ভোরের বাসযাত্রীদের কাছ থেকে বেশ কয়েক হাজার টাকা ছিনিয়ে নিল এক দল দুষ্কৃতী। শুক্রবার রাতে ওই দুষ্কৃতীরা জলঙ্গি থানার সাগরপাড়া বাজারের একটি সোনার দোকানে ডাকাতি করতে গিয়েছিল। তার কাছেই ওই বাসস্ট্যান্ড। কিন্তু সেই দোকানে তারা ভল্টটি পুরো ভাঙতে পারেনি। তখনই বাইরে ভোরের প্রথম বাস ধরতে বাসস্ট্যান্ডে এক এক করে জড়ো হচ্ছিলেন যাত্রীরা। তারা দোকানে ডাকাতির ঘটনা বুঝতে পেরে সে কথা ফাঁস করে দিতে পারে এই আশঙ্কায় দুষ্কৃতীরা তাদের বেঁধে রাখে। তাঁদের বেঁধে একটি ঘরে ঢুকিয়ে দেওয়া হয়। তারপরে তাদের কাছ থেকে টাকা লুঠ করে পালায় দুষ্কৃতীরা।
মুর্শিদাবাদের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মৃণাল মজুমদার বলেন, “শুক্রবার রাতে দুষ্কৃতীদের ওই দলটি প্রথমে একটি সোনার দোকানে ডাকাতি করতে যায়। তাদের প্রায় আড়াই ঘণ্টা লাগে ভল্ট ভাঙতে। তত ক্ষণে সামনের বাসস্ট্যান্ডে ভোরের কলকাতা যাওয়ার বাস ধরার জন্য যাত্রীরা চলে এসেছিলেন। তাঁদেরও বেঁধে রেখে দুষ্কৃতীরা লুঠপাট করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে।”
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, রাত দেড়টা নাগাদ বাজারের ওই সোনার দোকানে হানা দেয় ডাকাতেরা। প্রথমে তারা ব্যবসায়ী সমিতির নিয়োগ করা প্রহরীদের বেঁধে ফেলে। যে দোকানে তারা হানা দিয়েছিল সেই দোকানের মালিক অঞ্জন কর্মকার বলেন, “নৈশ প্রহরীদের কাছ থেকে জানতে পেরেছি, একটি ছোট ভ্যানে চেপে ডাকাত দলটি এসেছিল। তারা দোকানের ভল্টটি অবশ্য পুরো ভাঙতে পারেনি। তাই বড় ক্ষতির হাত থেকে বাঁচতে পেরেছি। কিন্তু যাত্রীদের কাছ থেকে টাকাকড়ি কেড়ে নিয়েছে।” সাগরপাড়ার এক যুবক রমেশ হালদার একটি যাত্রা পালা ‘বুক’ করতে কলকাতা যাচ্ছিলেন। তাঁর কাছ থেকে বেশ কয়েক হাজার টাকা লুঠ করে নিয়ে পালায় দুষ্কৃতীরা।
অঞ্জনবাবুর এই দোকানে দু’বছর আগে এক বার ডাকাতি হয়েছিল। তারপরে তিনি লোহার দরজা লাগান। সেই দরজা এ বার ভেঙে ফেলে দুষ্কৃতীরা। কিন্তু সেই ডাকাতির কোনও কিনারা পুলিশ করতে পারেনি বলে অঞ্জনবাবু দাবি করেছেন। তিনি বলেন, “এ বার আরও একবার ডাকাতি হল। ওরা যদি ভল্ট ভাঙতে পারত, তা হলে সর্বস্বান্ত হয়ে যেতাম।” সাগরপাড়া বাজার ব্যবসায়ী সমিতির এক কর্তা দীপকজ্যোতি সরকারের অভিযোগ, “এই এলাকাটি ঘন জনবসতিপূর্ণ। তার মধ্যেই বারবার ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠান আক্রান্ত হচ্ছে। এই ঘটনার ফলে ব্যবসায়ীদের মধ্যে আতঙ্ক বাড়ছে। পাশাপাশি পুলিশের উপরেও অসন্তোষ বাড়ছে।” ডোমকলের মহকুমা পুলিশ আধিকারিক দেবর্ষি দত্ত অবশ্য বলেন, “ওই বাজারের কাছেই একটি পুলিশ ক্যাম্প রয়েছে। কিন্তু পুলিশ কোনও খবর না পাওয়ায় ঘটনাস্থলে পৌঁছতে পারেনি।”
স্থানীয় বাসিন্দাদের অবশ্য দাবি, সীমান্তবর্তী এই এলাকায় বেশ কয়েকটি পুলিশ ফাঁড়ি থাকা দরকার।
মোবাইল চুরির অভিযোগ। মোবাইল চুরির অভিযোগে এক সাইবার ক্যাফে মালিককে গ্রেফতার করেছে কোতোয়ালি থানার পুলিশ। ধৃতের নাম অনিমেশ বিশ্বাস। তাঁর সাইবার ক্যাফেটি কোতোয়ালি থানার সামনেই। পুলিশ জানিয়েছে, কয়েক দিন আগে এক ব্যক্তি তাঁর দোকানে যান। সেখানে তিনি মোবাইল ফেলে আসেন। অনিমেশবাবু ফোনটি চুরি করেছেন বলে তিনি থানায় অভিযোগ করেন। তার ভিত্তিতেই এ দিন অনিমেশবাবুকে গ্রেফতার করা হয়। |