মহারাষ্ট্রের জৈতাপুর পরমাণু প্রকল্পের বিরোধিতা করতে গিয়ে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রসঙ্গ টেনে আনলেন শিবসেনা নেতা উদ্ধব ঠাকরে।
পশ্চিমবঙ্গের মতো মহারাষ্ট্রও এখন লোডশেডিংয়ে নাজেহাল। আজ সেই প্রসঙ্গে রাজ্যের কংগ্রেস-এনসিপি জোট সরকার ও কেন্দ্রের ইউপিএ সরকারকে নিশানা করেন উদ্ধব। তাঁর অভিযোগ, এত লোডশেডিং আসলে রাজ্যের ও কেন্দ্রীয় সরকারের ‘রাজনৈতিক চাল’। শিবসেনা-বিজেপি জোট যে-হেতু জৈতাপুরে পরমাণু কেন্দ্র গড়ার বিরোধিতা করছে, তাই রাজ্যে ওই প্রকল্প চাপিয়ে দেওয়ার জন্যই এই বিদ্যুৎ পরিস্থিতি তৈরি করা হচ্ছে। যাতে যুক্তি দেখানো যায়, পরমাণু কেন্দ্র না হলে বিদ্যুতের চাহিদা মেটানো সম্ভব নয়। এই সূত্রেই উদ্ধব প্রসঙ্গ টানেন পূর্ব মেদিনীপুরের হরিপুর ও তামিলনাড়ুর কুড়ানকুলামের প্রস্তাবিত পরমাণু কেন্দ্রের। উদ্ধবের দাবি, “ওই দুই রাজ্যের মানুষও প্রকল্প দু’টির বিরোধিতা করছেন। মমতা ও জয়ললিতা সরকারের সমর্থনও রয়েছে তাঁদের প্রতি। মমতার দল ইউপিএ সরকারের শরিক। তাই তারাপুর প্রকল্পের বিরোধিতা করলেও তাঁকে কিছু বলার সাহস নেই কংগ্রেসের। প্রধানমন্ত্রীও তাঁকে কিছু বলবেন না।”
বিধানসভায় তাঁরা বিরোধী হলেও বৃহন্মুম্বই পুরসভা চালায় শিবসেনা-বিজেপি জোট। পুরসভা নির্বাচনের মুখে শিবসেনার কার্যনির্বাহী সভাপতি উদ্ধব এ দিন মহানগরের ১৬১টি রাস্তাকে কংক্রিট আর অ্যাসফল্টে মসৃণ করে তোলার এক প্রকল্পের উদ্বোধন করেন। মুম্বইয়ের রাস্তা ঘাটের বেহাল দশা নিয়ে প্রচুর সমালোচনা শুনতে হচ্ছে শিবসেনা ও বিজেপিকে। এই প্রসঙ্গে উদ্ধব জানান, সমালোচনায় হতোদ্যম না হয়ে ভোটের মুখে তাঁরা আরও বেশি কাজ করবেন। তবে তাঁদের বিরোধীদের মতে, আম-জনতার ক্ষোভের মুখ কংগ্রেস-এনসিপি-র দিকে ঘোরাতেই উদ্ধব এ দিন বিদ্যুৎ পরিস্থিতির বেহাল দশার কথা তুলে আনেন। |