টুকরো খবর
দাম্পত্য কলহে তৃণমূলের সালিশি সভা, জখম ৫ জন
একটি দাম্পত্য কলহের মীমাংসার জন্য দলবল নিয়ে সালিশি করতে গিয়ে মারামারিতে জড়িয়ে পড়লেন দুই তৃণমূল নেতা। জখম হন পাঁচ জন। বৃহস্পতিবার সকালে ঘটনাটি ঘটে উত্তর ২৪ পরগনার জগদ্দলের কাঁকিনাড়ার মনসা কলোনিতে। পুলিশ সূত্রের খবর, এলাকার বাসিন্দা সুখরঞ্জন দাসের সঙ্গে সাংসারিক কারণে দীর্ঘদিন ধরেই তাঁর স্ত্রী রূপাদেবীর বনিবনা হচ্ছে না। সমস্যা মেটানোর জন্য দু’জনেই দুই তৃণমূল নেতার দ্বারস্থ হন। মতিলাল মণ্ডল নামে এক তৃণমূল নেতার সাহায্য চান সুখরঞ্জন। তাঁর স্ত্রী শরণাপন্ন হন তৃণমূল নেতা বিপ্লব মণ্ডলের। ঠিক হয়, বৃহস্পতিবার সুখরঞ্জনের বাড়িতেই সালিশি সভা বসবে। দুই নেতাই দলবল নিয়ে হাজির হন। কিন্তু আলোচনার সময়ে বচসা থেকে মারামারি বেধে যায়। জখম হন সুখরঞ্জন ও তাঁর মা ভালবাসাদেবী-সহ পাঁচ জন। তাঁদের মধ্যে তিন জনকে ভাটপাড়া স্টেট জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। দু’পক্ষই পরস্পরের বিরুদ্ধে হামলার অভিযোগ দায়ের করে থানায়। এ ভাবে কারও ব্যক্তিগত বা পারিবারিক সমস্যায় রাজনৈতিক নেতাদের সালিশি করা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। ভাটপাড়ার তৃণমূল বিধায়ক তথা পুরপ্রধান অর্জুন সিংহ বলেন, “দুই নেতাই আমাদের দলের। মাতব্বরি করে সালিশি বসিয়েছিলেন। তার পরে নিজেদের মধ্যে মারামারি করেছেন। পুলিশকে বলেছি আইনানুগ ব্যবস্থা নিতে।”

জাতীয় সড়কের কাজে বাধা আমডাঙায়
জমির জন্য উপযুক্ত ক্ষতিপূরণ না পাওয়া পর্যন্ত কোনওরকম কাজ করতে দেওয়া হবে না বলে আগেই হুমকি দেন ওঁরা। বৃহস্পতিবার উত্তর ২৪ পরগনার আমডাঙায় ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়ক সম্প্রসারণের কাজ করতে গেলে গ্রামবাসীদের বাধায় তা আটকে গেল। এ দিন সকালে আমডাঙার রাজবেড়িয়ায় ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়ক সম্প্রসারণের কাজে জমির সীমানা চিহ্নিতকরণ করতে আসেন বরাত পাওয়া সংস্থার লোকজন। কয়েকটি খুঁটি পোঁতার পরে সেখানে হাজির হন আমডাঙার ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়ক ভূমি ও ব্যবসায়ী রক্ষা কমিটির সদস্যেরা। কমিটির সভাপতি রাধেশ্যাম ঘোষ বলেন, “আমরা ওঁদের বলি, যেহেতু ক্ষতিপূরণের বিষয়টি চূড়ান্ত হয়নি, তাই এখানে খুঁটি পুঁতবেন না। এর পরেই ওই সংস্থার লোকজন ফিরে যান।” পরে কমিটির পক্ষ থেকে পথসভা করা হয়। জেলাশাসক সঞ্জয় বনশল বলেন, “ঘটনাটি শুনেছি। জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষের প্রতিনিধি ও খুঁটি পোঁতার বরাত পাওয়া সংস্থার কর্মীরা গিয়েছিলেন। ক্ষতিপূরণের দাবির ব্যাপারে জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষকে জানানো হবে।” পুলিশ জনিয়েছে, এ দিন ওই এলাকায় খুঁটি পোঁতার বিষয়টি জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষ তাঁদের জানাননি। খবর পেয়ে পরে আমডাঙা থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়। যদিও এ নিয়ে গোলমাল হয়নি।

