অসংগঠিত ক্ষেত্রের শ্রমিকদের জন্য কেন্দ্রীয় সরকারের দেওয়া আর্থিক সাহায্যের পুরো ফায়দা তুলতে রাজ্যের আইন সংশোধন করা হবে। শ্রমমন্ত্রী পূর্ণেন্দু বসু এই খবর জানিয়েছেন।
এ রাজ্যে মোট ৬১টি অসংগঠিত ক্ষেত্র রয়েছে। যেখানে শ্রমিক প্রায় কয়েক লক্ষ। তাঁদের সাহায্যার্থে কয়েকটি প্রকল্পে অর্থ বরাদ্দ করে কেন্দ্র ও রাজ্য সরকার। শ্রমমন্ত্রীর অভিযোগ, আগের বাম সরকার নিজেদের হাতে নিয়ন্ত্রণের যাবতীয় ক্ষমতা রেখেছিল। কেন্দ্রের আইনকে কোনওরকম গুরুত্ব না দিয়ে রাজ্যের আইনে তারা সব কিছু করতে চেষ্টা করেছিল। এ জন্য কিছু কিছু প্রকল্প রূপায়ণে ব্যর্থও হয়েছে। অথচ অসংগঠিত শ্রমিকদের জন্য কেন্দ্রীয় আইনে বহু প্রকল্প রয়েছে, যার আর্থিক সুবিধা নিতে চায়নি বিগত সরকার।
অভিযোগের সপক্ষে একটি উদাহরণ দিয়ে তিনি জানান, অসংগঠিত শ্রমিকদের জন্য পিএফ চালু রয়েছে রাজ্যে। এই প্রকল্পে কোনও ইচ্ছুক শ্রমিক মাসিক ২০ টাকা দিলে সমপরিমাণ অর্থ দেয় রাজ্য। শ্রমিকদের কাছ থেকে পিএফ-এর কার্ড তৈরির জন্য আবেদনপত্র সংগ্রহ করতে ‘এসএলও’ নামে কিছু লোক রয়েছেন। এঁরা একটি নতুন পিএফ কার্ড তৈরির জন্য ৫ ও কার্ড পুনর্নবীকরণ করার জন্য ২ টাকা করে পান। তার মানে, একটি পিএফ কার্ডের জন্য সরকারের খরচ হয় ২৭ টাকা। শ্রমমন্ত্রী বলেন, “কেন্দ্রীয় আইনের সমাজ কল্যাণ প্রকল্পের আওতায় এই বিষয়টি আনা গেলে মোট খরচের ৭৫% অর্থ দিত দিল্লি। রাজ্যকে খরচ করতে হত বাকি ২৫% অর্থ। আগের সরকার এটা করেনি। অথচ ক্ষমতা থেকে চলে যাওয়ার আগে শ্রমিকদের পাওনার ২৮ কোটি টাকা বকেয়া রেখে গিয়েছে বাম সরকার।” এর পরিবর্তন চায় বর্তমান সরকার। শ্রমমন্ত্রীর কথায়, “রাজ্যের আইন থাকবে। কিন্তু যে সব প্রকল্পে দিল্লির আর্থিক সাহায্য পাওয়া যাবে, সেখানে কেন্দ্রীয় আইন মানতে রাজ্যের আইনের প্রয়োজনীয় সংশোধন করা হবে। এতে দেউলিয়া রাজ্যের উপর আর্থিক চাপও অনেকটা কমবে।”
আরও পরিবর্তন চান পূর্ণেন্দুবাবু। অসংগঠিত শ্রমিকদের কল্যাণে রাজ্যে ছ’সাতটি পর্ষদকে কেন্দ্রীয় আইন মেনে এক ছাতার তলায় আনতে চান তিনি। |