|
|
|
|
গণপ্রহারে জখম ৩ |
নিজস্ব সংবাদদাতা • রায়গঞ্জ |
ধারাল অস্ত্র দিয়ে জখম করার পরে এক ব্যক্তিকে অপহরণের চেষ্টা হলে বৃহস্পতিবার রণক্ষেত্রের চেহারা নিল উত্তর দিনাজপুর জেলার করণদিঘি থানার বোতলবাড়ি এলাকায়। ছোট গাড়িতে চড়ে আসা মালদহের কালিয়াচক থানার চার যুবক বোতলবাড়ির ওই ব্যক্তিকে অপহরণের চেষ্টা করছেন বলে অভিযোগ উঠলে এলাকায় উত্তেজনা সৃষ্টি হয়। উত্তেজিত বাসিন্দারা ওই যুবকদের তাড়া করে ৩ জনকে ধরে ফেলেন। শুরু হয় গণপ্রহার। ছোট গাড়িটিও রাস্তার পাশের নয়ানজুলিতে ফেলে দিয়ে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে ওই তিন যুবককে উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠায়। হাসপাতালে পাঠানো হয় বোতলবাড়ির ওই বাসিন্দাকেও। পুলিশ জানায়, হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ওই তিন যুবকের নাম মহম্মদ আখতার হোসেন, হায়দর শেখ ও মাহিদুর শেখ। তাঁদের বাড়ি কালিয়াচকের বসির নগরে। চতুর্থ ব্যক্তির নাম মহম্মদ কায়েম। তাঁকেই অপহরণের চেষ্টা হয় বলে অভিযোগ। উত্তর দিনাজপুরের পুলিশ সুপার দীপঙ্কর ভট্টাচার্য বলেন, “অপহরণের অভিযোগ কেন্দ্র করে গোলমাল হয়। অপহরণের চেষ্টা হল কেন সেটা জানার চেষ্টা হচ্ছে।” প্রাথমিক তদন্তের পরে পুলিশ জানতে পেরেছে, কালিয়াচকের ওই যুবকেরা বোতলবাড়ির বাসিন্দা মহম্মদ কায়েককে শ্রমিক সরবরাহের জন্য দেড় লক্ষ টাকা দিয়েছিলেন। কিন্তু কায়েম শ্রমিক সরবরাহ না-করায় দু’পক্ষের মধ্যে গোলমাল চলছিল। এদিন বসিরনগরের ওই যুবকরা একটি গাড়িতে চেপে বোতলবাড়িতে যান। সেখানে মহম্মদ কায়েমের সঙ্গে তাদের বচসা হয়। তা থেকেই সংঘর্ষ হয়। ওই যুবকেরা মহম্মদ কায়েমকে গাড়িতে তুলে ধারাল অস্ত্র দিয়ে জখম করার পর অপহরণের চেষ্টা করা হয় বলে অভিযোগ। করণদিঘি থানার আইসি সুকুমার মিশ্র জানান, মহম্মদ কায়েম টাকা নিয়ে শ্রমিক না পাঠানোয় ওই যুবকদের সঙ্গে তাঁর গোলমাল হয়। তিন জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। একটি এজেন্সির মাধ্যে ভিনরাজ্যে শ্রমিক পাঠানো নিয়েই গোলমালের সূত্রপাত। |
|
|
|
|
|