শান্তিপুরের ব্যাঙ্ক ডাকাতির পরে ডাকাতদের ফেলে যাওয়া মোটরবাইকটি দুষ্কৃতীরা সল্টলেক থেকে চুরি করে এনেছিল বলে প্রাথমিক তদন্তে পুলিশ জানতে পেরেছে। সেই মোটরবাইকে চেপেই শান্তিপুরের ঘোড়ালিয়া মোড়ে জনবহূল এলাকায় ডাকাতি করে পালায় তারা। ওই দিন রাতেই ফুলিয়া স্টেশনের কাছে মোটরবাইক ও হেলমেটটি পড়ে থাকতে দেখা যায়। স্থানীয় বাসিন্দারাই প্রথমে তা দেখে পুলিশকে খবর দেন। প্রত্যক্ষদর্শীরা তারপরে সেই দু’টিই ডাকাতেরা ওই দিন ব্যবহার করেছিল বলে সনাক্ত করেছেন। পুলিশের অবশ্য ধারণা, ওই মোটরবাইকটি এই দুষ্কৃতীরাই চুরি না-ও করে থাকতে পারে। সম্ভবত সেটি অন্য কোনও হাত ঘুরে এই ডাকাতদের হাতে আসে।
কিন্তু তারা সেটা কেন ফেলে রেখে গেল, তা এখনও বোঝা যাচ্ছে না। পুলিশের একটি মহলের ধারণা, ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষের দাবি মতো, ডাকাতি হয়েছে ২১ লক্ষ টাকা। তারপরে ডাকাতেরা বুঝতেই পেরেছিল যে, সে খবর সর্বত্র পৌঁছে যাবে, পুলিশের নানা মহলও তৎপর হয়ে উঠবে। তাই তারা স্টেশনের কাছে মোটরবাইকটি ফেলে রেখে কোনও ট্রেনে করে পালিয়ে গিয়েছে।
পুলিশের ধারণা, ব্যাঙ্কটি সম্পর্কে দুষ্কৃতীরা খুবই ওয়াকিবহাল। তারা নিখুঁত সময়জ্ঞানেরও পরিচয় দিয়েছে। পুলিশের অনুমান এই ঘটনার সঙ্গে কোনও পাকা মাথা জড়িত। কারণ, ট্রেনের জন্যও তাদের বেশিক্ষণ অপেক্ষা করতে হয়নি। প্রাথমিক ভাবে পুলিশের অনুমান, ডাকাতেরা স্থানীয় বাসিন্দাই। পুলিশের একটি মহলের সন্দেহ, ব্যাঙ্ক কর্মীদের কাছ থেকে কেন দুষ্কৃতীরা মোবাইল ফোনগুলি কেড়ে নেয়নি, তা-ও বোঝা যাচ্ছে না। ওই একই দিনে আরও ব্যাঙ্ক ডাকাতি হয়েছে। তার সঙ্গে এই ঘটনার কোনও সম্পর্ক রয়েছে কি না, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। জেলার পুলিশ সুপার সব্যসাচী রমণ মিশ্র বলেন, “আমরা সব সম্ভাবনাই খতিয়ে দেখছি, সব দিকই খোলা রয়েছে। তদন্তে নেমে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্যও উঠে এসেছে। আশা করছি, খুব দ্রুত আমরা ডাকাত দলটিকে ধরে ফেলব।” ওই ব্যাঙ্কের আঞ্চলিক ম্যানেজার দুর্জয় ঘোষাল বলেন, “পুলিশ যেমন আমাদের কর্মীদের জিজ্ঞাসাবাদ করছে, তেমনই আমরাও পুলিশকে সব রকম ভাবে সাহায্য করছি।” |