পিটিটিআই পড়ুয়াদের একটি সংগঠন আগামী রবিবার মৌলালি যুব কেন্দ্রে আনুষ্ঠানিক ভাবে তৃণমূলে যোগ দেবে। পশ্চিমবঙ্গ প্রাথমিক শিক্ষক শিক্ষণ ইউনিয়ন নামে ওই সংগঠনের নেতা পিন্টু পাড়ুই বৃহস্পতিবার এ কথা জানিয়েছেন। মুকুল রায়ের উপস্থিতিতে পিন্টুদের সংগঠনের আনুষ্ঠানিক ভাবে তৃণমূলে যাওয়ার কথা। বামফ্রন্ট সরকারের আমলে পিটিটিআই সমস্যার সূত্রপাত। তখন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পিটিটিআই পড়ুয়াদের আন্দোলনের পাশে দাঁড়ান। পরে কেন্দ্রের দেওয়া সমাধানসূত্রে জট খোলে। ওই দীর্ঘ আন্দোলন-পর্বে পিটিটিআই পড়ুয়াদের একটি সংগঠন তৃণমূলে যোগ দিয়েছিল। তাদের নেতা ছিলেন অশোক রুদ্র। যিনি বর্তমানে তৃণমূল ছাত্র পরিষদের বর্ধমান জেলা সভাপতি। অন্য একটি সংগঠনের নেতা পিন্টুও এ বার নিজের অনুগামীদের নিয়ে তৃণমূলে যোগ দিচ্ছেন। পিন্টু অবশ্য পূর্বতন সরকারের আমলে কখনও কংগ্রেসের ছাত্র সংগঠন ছাত্র পরিষদ, কখনও ফরওয়ার্ড ব্লকের ছাত্র সংগঠন ছাত্র ব্লকের ছাতার তলায় থেকে আন্দোলন করেছেন। এমনকী, মমতা মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার পরেও পিন্টু একাধিক বার অভিযোগ করেছেন, নতুন সরকারও পিটিটিআই পড়ুয়াদের সঙ্গে বিগত সরকারের মতোই ‘প্রতারণা’ করছে। শেষ পর্যন্ত তাঁদের সংগঠনেরও তৃণমূলে যোগদানের সিদ্ধান্ত যথেষ্টই ‘তাৎপর্যপূর্ণ’।
|
দশম শ্রেণি পর্যন্ত পঠনপাঠনকে শিক্ষার অধিকার আইনের আওতায় আনতে চায় কেন্দ্রীয় সরকার। এখন অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত পড়াশোনা এই আইনের আওতায় রয়েছে। নতুন পরিকল্পনা কী করে কাযর্কর করা যায়, তা খতিয়ে দেখতে একটি কমিটি গড়েছে কেন্দ্র। পাশাপাশি বর্তমান আইনটি কত দূর কার্যকর হয়েছে, তা-ও খতিয়ে দেখছে এই কমিটি। কমিটির দুই সদস্য বৃহস্পতিবার কলকাতায় আসেন। রাজ্য স্কুলশিক্ষা দফতরের আধিকারিক ও জেলা স্তরের কর্তাদের সঙ্গে এ প্রসঙ্গে আলোচনা করেন ওই প্রতিনিধিরা। ২০০৯ সালে পাশ হওয়া শিক্ষার অধিকার আইন অনুযায়ী এখন অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত পাশ-ফেল নেই। কমিটির সদস্য বিনোদ রায়না এ দিন বলেন, “দশম শ্রেণি পর্যন্ত পঠনপাঠন শিক্ষার অধিকার আইনের আওতায় এলে ওই শ্রেণি পর্যন্ত পাশ-ফেল ব্যবস্থা তুলে দিতে হবে। এ নিয়ে আলোচনা চলছে।” রাজ্য স্কুলশিক্ষা দফতর অবশ্য এখনই বিষয়টি নিয়ে কিছু ভাবছে না। দফতরের এক আধিকারিক বলেন, “অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত শিক্ষার অধিকার আইন কার্যকর করার পরিস্থিতিই এখনও তৈরি হয়নি। সেই কাজ সম্পন্ন করাই এখন প্রধান লক্ষ্য। তা ছাড়া পাশ-ফেল তুলে দেওয়ার ব্যাপারে দফতরের আপত্তি আছে। এই দিকটি নিয়ে আলোচনা হচ্ছে।” |