নয়া প্রজন্মকে টেনে আনতে নতুন করে ঢেলে সাজছে পটনার সঞ্জয় গাঁধী জৈবিক উদ্যান। তৈরি হচ্ছে ঝাঁ চকচকে ত্রিমাত্রিক সিনেমা হল। এ ছাড়াও থাকছে মাটির তলায় অ্যাকোয়ারিয়াম-সহ অত্যাধুনিক রেস্তোরাঁও। কাজ শেষ হলে ভোল বদলে যাবে এই চিড়িয়াখানার।
সঞ্জয় গাঁধী জৈবিক উদ্যানের অধিকর্তা অভয় কুমার বলেছেন, “একশো আসন বিশিষ্ট একটি ত্রিমাত্রিক সিনেমা হল গড়ার উদ্যোগ চলছে। এ জন্য টেন্ডার ডাকা হয়েছে। আগামী ২১ অক্টোবর টেন্ডার খোলার পরে কারা ওই অত্যাধুনিক সিনেমা হল তৈরি করবে, সে সম্পর্কে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। ওই হলে অত্যাধুনিক সব ব্যবস্থাপনাই থাকবে। তবে ওই হলে শুধুমাত্র পশুপাখি সংক্রান্ত ছবিই দেখানো হবে।” অভয় কুমারের দাবি, “নয়া প্রজন্মকে শুধু আকর্ষণ করাই নয়, জীবজগৎ সম্পর্কে তথ্য দেওয়ার জন্যও এই ব্যবস্থা তৈরির সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।”
প্রাণীজগৎ সম্পর্কে ধারণা বাড়াতে একটি শিক্ষামূলক কেন্দ্রও তৈরি করা হচ্ছে চিড়িয়াখানা প্রাঙ্গণের মধ্যে। সেখানে অত্যাধুনিক ‘টাচ স্ক্রিন’-এর মাধ্যমে জীবজগৎ সম্পর্কে বিভিন্ন তথ্য জানতে পারবেন দর্শকেরা। তার সঙ্গে থাকবে বিভিন্ন বিষয়ে দৃশ্য-শ্রাব্য উপস্থাপনাও।
এখানেই শেষ নয়, চিড়িয়াখানার ভোল বদলানোর সেরা অস্ত্র হতে চলেছে মাটির তলার অ্যাকোয়ারিয়ামও। চিড়িয়াখানার একটি অংশে মাটির তলায় একটি অ্যাকোয়ারিয়াম তৈরি করা হয়েছে। মাঝখান দিয়ে তৈরি হয়েছে একটি পথ। তার দু’ধারে থাকছে অ্যাকোয়ারিয়াম। দর্শকদের দেখে মনে হবে, তারা যেন জলের তলাতেই দাঁড়িয়ে আর তার চার পাশে ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে বিভিন্ন গাছপালা এবং জলের তলার প্রাণী।
এ সব ছাড়াও তৈরি হচ্ছে অত্যাধুনিক ফুড কোর্ট। অভয় কুমার জানান, পটনা চিড়িয়াখানার বর্তমান রেস্তোরাঁটি ভেঙে ফেলেই নতুন ফুড কোর্টটি গড়া হচ্ছে। ভেঙে ফেলা হচ্ছে চিড়িয়াখানার গেস্ট হাউসটিও। সেই জায়গাতেই নতুন শিক্ষামূলক কেন্দ্রটি নির্মাণ করা হচ্ছে। অভয়ের কথায়, “চিড়িয়াখানায় গেস্ট হাউসের কোনও প্রয়োজন নেই বলেই ওটি ভেঙে ফেলার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।”
রাজ্য সরকার সূত্রে খবর, অ্যাকোয়ারিয়াম তৈরি কাজটি প্রায় শেষের পথে। তবে সিনেমা হল, শিক্ষামূলক কেন্দ্র তৈরির জন্য এখনও পর্যন্ত কত অর্থ বরাদ্দ করা হবে, সে সম্পর্কে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি। অভয়ের কথায়, “আমাদের কাছ থেকে বিস্তারিত প্রকল্প রিপোর্ট পাওয়ার পরেই এ ব্যাপারে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে সরকার।”
|