আজ, সোমবার আবার যখন ভারত-ইংল্যান্ড মাঠে নামবে, তখন একটা ব্যাপারে কুক নিশ্চিত থাকতে পারে। হায়দরাবাদে যে রকম পরিস্থিতির মধ্যে ওদের পড়তে হয়েছিল, দিল্লিতেও প্রায় সে রকমই হবে। প্রত্যেক দেশ ঘরের মাঠে নিজেদের শক্তি অনুযায়ী খেলে। ইংল্যান্ড সিমিং পিচে ভারতকে উড়িয়ে দিয়েছিল। আর এ বার ভারতের জবাব দেওয়ার পালা।
টার্নিং পিচের কথা বলতে গিয়ে মনে হচ্ছে, সব কিছু এখন একটা ব্যাপারের উপর দাঁড়িয়ে আছে। স্লো টার্নিং পিচে স্পিনারদের কেমন খেলে ইংল্যান্ডের ব্যাটসম্যানরা। প্রথম ম্যাচ দেখেই বোঝা গিয়েছে, স্লো টার্নারে স্পিন খেলার ব্যাপারে ইংল্যান্ডের ব্যাটসম্যানরা কতটা অনভিজ্ঞ। দু’টো উদাহরণ দেওয়া যাক: রবি বোপারা এবং জনি বেয়ারস্টো। দু’জনেই স্পিনের বিরুদ্ধে আড়াআড়ি ব্যাট চালিয়ে বোলারকে ক্যাচ দিয়ে ফিরে গেল।
এক দিনের ক্রিকেটে আমরা সাধারণত যে ছবিটা দেখে থাকি, তা হল, স্পিনাররা বল করতে এলেই ব্যাটসম্যানরা বিশাল বিশাল ছয় মারছে। কিন্তু মনে রাখতে হবে, যে উইকেটে টার্ন হয় না, সেখানেই এ রকম ব্যাটিং সম্ভব। |
কিন্তু যে সব পিচে বল ঘোরে, সেখানে কী হবে? ছেলেরা মনে রেখো, সে সব পিচে কিন্তু স্পিনের বিরুদ্ধে আড়াআড়ি খেলা যায় না। সামনের হাঁটুটা ভাঁজ করো, বলের কাছে পৌঁছও, যতটা সম্ভব দেরিতে শট খেলো, আর যে দিকে বল স্পিন করছে সে দিকে শট নাও। বোপারা আর বেয়ারস্টো দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে খেলল আর ফলটাও পেল।
ক্রিকেটে একটা পুরনো কথা আছে: স্পিন খেলতে হলে যে দিকে বলটা যাচ্ছে সে দিকে শট খেলো। যে দিক থেকে বলটা আসছে, সে দিকে নয়। যখন এক জন বাঁ হাতি স্পিনার বল ঘোরাচ্ছে, তখন বলটা ডান হাতি ব্যাটসম্যানের লেগ থেকে অফের দিকে যাচ্ছে। তাই লেগের দিকে শট না খেলে কভার দিয়ে খেলো। স্পিনের উল্টো দিকে কখনও নয়। যে পিচে বল ঘুরবে, সেখানে উল্টো দিকে খেলতে গেলেই বিপদ।
এ বার অন্য ভাবে দেখি ব্যাপারটা। এক জন অফ স্পিনার যখন ডান হাতি ব্যাটসম্যানকে বল করছে, তখন লেগের দিকে শট খেলো। বাঁ হাতি স্পিনার হলে যেটা সম্ভব নয়। তবে হ্যাঁ, অশ্বিনকে আবার আর পাঁচটা অফ স্পিনারের সঙ্গে গুলিয়ে ফেললে চলবে না। বিশেষ করে যখন ছেলেটার হাতে ক্যারম বলটা আছে। প্রথম ম্যাচে ইংল্যান্ডের ব্যাটসম্যানরা অশ্বিনের বলের কিছুই বুঝতে পারেনি। ব্রেসনানের আউটের কথাটাই ধরুন। ক্রিজ থেকে কতটা বেরিয়ে গিয়ে স্টাম্পড হল। স্টাম্পড না বলে ওটাকে রান আউটও বলা যায়! ওই অবস্থায় আমার মা-ও ব্রেসনানকে স্টাম্প আউট করে দিতে পারত। |