টুকরো খবর
পিটিয়ে খুন যুবককে, পলাতক ৪ অভিযুক্ত
এক কলেজ ছাত্রকে পিটিয়ে খুন করার অভিযোগ উঠল চার জনের বিরুদ্ধে। রবিবার বিকেলে ঘটনাটি ঘটেছে খড়দহের রুইয়া নালির মাঠে। পুলিশ জানিয়েছে, ওই ছাত্রের নাম সুমন সাহা (২৩)। তিনি ব্যারাকপুর সুরেন্দ্রনাথ কলেজের ছাত্র। ওই ঘটনার পরে অভিযুক্ত চার জন পালিয়ে যায়। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে এলে এলাকার মানুষ তাদের গ্রেফতারের দাবিতে বিক্ষোভ দেখান। পুলিশ জানিয়েছে, ওই খুনের ঘটনার মূল অভিযুক্ত বিজিত বিশ্বাস নামের এক যুবক। বিজিতের নামে তোলাবাজির অভিযোগ রয়েছে। বিজিতের সঙ্গে সুমনের পরিচয় ছিল। তার বাড়িতেও সুমনের যাওয়া আসা ছিল বলে এলাকার মানুষ পুলিশকে জানিয়েছেন। বিজিতের সঙ্গে তাঁর স্ত্রীর সম্পর্ক ভাল ছিল না বলেও পুলিশ জানতে পেরেছে। পুলিশ সূত্রের খবর, এ দিন বিকেলে সুমন বাড়ি থেকে বেরিয়ে মাসির বাড়ি যাওয়ার সময় বিজিতের সঙ্গে বচসায় জড়িয়ে পড়েন। আচমকাই রাস্তার ধারে পড়ে থাকা একটি বাঁশ তুলে সুমনকে এলোপাথাড়ি মারতে শুরু করে বিজিত ও তার তিন সঙ্গী। সুমন রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে যেতেই চার জন পালায়। পরে স্থানীয় বাসিন্দারা ব্যারাকপুর তাঁকে বিএন বসু মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকেরা মৃত বলে ঘোষণা করেন। এই ঘটনার পর সন্ধ্যায় এলাকায় উত্তেজনা ছড়ায়। খড়দহ থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছলে তাদের বিক্ষোভের মুখে পড়তে হয়। উত্তর ২৪ পরগনার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জয় বিশ্বাস বলেন, ‘‘কলেজ ছাত্র খুনের ঘটনায় অভিযুক্তদের ধরা যায়নি। তল্লাশি চলছে।’’ তবে বিকেলবেলায় সবার সামনে এই ঘটনা ঘটলেও, সুমনকে বাঁচাতে কেউ এগিয়ে এলেন না কেন, তা বুঝে উঠতে পারেননি পুলিশকর্তারা।

কাঁকিনাড়ায় আক্রান্ত শ্রমিক নেতারা
গ্র্যাচুইটি ও বিভিন্ন দাবি-দাওয়া নিয়ে আন্দোলন করতে গিয়ে দুষ্কৃতীদের হাতে মার খেলেন কয়েকজন শ্রমিক নেতা। রবিবার কাঁকিনাড়া চটকলের সামনে। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, এই চটকলের দশটি শ্রমিক সংগঠনের মধ্যে আইএনটিটিইউসি বাদে ন’টি সংগঠনই আন্দোলনে যোগ দিয়েছিল। সকালের দিকে কারখানা গেটের সামনে ধর্না মঞ্চ করে বক্তৃতার প্রস্তুতির সময়ে রাষ্ট্রীয় চটকল মজদুর ইউনিয়নের নেতা কমলকুমার সিংহের উপরে হামলা চালায় কয়েক জন দুষ্কৃতী। তাঁকে মাটিতে ফেলে বেধড়ক মারধর করা হয়। কমলবাবুর বাঁ চোখে আঘাত লাগে। তাঁকে ভাটপাড়া স্টেট জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখান থেকে পাঠানো হয় কল্যাণী ইএসআই হাসপাতালে। কমলবাবুর অভিযোগ, ‘‘মালিকপক্ষের আশ্রিত দুষ্কৃতীরাই হামলা চালিয়েছে।” বিকেলে ওই একই মঞ্চে ভাষণ দিচ্ছিলেন রাষ্ট্রীয় চটকল মজদুর ইউনিয়নের আর এক নেতা দীননাথ। মঞ্চে ছিলেন ভাটপাড়ার প্রাক্তন পুরপ্রধান তথা সিটু নেতা রামপ্রসাদ কুণ্ডু-সহ আরও কয়েক জন। আচমকাই কিছু দুষ্কৃতী মঞ্চে উঠে মাইক কেড়ে নেয়, মারধর শুরু করে বলে অভিযোগ। জগদ্দল থানায় এ ব্যাপারে লিখিত অভিযোগ হয়েছে। কারা আক্রমণ করল? এ ব্যাপারে সরাসরি কারও বিরুদ্ধে অভিযোগ করেননি সিটু নেতা। তিনি বলেন, “এক দল দুষ্কৃতী হামলা চালিয়েছে। তাদের কারা কী উদ্দেশে পাঠিয়েছিল, বলতে পারব না।” মালিক পক্ষের কেউ এই ঘটনায় মুখ খোলেননি।

