অকুপেশনাল থেরাপি
দ্বাদশ শ্রেণির পরীক্ষার পর যে সব ছাত্রছাত্রী স্পেস সায়েন্স-এর বিভিন্ন বিষয় নিয়ে পড়াশোনা করতে চায় তারা তিরুবনন্তপুরমের ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অব স্পেস সায়েন্স অ্যান্ড টেকনলজিতে আবেদন করতে পারে। এখানে স্পেস সায়েন্স এবং টেকনলজি-র ওপর স্নাতক থেকে ডক্টরাল পর্যায় অবধি বিভিন্ন কোর্স করা যাবে। বর্তমানে প্রতিষ্ঠানে এয়ারোস্পেস ইঞ্জিনিয়ারিং, এভিয়নিক্স এবং ফিজিক্যাল সায়েন্সেস-এর ওপর বি টেক কোর্স করানো হচ্ছে। সব ক’টি কোর্সের মেয়াদ চার বছরের। এয়ারোস্পেস ইঞ্জিনিয়ারিং-এ বি টেক করে ছাত্রছাত্রীরা ফ্লাইট মেকানিক্স, থার্মাল অ্যান্ড প্রোপালসন, স্ট্রাকচার অ্যান্ড ডিজাইন-এর ওপর স্পেশালাইজেশন করতে পারবে। তেমনই এভিয়নিক্স-এ বি টেক করে উচ্চশিক্ষা করা যাবে পাওয়ার ইলেকট্রনিক্স, মাইক্রো ইলেকট্রনিক্স, কন্ট্রোল সিস্টেমস, অ্যান্টেনার মতো বিষয়ে।
কোর্সগুলিতে ভর্তি হতে ছাত্রছাত্রীদের অল ইন্ডিয়া অ্যাডমিশন টেস্ট (ISAT) দিতে হবে। প্রশ্ন থাকবে অবজেকটিভ ধরনের। ফিজিক্স, কেমিস্ট্রি এবং অঙ্কের ওপর আলাদা আলাদা বিভাগ করে প্রশ্ন দেওয়া হবে। প্রতিষ্ঠানের ওয়েবসাইট (http://www.iist.ac.in/) থেকে অনলাইনের মাধ্যমে ফর্ম সংগ্রহ করা যাবে। ২১ এপ্রিল, ২০১২ সালে এই সর্বভারতীয় পরীক্ষাটি হবে।

• উচ্চ মাধ্যমিকে বিজ্ঞান থাকলে স্নাতক স্তরে বিষয়টি নিয়ে পড়া যায়।
• প্রতিষ্ঠানে স্পেস সায়েন্স-এর বিভিন্ন বিষয়ে স্নাতক স্তর থেকে ডক্টরাল পর্যায় পর্যন্ত পড়া যায়।
• ভাল ফল করার পর ছাত্রছাত্রীরা ইন্ডিয়ান স্পেস রিসার্চ অর্গানাইজেশনে গবেষক/ ইঞ্জিনিয়ার পদে যোগ দিতে পারে।

ফোকাস


শিক্ষক,
কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়

বিজ্ঞান নিয়ে স্নাতকস্তরে পড়ছি। ভবিষ্যতে পলিমার টেকনলজি নিয়ে উচ্চশিক্ষা করতে চাই। কোথায় করা যাবে? চাকরির সুযোগ কেমন?



কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে পলিমার সায়েন্সে বি টেক পড়ানো হয় রাজাবাজার বিজ্ঞান কলেজে। এখানে ৩ বছরের বি টেক কোর্সে ভর্তির জন্য যোগ্যতা লাগে কেমিস্ট্রি অনার্সে ভাল নম্বর। অনার্সের নম্বরের ভিত্তিতে সরাসরি ভর্তি করা হয়। এম টেক-এ ভর্তির জন্য ‘গেট’-এর স্কোর জরুরি। বি টেক-এ আসন সংখ্যা ৩০টি, এম টেক-এ ১৮টি। রাজ্যের বাইরে আন্না ইউনিভার্সিটি অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনলজি, কানপুরের হারবার্ট বাটলার টেকনিক্যাল ইনস্টিটিউট, দিল্লি টেকনলজিক্যাল ইউনিভার্সিটি, বি আই টি মেসরা ইত্যাদিতে পলিমার টেকনলজি পড়া যায়। আই আই টি দিল্লি ও খড়্গপুরে এম টেক এবং আই আই টি রুরকি-তে বি টেক এবং এম টেক পড়ানো হয়। এই বিষয়ে বি টেক করার পর প্লাস্টিক শিল্প, পেট্রোলিয়াম শিল্প ইত্যাদিতে কাজের পাওয়া যায়। এম টেক চাকরির ছাড়া গবেষণাও করা যায়।

হিউম্যানিটিজ-এর দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্রী। ভবিষ্যতে শারীরশিক্ষা নিয়ে পড়তে চাই। এই রাজ্যে বিষয়টির ভবিষ্যৎ কেমন? এবং কোথায় কোথায় পড়ার সুযোগ আছে?


