠানের বোর্ড অব গ্র্যাজুয়েট স্টাডিজ-এর (বিওজিএস) ওয়েবসাইটে গিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের কাছে একটি আনুষ্ঠানিক আবেদন পাঠাতে হবে।
৩) আবেদনপত্রে প্রার্থীকে সেন্ট জনস্ কলেজকেই প্রথম পছন্দ হিসেবে বাছতে হবে।
৪) বিওজিএস ফর্মে মনমোহন বৃত্তির জন্য আবেদন করার পাশাপাশি প্রার্থীকে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আর্থিক সাহায্য পাওয়ার অংশটিও ভর্তি করতে হবে। ৫) যে ভাবে লিখতে বলা হয়েছে ঠিক সেই ভাবে বৃত্তির আবেদনটি লিখে ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে জমা দিতে হবে ব্রিটিশ কাউন্সিলে।
আবেদন জমা পড়ার পর ব্রিটিশ কাউন্সিল থেকে প্রার্থীর কাছে একটি ই-মেল পাঠানো হবে আবেদন পাওয়ার স্বীকৃতি হিসেবে। এর জন্য প্রার্থীকে অবশ্যই একটি বৈধ ই-মেল অ্যাড্রেস দিতে হবে আবেদনের মধ্যে। বাছাই প্রার্থীদের এর পর ডাকা হবে পার্সোনাল ইন্টারভিউ-এ। দিল্লিতে, পরের বছর এপ্রিল মাসে। ওয়েবসাইট: www.britishcouncil.org/india |
|
• ৩১ ডিসেম্বর ২০১১ সালে প্রার্থীর বয়স ৩৫ বছরের মধ্যে থাকতে হবে।
• বৃত্তির মধ্যে পড়াশোনার খরচের পাশাপাশি বিদেশ যাত্রার জন্য আন্তর্জাতিক উড়ান,
থাকা খাওয়া এবং ইউ কে ভিসা খরচও বরাদ্দ করা থাকবে।
• ৩১ ডিসেম্বরের, ২০১১-র মধ্যে ব্রিটিশ কাউন্সিলে জমা দিতে হবে বৃত্তির আবেদন। |
|
|
বিদেশে পাইলট ট্রেনিং নিতে চাই। কোথায় প্রশিক্ষণ পেতে পারি? ভর্তির শর্ত কী? অদিতি দাস, সন্তোষপুর
অস্ট্রেলিয়ার বেশ কয়েকটি প্রতিষ্ঠানে পাইলট ট্রেনিং দেওয়া হয়। যেমন, আর এম আই টি ইউনিভার্সিটি, ট্রাই স্টার এভিয়েশন, অস্ট্রেলিয়ান ন্যাশনাল এয়ারলাইনস কলেজ, ইউনিভার্সিটি অব সাউথ অস্ট্রেলিয়া, ইউনিভার্সিটি অব ওয়েস্টার্ন অস্ট্রেলিয়া প্রভৃতি প্রতিষ্ঠানে পাইলট ট্রেনিং-এর এক বছরের ডিপ্লোমা কোর্সের ব্যবস্থা আছে।
ভর্তির শর্ত: উচ্চ মাধ্যমিক, আই ই এল টি এস-এ ৫.৫ থেকে ৬ স্কোর। উচ্চ মাধ্যমিকে অঙ্ক, ফিজিক্স থাকলে বাড়তি সুবিধা পাওয়া যায়। ভর্তির আগে প্রথম শ্রেণি ক্যাটেগরির ফিজিকাল ফিটনেস টেস্ট দিতে হয়। সাধারণত ইসিজি, অডিয়োগ্রাম, আই-সাইট টেস্ট রক্ত পরীক্ষা প্রভৃতি করানো হয়। সিভিল এভিয়েশন অ্যাসোসিয়েশন-এর ওয়েবসাইটে গিয়ে তাদের ডাক্তারদের সঙ্গে যোগাযোগ করে এই পরীক্ষাগুলি করতে হয়। তবে এই পরীক্ষাগুলি সময়সাপেক্ষ। তাই যথেষ্ট সময় হাতে রেখে ভর্তির আবেদন করা উচিত।
