নিজের ব্লগে আডবাণীর রথযাত্রার সাফল্য কামনা করে ‘ঐক্য’ দেখিয়েছিলেন। সেই সঙ্গে দ্বিতীয় দফার অনশন কর্মসূচি ঘোষণা করতেও ভোলেননি নরেন্দ্র মোদী। আজ ২৪ ঘণ্টাব্যাপী সেই অনশনেরই সূচনা হল দ্বারকায়। যা তাঁর ‘সদ্ভাবনা কমর্সূচি’র দ্বিতীয় পর্ব। এবং সেই মঞ্চ থেকেই তাঁর ঘোষণা, গুজরাত মডেলকে অনুসরণ করাই দেশের কর্তব্য। অর্থাৎ উন্নয়নে গুজরাত মডেলের সঙ্গে দেশবাসীর সামনে প্রকারান্তরে গুজরাতের ‘নেতা’কেও অনুসরণ করার আহ্বান জানালেন তিনি। কর্নাটকে ইয়েদুরাপ্পার গ্রেফতারের পর যখন আডবাণীর দুর্নীতি-বিরোধী যাত্রায় একটা কালো ছায়া পড়েছে, তখন নিজের গুজরাত মডেল ফের তুলে ধরার বাড়তি তাৎপর্য রয়েছে।
গুজরাতের মুখ্যমন্ত্রী এর আগে ১৭ সেপ্টেম্বর থেকে তিন দিনের অনশনে বসেছিলেন আমদাবাদে। ঠিক এক মাসের মাথায় এলেন দ্বারকায়। সকাল সকাল দ্বারকাধীশ মন্দিরে পুজো দিয়ে, রাজ্য তথ্য দফতরের একটি প্রদর্শনী উদ্বোধন সেরে মোদী বসে পড়লেন অনশনে। বললেন, “আমি অনশন করে অন্য কিছু প্রমাণ করতে চাই না। শুধু যারা সব সময় গুজরাত সম্পর্কে খারাপ কথা বলার সুযোগ খোঁজে, তাদের মুখোশ খুলে দিতে চাই।” গুজরাতের এবং নিজের ভাবমূর্তি থেকে দাঙ্গার কলঙ্ক মুছে ফেলার
মরিয়া চেষ্টায় মোদী মনে করিয়ে দিলেন, শ্রীনগর এবং পাক কাশ্মীরের ভূমিকম্পে সর্ব প্রথম সাহায্যের হাত বাড়িয়েছিল গুজরাতই। |
সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের এক প্রতিনিধির সঙ্গে অনশন মঞ্চে গুজরাতের মুখ্যমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। ছবি: পিটিআই |
ওয়াকিবহাল মহলের মতে, আডবাণীর দেশ জোড়া রথযাত্রার মাঝখানে মোদীর এই অনশন কর্মসূচি ঘিরে রাজনীতির অন্য অঙ্ক রয়েছে। প্রধানমন্ত্রিত্বের দৌড়ে আডবাণী নিজের নামটা যে ভাবে জিইয়ে রেখে দিয়েছেন, তার মোকাবিলা করাই মোদীর লক্ষ্য বলে মনে করা হচ্ছে। নিজেকে জাতীয় নেতা হিসেবে তুলে ধরার স্বপ্নকে সামনে রেখেই প্রথম দফার অনশনে বসেছিলেন মোদী। তার পরই রথযাত্রার কথা ঘোষণা করেন আডবাণী। মোদীর এ বারের অনশন নেতৃত্বের সেই ‘দ্বৈরথে’রই দ্বিতীয় পর্ব। গত বার যেমন কংগ্রেসের শঙ্করসিন বাগেলা মোদীর পাল্টা অনশনে বসেছিলেন, এ বারেও তার ব্যতিক্রম হয়নি। কংগ্রেসি অনশনের নেতা অবশ্য এ বার বাগেলা নন, জামনগরের সাংসদ বিক্রম মাদাম। |