অপরাধী ধরা না পড়ায় ক্ষোভ টাকিতে
উত্তর ২৪ পরগনার টাকিতে স্বর্ণ ব্যবসায়ী শম্ভু দত্তকে গুলি করে খুনের ঘটনার পরে তিনদিন কটে গেলেও অপরাধীদের কাউকে পুলিশ ধরতে পারেনি পুলিশ। এই ঘটনায় স্থানীয় ব্যবসায়ীমহল ক্ষুব্ধ। ক্ষুব্ধ এলাকার বাসিন্দারাও। শুধু এই ঘটনাই নয়, বৃহস্পতিবার ওই রাতেই টাকি গ্রামীণ হাসপাতালে একজল মানুষ উত্তেজিত হয়ে এক চিকিৎসক ও তিন জন স্বাস্থ্যকর্মীকে মারধর করেন। হাসপাতালে ভাঙচুর চালান। ঘটনার পরে বিএমওএইচ ও আহতেরা পুলিশের কাছে অভিযোগ দায়ের করেন। কিন্তু আজও দোষীদের গ্রেফতার করতে পারেন পুলিশ। ঘটনার জেরে নিরাপত্তার অভাব বোধ করায় দু’জন চিকিৎসক হাসপাতে আসা বন্ধ করে দিয়েছেন। ফলে চিকিৎসা পরিষেবায় সমস্যা দেখা দিয়েছে বলে হাসপাতাল সূত্রে জানানো হয়েছে। দু’টি ঘটনাতেই অপরাধীরা এখনও ধরা না পড়ায় স্থানীয় মানুষ পুলিশি নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগ তুলেছেন। যদিও বসিরহাটের এসডিপিও আনন্দ সরকার ব্যবসায় খুনের ঘটনার তদন্ত চলছে। হাসপাতালে মারধর ও ভাঙচুরের অভিযোগ পেয়েছি। ঘটনার সঙ্গে কারা জড়িত তা খতিয়ে দেখে তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নিতে সিআইকে বলা হয়েছে।”

ব্যারাকপুরে ডাকাতি
গৃহকর্তা ও তাঁর ছেলেকে বেঁধে রেখে লুঠপাট চলল শনিবার গভীর রাতে। জগদ্দলের কাঁকিনাড়ার মানিকপীর এলাকায় এই ঘটনায় কেউ গ্রেফতার হয়নি। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, রাত ৩টে নাগাদ নন্দদুলাল সাউ নামে এক মুদি-দোকানির বাড়িতে হানা দেয় ছ’সাত জনের একটি দুষ্কৃতী-দল। নন্দবাবুর ছেলে অজিত শৌচালয়ে যাওয়ার জন্য বাড়ির পিছন দিকের গ্রিলের গেট খুলেছিলেন। সে সময়েই ঢুকে পড়ে দুষ্কৃতীরা। অজিত ও তাঁর বাবাকে পিছমোড়া করে বেঁধে লুঠপাট চালায়। অজিতবাবু বলেন, “ওদের মুখ ঢাকা ছিল। আমাদের কাছ থেকে চাবি নিয়ে আলমারি খোলে দুষ্কৃতীরা। টাকা, গয়নার বাক্স নিয়ে নেয়।” পাশের ঘরে ছিলেন নন্দবাবুর স্ত্রী গায়েত্রীদেবী। তাঁর গা থেকেও গয়না খুলে নেয় দুষ্কৃতীরা।