এ রাজ্যের বিভিন্ন কলেজ এবং বিশ্ববিদ্যালয়ে শারীরশিক্ষায় স্নাতক এবং স্নাতকোত্তর কোর্স পড়ানো হয়। এর মধ্যে রয়েছে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের ১ বছরের বি পি ই ডি কোর্স। যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে বি পি ই ডি এবং এম পি ই ডি, উভয় কোর্সই পড়ানো হয়। এ ছাড়া গভর্নমেন্ট কলেজ অব কোচবিহার, কল্যাণী বিশ্ববিদ্যালয়, উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়েও স্নাতকস্তরে কোর্সটি চালু রয়েছে। স্নাতকস্তরের পর কল্যাণী বিশ্ববিদ্যালয়ে (www.klyuniv.ac.in), কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে (www.caluniv.ac.in/india.html, শুধুমাত্র মেয়েদের জন্য এই কোর্সটি হয় হেস্টিংস হাউসে)। ওয়েস্ট বেঙ্গল স্টেট ইউনিভার্সিটির অন্তর্গত বাণীপুর বি এড কলেজে (www.banipurbedcollege.org) এম পি ই ডি করা যায়। বি পি ই ডি-র পর প্রবেশিকা পরীক্ষার মাধ্যমে এম পি ই ডি-তে ভর্তি হওয়া যায়। বাণীপুর ও কল্যাণী বিশ্ববিদ্যালয়ে ১ বছরের এম ফিল পড়ার সুযোগ রয়েছে।
স্নাতকস্তরের পরেই এই বিষয়ে স্কুলগুলোতে শারীরশিক্ষার শিক্ষকতার জন্য এস এস সি পরীক্ষায় বসা যায়। এ ছাড়া বিভিন্ন যোগ এবং শারীরশিক্ষা কেন্দ্রে কাজ করা যায়।

দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্র। ভবিষ্যতে ‘কম্পিউটার সফটওয়্যার’ সংক্রান্ত কোর্স করতে চাই। কী ধরনের কোর্স করা যেতে পারে? মেয়াদ কত বছরের? কোথা থেকে করা যায়? খরচ কেমন লাগে? চাকরির সুযোগ কী রকম?


কম্পিউটার সফটওয়্যার-এর ওপর বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে নানা ধরনের কোর্স আছে। বেসিক থেকে অ্যাডভান্স সফটওয়্যার, সব ধরনেরই কোর্স করা যেতে পারে। সি এম সি গড়িয়া শাখায় (দীনবন্ধু অ্যান্ড্রুজ কলেজের কাছে, যোগাযোগ: ২৪৩০-২৮২৪) ৬ মাসের বেসিক কোর্সের খরচ ৮,৮০০ টাকা। এদের ১ বছরের প্রোগ্রামিং কোর্সের খরচ ২২,০০০ টাকা। এ ছাড়া, ১ বছরের অ্যাডভান্সড কোর্স আছে ২৪,০০০ টাকার কাছাকাছি। কোর্সগুলিতে সপ্তাহে তিন দিন করে ক্লাস হয়। প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে রাত ৮টা ৩০ পর্যন্ত যোগাযোগ করা যাবে।
জর্জ টেলিগ্রাফ-এ বি সি এ কোর্স আছে। ১০+২ স্তরে অঙ্ক, কম্পিউটার অ্যাপ্লিকেশন, কম্পিউটার সায়েন্স, বিজনেস ম্যাথমেটিক্স থাকলে সরাসরি ভর্তি হওয়া যায়। খরচ পড়বে ১ লক্ষ ৭৫ হাজার টাকা, যা ইনস্টলমেন্টে দেওয়া যাবে। এটি ডব্লিউ বি ইউ টি-র অনুমোদিত কোর্স। যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে কেন্দ্রীয় সরকারের ‘ডি ও ই এ সি সি’-তে ১ বছরের ‘ও’ লেভেল কোর্সের জন্য যোগ্যতা লাগে ১০+২ পাশ। খরচ পড়ে ১০,০০০ টাকা। এদের ‘এ’ লেভেল কোর্সের জন্য যোগ্যতা যে-কোনও শাখার গ্র্যাজুয়েট। খরচ: ১ বছরের জন্য ২০,০০০ টাকা। দিনের বেলা ও সান্ধ্য দু’ধরনের ক্লাসই আছে। এ ছাড়া ওয়েস্ট বেঙ্গল ইউনিভার্সিটি অব টেকনলজি স্বীকৃত ‘বি সি এ’ কোর্স আছে হেরিটেজ ইনস্টিটিউট অব টেকনলজি (http://www.heritageit.edu/), হলদিয়া ইনস্টিটিউট অব টেকনলজি (http://www.hithaldia.in/), ড. বি সি রায় ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ ইত্যাদিতে। সফটওয়্যার কোর্স করলে সরকারি ও বেসরকারি নানা ক্ষেত্রে বিভিন্ন ধরনের চাকরি পাওয়া যায়। যত অ্যাডভান্স কোর্স করা থাকবে, কাজের সুযোগও ততই বাড়বে।
দেশের ভিতরে পড়াশোনা, ট্রেনিং-এর নানান সুযোগসুবিধের
বিষয় জানানো হবে এই কলামে। এ বিষয়ে প্রশ্ন পাঠাও।
খামের উপর লেখো:

হোম পেজ, প্রস্তুতি,


First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.