বধূ নির্যাতন, ধৃত বিএলএলআরও
পণের জন্য বধূ নির্যাতনের অভিযোগে গ্রেফতার করা হল মালদহের মানিকচকের বিএলএলআরও সুদীপ মণ্ডল এবং তাঁর বাবা পাঁচুগোপালবাবুকে। সুদীপবাবুর বাড়ি উত্তর ২৪ পরগনার বীজপুরের বাগমোড়ের সাহেববাগান এলাকায়। বৃহস্পতিবার সকালে বাড়ি থেকেই ওই দু’জনকে ধরা হয়। আগের রাতে সুদীপবাবুর স্ত্রী সুচিস্মিতাদেবী পুলিশের কাছে লিখিত ভাবে ওই অভিযোগ দায়ের করেন। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, বছর দেড়েক আগে সুদীপবাবুর বিয়ে হয় জগদ্দলের সুন্ধিয়াপাড়ার বাসিন্দা সুচিস্মিতাদেবীর সঙ্গে। অভিযোগ, বিয়ের পর থেকে সুচিস্মিতাদেবীর উপরে পণের দাবিতে নির্যাতন চালানো হচ্ছিল। পুজোর ছুটিতে বাড়ি ফিরেছিলেন সুদীপবাবু। সুচিস্মিতাদেবী বলেন, “দশমীর দিন স্বামী এবং শ্বশুরমশাই আমাকে মারতে গিয়েছিল। কোনও রকমে পালিয়ে বাপেরবাড়ি চলে যাই। আমাকে ওরা সব সময় মেরে ফেলার হুমকি দিত। তাই পুলিশকে জানাতে বাধ্য হই।”

শ্লীলতাহানির অভিযোগ
এক নাবালিকার শ্লীলতাহানির অভিযোগ উঠল এক যুবকের বিরুদ্ধে। বুধবার ঘটনাটি ঘটেছে দক্ষিণ ২৪ পরগনার নামখানায় দাব্রিকনগর হাসপাতাল রোডে একটি মিষ্টির দোকানে। এই ঘটনায় ওই নাবালিকার মা দোকানমালিকের ছেলের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন। তপন মাইতি নামে ওই যুবক পলাতক বলে পুলিশ জানিয়েছে। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বুধবার সন্ধ্যা নাগাদ ওই নাবালিকা পাড়ার মোড়ে মিষ্টির দোকানে যায়। সে যখন দোকানে বসে মিষ্টি খাচ্ছিল, সেই সময় ওই দোকানের মালিকের ছেলে তাকে ডেকে নিয়ে গিয়ে শ্লীলতাহানি করে। বাড়ি ফিরে মেয়েটি ঘটনার কতা মাকে জানালে তিনি পুলিশের কাছে গিয়ে সব জানান।

ব্যাঙ্কে বিক্ষোভ
পরিষেবা না পাওয়ার অভিযোগে স্টেট ব্যাঙ্কের ব্যারাকপুর শাখার ম্যানেজার ও অন্য আধিকারিকদের ঘেরাও করে বিক্ষোভ দেখালেন গ্রাহকেরা। ব্যাঙ্ক সূত্রে জানা গিয়েছে, বৃহস্পতিবার বিকেল চারটের আগেই কাউন্টারের সামনে দাঁড়ানো গ্রাহকদের ফিরিয়ে দেওয়া হয়। ম্যানেজার-সহ অন্য আধিকারিকেরা কর্মীদের অনুরোধ করলেও তাঁরা কাজ করেননি। এর পরেই গ্রাহকেরা বিক্ষোভে ফেটে পড়েন। লিখিত অভিযোগও দায়ের করেন তাঁরা। সুশান্ত ঘোষ নামে এক গ্রাহকের অভিযোগ, “ব্যাঙ্ক-কর্মীরা সহযোগিতা তো করেনই না, উল্টে সামান্য ভুল থাকলে কটু কথা শোনান। আমরা এর প্রতিকার চাই।” ম্যানেজার হরেকৃষ্ণ ব্যাপারী বলেন, “প্রায়ই অশান্তি হচ্ছে। কিছু কর্মী নিজেদের মতো করে নিয়ম তৈরি করে নিয়েছেন। লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। বিষয়টি উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নজরে আনব।”



First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.