ক্রিকেট খেলার কোর্স করতে চাই। কোথায় করা যেতে পারে? সূর্য দাস, বারুইপুর
নিউজিল্যান্ডের অকল্যান্ড ইউনিভার্সিটি অব টেকনলজির ‘ডিপ্লোমা ইন স্পোর্ট অ্যান্ড রিক্রিয়েশন - ক্রিকেট’ এমন ভাবে ডিজাইন করা হয়েছে যা স্পোটর্স ম্যানেজমেন্ট, কোচিং বা খেলায় প্রফেশনাল কেরিয়ার তৈরি করে দেবে। এই কোর্সে শিক্ষার্থীরা এক্সারসাইজ সায়েন্স, কোচিং কোয়ালিটি সার্ভিস, সুপারভিশন ছাড়াও প্র্যাকটিকাল ইন্ডাস্ট্রিতেও দক্ষতা অর্জন করতে পারে। নিউট্রিশন, হেলথ, প্রোগ্রাম ইভেন্ট ম্যানেজমেন্ট, অ্যাচিভমেন্ট অ্যান্ড মোটিভেশন ইন স্পোর্ট অ্যান্ড রিক্রিয়েশন প্রভৃতি পড়ানো হয়।
ডিপ্লোমা কোর্সটির ক্ষেত্রে ভর্তির শর্ত: উচ্চ মাধ্যমিক স্তরের পরীক্ষায় ৬০ শতাংশ নম্বর, স্কুলে বা কলেজের টিমে খেলার প্রমাণপত্র। কোর্সের টিউশন ফি আনুমানিক ১৯ হাজার নিউজিল্যান্ড ডলার।
ফিজিয়োলজির দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রী। স্পোর্টস সায়েন্স নিয়ে ব্রিটেনে পড়তে চাই। কোথায় পড়ব? ভর্তির শর্ত কী?
শৌভিক দাস। বাগুইআটি
ব্রিটেনের শেফিল্ড হ্যালাম এবং লন্ডন সাউথ ব্যাঙ্ক ইউনিভার্সিটিতে ‘স্পোর্টস অ্যান্ড এক্সারসাইজ সায়েন্স’-এ পড়ার ব্যবস্থা রয়েছে। লন্ডন সাউথ ব্যাঙ্কে তিন বছরের বি এসসি অনার্স আর শেফিল্ড হ্যালামে এম এসসি/ পি জি ডিপ্লোমা/ পি জি সার্টিফিকেট পড়ার সুবিধা রয়েছে। মাস্টার্স পড়তে হলে অনার্স ডিগ্রি ও সঙ্গে আই ই এল টি এস স্কোর ৬.০ থাকা চাই। অ্যাবারডিন বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘মলিকিউলার এক্সারসাইজ ফিজিয়োলজি’-তে মাস্টার্স ও পোস্ট গ্র্যাজুয়েট ডিপ্লোমা কোর্স করানো হয়। ব্রুনেল বিশ্ববিদ্যালয়ে স্পোর্টস সায়েন্সেস (হিউম্যান পারফরমেন্স অথবা স্পোর্টস সাইকলজি)-এ এম এসসি পড়ানো হয়।
ভর্তির শর্ত: আই ই এল টি এস-এ ৬.৫ স্কোর থাকা চাই। ইউনিভার্সিটি অব ডার্বিতে স্পোর্টস অ্যান্ড এক্সারসাইজ সায়েন্স, স্পোর্টস ডেভেলপমেন্ট, স্পোর্টস সাইকলজি, স্পোর্টস অ্যান্ড এক্সারসাইজ স্টাডিজ পড়ার ব্যবস্থা আছে। বেশ কিছু প্রতিষ্ঠানে আন্তর্জাতিক স্কলারশিপের ব্যবস্থা রয়েছে, তবে অধিকাংশই পোস্ট গ্র্যাজুয়েশন স্তরের জন্য। |
|
|
|
|
|