ম্যাটাডরের ধাক্কায় বালকের মৃত্যু
রাস্তা পেরোতে গিয়ে ম্যাটাডরের ধাক্কায় মৃত্যু হল এক বালকের। রবিবার বিকালে দুর্ঘটনাটি ঘটে কুলপির কচুবেড়িয়া মোড়ের কাছে ১১৭ নম্বর জাতীয় সড়কে। মৃতের নাম সূর্য হালদার (৮)। বাড়ি স্থানীয় আশাপুর গ্রামে। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ডায়মন্ডহারবারমুখী মাছ বোঝাই ম্যাটাডরটি সূর্যকে চাপা দিয়ে পালিয়ে যায়। গুরুতর জখম অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে স্থানীয় লোকজন কুলপি ব্লক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে গেলে চিকিৎসকেরা মৃত ঘোষণা করেন। দেহটি ময়না-তদন্তে পাঠানো হয়েছে।

কংগ্রেসের উদ্যোগে স্বাস্থ্যশিবির বাসন্তীতে
রবিবার বাসন্তীর মাদার টেরিজা মোড়ে ব্লক কংগ্রেসের পক্ষ থেকে এক স্বাস্থ্য শিবিরের আয়োজন করা হয়। কলকাতার কয়েক জন বিশিষ্ট চিকিৎসক ওই এলাকার প্রায় ৩০০ অসহায় দুঃস্থ বৃদ্ধবৃদ্ধার চিকিৎসা করেন। সুগার পরীক্ষারও ব্যবস্থা ছিল। উপস্থিত ছিলেন রাজ্য শ্রম দফতরের প্রতিমন্ত্রী সাবিনা ইয়াসমিন, কংগ্রেস নেত্রী পরভিন বানু, জেলা কংগ্রেসের সংখ্যালঘু সেলের চেয়ারম্যান মেহেতাব হোসেন প্রমুখ। কংগ্রেস নেত্রী এলাকার ৪০ জন দুঃস্থ কৃতী ছাত্রছাত্রীদের হাতে ইংরাজি অভিধান তুলে দেন। দুঃস্থদের হাতে কম্বল তুলে দেন মন্ত্রী।

আলোচনাসভা
তপসিলি জাতিভুক্ত মানুষের সরকারি সুযোগ-সুবিধা নিয়ে এক আলোচনাসভা সম্প্রতি হয়ে গেল উত্তর ২৪ পরগনা জেলা পরিষদের তিতুমির ভবনে। উপস্থিত ছিলেন তপসিলি জাতি সংক্রান্ত জাতীয় কমিশনের সদস্য রাজু পারমার। তিনি জেলাশাসক সঞ্জয় বনশল, অতিরিক্ত জেলাশাসক (সাধারণ) জি এইচ ওয়াইদুল রহমান এবং জেলার তফসিলি জাতিভুক্ত কয়েক জন প্রাক্তন ও বর্তমান বিধায়ক, জেলা পরিষদের সদস্য, পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি ও বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের প্রতিনিধিদের সঙ্গে আলোচনা করেন। পরে সাংবাদিক সম্মেলনে রাজু পারমার বলেন, “তফসিলি জাতিভুক্তদের উন্নয়নের জন্য কেন্দ্রীয় প্রকল্পগুলি সম্পর্কে সচেতন করতে হবে। তাঁদের সুযোগ-সুবিধার উপর নজর দিতে হবে।”

সন্দেশখালিতে নিখোঁজ মৎস্যজীবী
নৌকা থেকে পড়ে নদীতে তলিয়ে গেলেন এক মৎস্যজীবী। শনিবার সন্ধ্যায় ঘটনাটি ঘটেছে উত্তর ২৪ পরগনার সন্দেশখালির কালীনগরের কাছে বেতনি নদীতে। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে নিখোঁজ ওই মৎস্যজবীর নাম খোকন সর্দার। বছর পঁয়তিরিশের ওই যুবক খোকন ন্যাজাট ও কালীনগরের মধ্যে খেয়া পারাপারের কাজ করতেন। ঘটনার দিন সন্ধে ৬টা নাগাদ নৌকা নিয়ে পারাপারের সময় অসতর্কতায় জলে পড়ে যান খোকন। অনেক খোঁজাখুঁজির পরেও তাঁর দেহের সন্ধান পাওয়া যায়নি।

