|
|
|
|
মশাটে অভিযুক্ত তৃণমূল |
ব্যবসায়ীর বাড়িতে হামলা, গ্রেফতার ৪ |
নিজস্ব সংবাদদাতা • চণ্ডীতলা |
বকেয়া টাকা চাওয়াকে কেন্দ্র করে এক গয়না ব্যবসায়ীর বাড়িতে হামলা চালানোর অভিযোগ উঠেছে তৃণমূল কর্মী-সমর্থকদের বিরুদ্ধে। শনিবার রাতে ঘটনাটি ঘটেছে হুগলির চণ্ডীতলার মশাট কদমতলায়। এই ঘটনায় জড়িত সন্দেহে পুলিশ চার জনকে গ্রেফতার করেছে।
পুলিশ জানিয়েছে, বাজারে গয়না ব্যবসায়ী পল্টু সাঁতরার দোকানে কাজ করতেন রানা মালিক। কয়েক দিন আগে তিনি কাজ ছেড়ে দেন। রানার দাবি, পল্টুবাবু সময় মতো বেতনের টাকা দিচ্ছিলেন না। এ ছাড়া, হাজার দেড়েক টাকা বাকি ছিল। শনিবার বিকেলে সেই টাকা চাইতে রানা পল্টুবাবুর দোকানে যান। সে সময়ে দু’জনের মধ্যে বচসা বেধে যায়। মারপিটও হয়। রানা সেখান থেকে বাড়ি চলে যান। পরে দলবল নিয়ে পল্টুবাবুর বাড়িতে হামলা করেন বলে অভিযোগ।
ঘটনার সময়ে বাড়িতে কোনও পুরুষ সদস্য ছিলেন না। পল্টুবাবুর বৌদি ও মায়ের গা থেকে গয়না খুলে নেওয়া হয় বলে অভিযোগ। পল্টুবাবুর বৌদি মৌমিতা সাঁতরা বলেন, “রাত ৮টা নাগাদ ওরা বাড়িতে চড়াও হয়। পল্টুর খোঁজ করে। বাড়িতে নেই জানাতেই মায়ের উপরে হামলা করে। মায়ের কানের দুল কেড়ে নেয়। আমার গলার চেন ছিঁড়ে নেয়। ধাক্কা মেরে ফেলে দেয়। ঘরের ভিতরে ঢুকে যথেচ্ছ ভাঙচুর চালায়।” পল্টুর দাদা লাল্টু সাঁতরা বলেন, “আমরাও তৃণমূল সমর্থক। কিন্তু ওরা যে ভাবে নিজেদের আসল তৃণমূল সমর্থক বলে জাহির করে ভাঙচুর চালাল, তা ভয়ঙ্কর।”
স্থানীয় তৃণমূল নেতা অমর ধাড়া বলেন, “ওই বাড়িতে ভাঙচুর হয়েছে। দু’পক্ষের বচসার জেরে এই ঘটনা হয়েছে। এটা সাধারণ গ্রাম্য বিবাদ। এই ঘটনার সঙ্গে রাজনীতির যোগ নেই। তবে গ্রামে অনেকেই তৃণমূল করেন। কোথাও কিছু লোক থাকলে সেখানে কিছু তৃণমূল সমর্থক থাকবেন এটাই সত্যি।”
অভিযুক্ত রানা মালিকের বৌদি সুস্মিতা মালিক বলেন, “টাকা পেত বলেই চাইতে গিয়েছিল। বারবার দেবে বলে ঘোরাচ্ছিল। আমরা গরিব মানুষ। টাকার দরকার ছিল। টাকা নিয়ে বচসা হয়। সে সময়ে রানাকে মারধর করে। গ্রামের মানুষেরা বিষয়টি জানতে পেরে পল্টুদের বাড়িতে যায়। তবে ভাঙচুর হওয়ায় আমরা লজ্জিত। কিন্তু ওরা তো কোনও কারণ ছাড়াই আমার দেওরকে মারধর করেছিল।”
পুলিশ জানিয়েছে, একটি বাড়িতে ভাঙচুর হয়েছে। দু’পক্ষই পরস্পরের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছে। চার জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তদন্ত করে বিষয়টি দেখা হচ্ছে। |
|
|
|
|
|