এক ছাত্রের বিরুদ্ধে তার সহপাঠিনীকে এসএমএস এবং ফোন করে ‘বিরক্ত’ করার অভিযোগ পেয়েছিলেন স্কুলের শিক্ষকেরা। ওই ছাত্রকে ‘শাসন’ করার নামে রাস্তা থেকে তুলে নিয়ে গিয়ে বেধড়ক মারধর করার অভিযোগ উঠল শিক্ষকদেরই বিরুদ্ধে। মুর্শিদাবাদের ডোমকলের রানিনগর এলাকার একটি স্কুলের নবম শ্রেণির ওই ছাত্র নইম সরকারকে জখম অবস্থায় প্রথমে রানিনগর ব্লক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে তাকে বহরমপুরে স্থানান্তরিত করা হয়। নইমের পরিবার শিক্ষকদের বিরুদ্ধে রানিনগর থানায় অভিযোগ দায়ের করেছে। অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু হয়েছে বলে পুলিশ জানিয়েছে। |
লিখিত অভিযোগে ছাত্রর জামাইবাবু হিটলার শেখ দাবি করেছেন, শনিবার পরীক্ষার পরে বাড়ি ফেরার সময় স্কুলের দুই শিক্ষক নইমকে রাস্তা থেকে ধরে নিয়ে গিয়ে যান। পরে স্কুলের চার শিক্ষক মিলে তাকে বেধড়ক মারধর করেন। লাঠি দিয়েও মারা হয়। নইমের পিঠে ও কানে চোট লেগেছে বলে পরিবার জানিয়েছে। স্কুল কর্তৃপক্ষ মারধরের কথা মেনে নিয়েছেন। প্রধান শিক্ষক আখতার হোসেন বলেন, “ওই ছাত্রীর বাড়ির লোক স্কুলে অভিযোগ করেন, তাকে নইম ফোন করে ও এসএমএস পাঠিয়ে বিরক্ত করত। তাই শিক্ষকরা ছাত্রটিকে শাসন করতে যান। তবে মারধর করা ঠিক হয়নি। আমাদের ভুল হয়ে গিয়েছে।” যে শিক্ষকদের বিরুদ্ধে অভিযোগ, তাঁদের অন্যতম খুরশিদ আলমের দাবি, “স্টাফ কাউন্সিলের সম্পাদক হওয়ায় ওই ছাত্রের বিরুদ্ধে অভিযোগ নিয়ে আলোচনার সময়ে সেখানে ছিলাম। তখনই শাসন করতে গিয়ে একটু মারধর করেছি। তবে রাস্তা থেকে তুলে আনা নিয়ে কিছু জানি না।” নইমের মা বেদানা সরকারের ক্ষোভ, “ছেলে অন্যায় করলে স্কুল কর্তৃপক্ষের জানানো উচিত ছিল। যে ভাবে ওকে মারা হয়েছে, তা অমানবিক। প্রয়োজনে শিক্ষকেরা শাসন করবেন। কিন্তু মারধর করবেন কেন?” |