|
|
|
|
শিলিগুড়ির রাস্তা বেহাল, ক্ষোভ |
সৌমিত্র কুণ্ডু • শিলিগুড়ি |
পুজোর আগেই শহরের ভাঙাচোরা রাস্তাঘাট সংস্কার করে হাল ফেরানোর আশ্বাস দিয়েছিলেন শিলিগুড়ি পুর কর্তৃপক্ষ। পুজো পার হয়ে গেলেও শহরের একাংশ রাস্তা বেহাল অবস্থাতেই পড়ে থাকায় বাসিন্দাদের মধ্যে ক্ষোভ সৃষ্টি হয়েছে। শহরের নিবেদিতা সরণি, এনজেপি মেন রোড থেকে রবীন্দ্রনগর মেন রোড, শহরের অনেক রাস্তাই পুরোপুরি বেহাল। এমনকী শহরের প্রাণকেন্দ্র হিলকার্ট রোডের অনেক জায়গায় রাস্তায় বিপজ্জনক গর্ত তৈরি হয়েছে। পুজোর আগে শহরের রাস্তাঘাট সংস্করের জন্য প্রায় ৭ কোটি ১১ লক্ষ টাকা বরাদ্দও করা হয়। তা সত্ত্বেও কেন শহরের রাস্তাঘাটের এই হাল সেই প্রশ্ন তুলেছেন বাসিন্দারা। পুর কর্তৃপক্ষের দাবি, তাঁরা রাস্তা সংস্কারের জন্য টেন্ডার প্রক্রিয়া করে পুজোর আগেই শেষ করার পরে সংস্কারের কাজেও হাত দেন। বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ রাস্তা ইতিমধ্যে মেরামতও করা হয়েছে। তবে পুজোর ঠিক মুখে ফের কয়েক দফায় বৃষ্টিতে মেরামতির কাজ বন্ধ রাখতে হয়। তাতেই এই সমস্যা হয়েছে। দেওয়ালির আগেই শহরের বিভিন্ন রাস্তা সংস্কারের কাজ শেষ করার চেষ্টা চলছে। পুরসভার পূর্ত বিভাগের মেয়র পারিষদ কৃষ্ণ পাল বলেন, “বর্ষার জন্যই পুজোর আগে রাস্তা সংস্কারের কাজ শেষ করা যায়নি। এখন দ্রুততার সঙ্গে মেরামতির কাজ চলছে। ৩, ৩৮, ৩৯, ৪১, ৪২, ৪৪, ৪৬ নম্বর ওয়ার্ডে রাস্তা সংস্কারের কাজ চলছে। এনজেপি মেন রোড, রাজারামমোহন রায় রোড মেরামতের কাজ শুরু হয়েছে। দেওয়ালির আগেই যাতে শহরের সমস্ত রাস্তাঘাটের সংস্কারের কাজ শেষ হয় সেই চেষ্টা চলছে।” পুরসভা সূত্রে জানা গিয়েছে, রাস্তাঘাট সংস্কারের জন্য পুজোর আগে ৪ দফায় মোট ৬ কোটি ৪৩ লক্ষ টাকার টেন্ডার হয়। সেই মতো মিলনপল্লি থেকে এনজেপি, সুকান্ত সরণি, ভারতনগর লেভেল ক্রসিং থেকে এনজেপি, চম্পাসারি মেন রোড, অরবিন্দপল্লি মেন রোড-সহ আরও বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ রাস্তা সংস্কার করা হয়। এসপি মুখোপাধায় রোড, হরেন মুখোপাধ্যায় রোড, বাঘা যতীন ক্লাবের সামনের রাস্তা মেরামত করা হয়। যে সব রাস্তা সংস্কার কাজের জন্য টেন্ডার করা হয়েছিল তার প্রায় অর্ধেক কাজ এগিয়েছে। বাসিন্দাদের অবশ্য অভিযোগ, নিবেদিতা রোড, বিদ্যাসাগর রোড, পুরসভার সামনে বাঘা যতীন রোড, এনজেপি মেন রোড, ভারতনগর থেকে অগ্রণী সঙ্ঘ, রাজা রামমোহন রোড, রবীন্দ্রনগর মেন রোডের একাংশ এখনও বেহাল। অরবিন্দপল্লি মেন রোড, চম্পাসারি মেন রোড, ভারতনগর থেকে এনজেপি যাতায়াতের রাস্তাগুলির মেরামতির কাজ সম্পূর্ণ হয়নি। সেই কাজ ফেলে রাখা হয়েছে। বিভিন্ন ওয়ার্ডে গলি রাস্তাগুলির বেহাল পরিস্থিতি। কালী পুজোর আগে শহরের ভাঙাচোরা রাস্তার হাল আদৌ ফিরবে কি না তা নিয়ে সংশয় প্রকাশ করেছেন অনেকেই। শহরের বেহাল রাস্তাঘাট নিয়ে সরব হয়েছেন বিরোধী কাউন্সিলরাও। সিপিএম কাউন্সিলর মুকুল সেনগুপ্ত বলেন, “গালভরা আশ্বাস দিলেই হবে না। কাজের সঙ্গে তার মিল কই? শহরের রাস্তাঘাটের কী পরিস্থিতি সেটা পুজোর সময়ে বাসিন্দারা টের পেয়েছেন।” |
|
|
|
|
|