জঙ্গি নাশকতা এড়াতে রাসমেলায় নিশ্চিদ্র নিরাপত্তার বন্দোবস্ত করছে কোচবিহার জেলা পুলিশ। ১০ নভেম্বর থেকে শুরু হতে যাওয়া এই মেলায় জঙ্গি কার্যকলাপের আশঙ্কা নিয়ে জেলা পুলিশ কর্তাদের সতর্ক করেছে রাজ্য পুলিশ প্রশাসন। অসম এবং বাংলাদেশ থেকে সন্দেহভাজন কেউ যাতে মেলার সময় কোচবিহারে ঢুকতে পর্যন্ত না পারে সে জন্য সীমান্ত লাগোয়া এলাকায় কড়া নজরদারি চালানোর পরিকল্পনা হয়েছে। মেলা চত্বর ছাড়াও শহরের বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালানো হবে। কোচবিহারের পুলিশ সুপার প্রণব দাস বলেন, “জঙ্গি সংক্রান্ত বিষয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ আমাদের সতর্ক করেছেন। প্রয়োজনীয় নিরাপত্তা ব্যবস্থা করা হচ্ছে। কালীপুজোর পর পরিকল্পনা চূড়ান্ত হবে।” এমজেএন স্টেডিয়াম লাগোয়া মাঠেই মেলা শুরু হচ্ছে। চলবে ২৪ নভেম্বর পর্যন্ত। অসম এবং বাংলাদেশ সীমান্ত ঘেঁষা কোচবিহারে রাস মেলায় প্রচুর জনসমাগম হয়। সে কারণে কেএলও বা আলফার মতো জঙ্গি সংগঠনগুলি নাশকতার ছক কষতে পারে এমন আশঙ্কা রয়েছে পুলিশের। সে কারণে রাসমেলায় নিরাপত্তা নিয়ে কোনও ঝুঁকি নিতে চাইছে না কোচবিহার জেলা পুলিশ কর্তারা। রাস মেলার মুখে সম্প্রতি দিনহাটার নজিরহাটে তৃণমূল কংগ্রেসের কার্যালয় ভাঙচুর এবং তুফানগঞ্জের বলরামপুরে সিপিএমের কার্যালয় ভাঙচুরের ঘটনা নিয়ে গোলমাল চলছে। ডান-বাম দুই শিবিরই জেলায় পুলিশি নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগ তুলেছে। ঘটনায় বিব্রত কোচবিহারের পুলিশ সুপার অবশ্য এ দিন জানান, পুলিশি নিষ্ক্রিয়তার ব্যাপার নেই। কিছু লোক হঠাৎ করে এ সব শুরু করাতে সমস্যা তৈরি হয়েছে। নজিরহাটের ঘটনায় মামলা রুজু করা হয়েছে। কয়েক দিনের মধ্যে অভিযুক্তরা ধরা পড়বে বলে তিনি আশাবাদী। সেই সঙ্গে কালী পুজোয় নিষিদ্ধ শব্দিবাজির ব্যবহার রুখতে পুলিশ অভিযানে নেমেছে। কিছু শব্দ বাজি আটক করাও হয়েছে বলে পুলিশ সুপার জানিয়েছেন।
|
কালীপুজোয় নিষিদ্ধ শব্দবাজি রুখতে অভিযানে নামছে উত্তর দিনাজপুর জেলা পুলিশ। বাজি মজুতে ব্যবসায়ীর একাংশ সক্রিয় বলে বিভিন্ন জায়গা থেকে অভিযোগ মেলার পর বৃহস্পতিবার দুপুরেই জেলা পুলিশ সুপার দীপঙ্কর ভট্টাচার্য তা রুখতে অভিযানে নামার নির্দেশ দেন বিভিন্ন থানার পুলিশ কর্মীদের। জেলা গোয়েন্দা দফতর এবং বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের পক্ষ থেকে এমন অভিযোগ পেয়েই নড়েচড়ে বসেছেন জেলা পুলিশ কর্তৃপক্ষ। সেই মতো আজ, শুক্রবার থেকেই জেলার বিভিন্ন থানার পুলিশ কর্মীরা সাদা পোশাকে অভিযানে নামবেন। জেলা পুলিশ সুপার বলেন, “প্রতিটি থানার পুলিশ কর্মীদের নিষিদ্ধ শব্দবাজির কারবার রুখতে অভিযানে নামার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। প্রয়োজনে আমি নিজেও অভিযানে থাকব। নিষিদ্ধ শব্দবাজির কারবার বা মজুত করলে দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদ এবং রাজ্য সরকারের আইন মেনে জামিন অযোগ্য ধারায় মামলা করা হবে।” রায়গঞ্জ মার্চেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের সম্পাদক অতনু বন্ধু লাহিড়ি বলেন, “জেলার অধিকাংশ ব্যবসায়ী গত কয়েক বছর ধরে নিষিদ্ধ শব্দবাজির কারবার বন্ধ করেছেন। তবু বিক্ষিপ্ত ভাবে কিছু ব্যবসায়ী শব্দবাজির কারবার করতে সক্রিয় হয়ে উঠছে বলে খবর মিলেছে। পুলিশ আইন মোতাবেক অভিযান চালাক। আমরা সংগঠনের তরফে ব্যবসায়ী সচেতন করছি।” পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, জেলায় রায়গঞ্জ, কালিয়াগঞ্জ, করণদিঘি, ইটাহার, ইসলামপুর-সহ বিভিন্ন ব্লকে স্টেশনারি, প্রসাধনী সামগ্রী বিক্রির দোকান, এমনকী মুদির দোকানের কারবারিদের একাংশ বিহারের পূর্ণিয়া, কাটিহার থেকে সড়ক পথে এবং রেল পথে নিষিদ্ধ শব্দবাজি এনে মজুত করছে। কলকাতা থেকেও নানা ভাবে নিষিদ্ধ শব্দবাজি নিয়ে আসা হচ্ছে বলে পুলিশের কাছে খবর রয়েছে।
|
হাসপাতালে ভর্তির পর মৃত্যু হল সরকারি হোমের এক তরুণের। বৃহস্পতিবার ভোর ৩টা নাগাদ ঘটনাটি ঘটে বালুরঘাট হাসপাতালে। মৃত মহম্মদ মাসুদ (১৭) বাংলাদেশের ধামইরহাটের চৌরঙ্গীপুর থানার ঠাকুরগঞ্জ এলাকার বাসিন্দা। গত ১৫ মাস ধরে বালুরঘাট শুভায়ন হোমে বন্দি ছিল সে। অনুপ্রবেশে বিএসএফ তাকে গ্রেফতার করেছিল। |