মারামারি শাসনে
এলাকা দখলকে কেন্দ্র করে রবিবার সকালে মারামারি বাধল শাসনের খামার-নবাদ এলাকায়। স্থানীয় বাসিন্দাদের একাংশের দাবি, তৃণমূলের বহিষ্কৃত দুই নেতার গোষ্ঠীর মধ্যে লড়াই বাধে। জখম হন কয়েক জন। এক মহিলা বারাসত হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের দাবি, “দলবিরোধী ও অসামাজিক কাজকর্মের জন্য ওই নেতাদের আগেই দল বহিষ্কার করেছে। এখন সিপিএম-আশ্রিত দুষ্কৃতীরা এলাকায় ঢুকতে চাইছে। তা থেকেই ফের গণ্ডগোল।” অভিযোগ অস্বীকার করে সিপিএম নেতা কুতুবুদ্দিন আহমেদের দাবি, “এটা তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব।”

দুর্ঘটনায় মৃত্যু
ট্রাকে পিষ্ট হলেন এক সাইকেল আরোহী। রবিবার, বারাসতের ময়নার কাছে ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়কে। মৃত রবীন ঘোষের (৪০) বাড়ি মিরহাটিতে। তিনি নিউ ব্যারাকপুরে একটি কারখানায় কাজ করতেন। পুলিশ জানায়, কারখানা থেকে ফেরার সময়ে দুর্ঘটনা ঘটে। এর পরে স্থানীয়েরা পথ-অবরোধ করেন। তাঁদের অভিযোগ, বেহাল জাতীয় সড়ক মেরামতি হচ্ছে না। তার জেরে প্রায়শই দুর্ঘটনা ঘটছে। পুলিশ দাবি পূরণের আশ্বাস দিলে অবরোধ ওঠে।

টাকা-গয়না লুঠ
ভরসন্ধ্যায় বাড়ির তালা ভেঙে কয়েক হাজার টাকা-সহ দামি জিনিস চুরি করল দুষ্কৃতীরা। শনিবার রাতে, বারাসত থানার বামনগাছিতে। পুলিশ জানায়, গৃহকর্তা অসিত দাস-সহ পরিবারের কেউ বাড়ি ছিলেন না। এই ক’দিন অসিতবাবুর মেসোমশাই বিশ্বনাথ দাস রাতে ওই বাড়িতে ঘুমোতেন। শনিবার রাতে বিশ্বনাথবাবু এসে দেখেন, দরজার তালা ও জানলার গ্রিল ভাঙা। আলমারি ভেঙে টাকা ও গয়না উধাও। পুলিশ জানায়, দুষ্কৃতীরা বাড়িটিতে নজর রেখেছিল। স্থানীয়দের অভিযোগ, বামনগাছিতে বারবার চুরির ঘটনা ঘটলেও পুলিশ অপরাধীদের ধরতে ব্যর্থ।

হেরোইন-সহ ধৃত
৫০০ গ্রাম হেরোইন-সহ গ্রেফতার হল দুই ব্যক্তি। রবিবার, বারুইপুর স্টেশন থেকে। ধৃত শামসুদ্দিন গায়েন ও সুলেমান গায়েন বাসন্তী থানা এলাকার বাসিন্দা। পুলিশ সূত্রের খবর, ধৃতেরা মাদক পাচারচক্রের বড় কারবারি। ক্রেতা সেজে শামসুদ্দিন ও সুলেমানকে ধরেন গোয়েন্দারা। পুলিশ জেনেছে, বাজেয়াপ্ত হেরোইনের মূল্য দেড় লক্ষ টাকা। লালগোলা থেকে ওই হেরোইন নিয়ে এসেছিল ধৃতেরা। এই চক্রের বাকিদের সম্পর্কে জানতে ধৃতদের জেরা করছে পুলিশ।

দুই দুষ্কৃতী গ্রেফতার
চুরির অভিযোগে গ্রেফতার হল দুই দুষ্কৃতী। শনিবার, মহেশতলা থেকে। ধৃতদের নাম ছোটু ও মীর। উদ্ধার হয়েছে চুরি যাওয়া গয়না ও টাকা। পুলিশ জানায়, পুজোর সময়ে শকুন্তলা পার্কের দু’টি বাড়ি থেকে গয়না, মোবাইল-সহ কয়েক হাজার টাকার জিনিস, নগদ টাকা চুরি গিয়েছিল।



First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.