সুটিয়ার পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে বৃহস্পতিবার বনগাঁ এলেন আইজি (দক্ষিণবঙ্গ) সঞ্জয় মুখোপাধ্যায়। বনগাঁর এসডিপি-র দফতরে জেলা পুলিশের কর্তাদের সঙ্গে তিনি বৈঠক করেন। গ্রামে ইতিমধ্যেই পুলিশ পিকেট বসেছে। বিএসএফ জওয়ানেরাও নজরদারি চালাচ্ছে বলে পুলিশ-প্রশাসন সূত্রের খবর।
মঙ্গলবার রাতে কয়েকশো সশস্ত্র বাংলাদেশি গরু পাচারকারী নদী পেরিয়ে ঢোকে বনগাঁ সীমান্তবর্তী এই গ্রামে। বেশ কিছু বাড়ি-দোকানে হামলা চালায় তারা। দুষ্কৃতীদের আক্রমণে জখম হন কয়েক জন গ্রামবাসী। তাঁরা গরু পাচারের প্রতিবাদ করাতেই এই পরিস্থিতি বলে অভিযোগ। নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন স্থানীয় মানুষ। এ দিন তাঁদের সঙ্গে দেখা করেন স্থানীয় বিধায়ক তথা রাজ্যের অনগ্রসর শ্রেণিকল্যাণ মন্ত্রী উপেন বিশ্বাস। তাঁকে ঘিরে আতঙ্কিত মানুষের আর্জি, নিরাপত্তার ব্যবস্থা করুন। “আমরা শান্তিতে থাকতে চাই।” |
অনেকে বলেন, “আমাদের বাঁচান। গরু পাচারকারীদের দাপটে ফসলের খেত নষ্ট হয়েছে। এ বার হয়তো ভিটে-মাটি ছাড়তে হবে।” এলাকাবাসীর বক্তব্য, পুলিশ-প্রশাসনের তৎপরতা দেখে কয়েকটা দিন হয়তো চুপচাপ থাকবে পাচারকারীরা। কিন্তু এই সমস্যার পূর্ণাঙ্গ সমাধান চাই। না হলে আতঙ্কের পরিবেশ কাটবে না। ‘প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ’ করার আশ্বাস দেন মন্ত্রী।
কোন পথে দুষ্কৃতীরা ঢুকেছিল গ্রামে, মন্ত্রীকে তা দেখান স্থানীয় মানুষ। উপেনবাবু কিছু ছবি তোলেন এলাকার। বলেন, “কারা পাচারের সঙ্গে যুক্ত, সে সব খোঁজ-খবর করলাম। রিপোর্ট তৈরি করে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে জমা দেব।” তাঁর কথায়, “পুলিশ-গ্রামবাসী-বিএসএফের মিলিত চেষ্টাতেই কেবল এই সমস্যার সমাধান হতে পারে। কাঁটাতার না থাকায় এখানে সমস্যা আরও জটিল হয়েছে। কী ভাবে তার সমাধান সম্ভব, তা-ও জানানো হবে মুখ্যমন্ত্রীকে।” এ দিকে, বাংলাদেশে নিয়ে যাওয়ার সময় মৃত দু’টি গরুর দেহ পাচারকারীরা ফেলে রেখে গিয়েছিল বনগাঁর কালুপুরে যশোহর রোডে। বৃহস্পতিবার তার প্রতিবাদে স্থানীয় বাসিন্দারা বিক্ষোভ দেখান। সকাল ৯টা থেকে ঘণ্টাখানেকের জন্য ওই রাস্তা অবরোধ করা হয়। পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি সামলায়। |