তিন দিনের লক্ষ্মীপুজো শেষ। এ বার ভাসান।
তবে উৎসবের মেজাজে এই পুজো রীতিমতে দুর্গা পুজোর সঙ্গে পাল্লা দেয়। রেজিনগরের আন্দুলবেড়িয়ার কোজাগরী এমনই জাঁকজমকে পালন করেন গ্রামবাসীরা।
পুজোর প্রতি দিনই বিশেষ কিছু খাবারের আয়োজন করেন গ্রামের মহিলারা। এক কথায় লক্ষ্মীপুজোর এই কয়েকটা দিনে গ্রাম কার্যত খাবারের উৎসবের চেহারা নেয়। |
মঙ্গলবার সকাল থেকেই পুজোর আয়োজনে মেতেছে গ্রাম। পুজোর প্রস্তুতির সঙ্গে শুরু হয়ে যায় রকমারি খাবার তৈরি। মূলত পূর্ববঙ্গের মানুষের বাস এই রেজিনগর কলোনিতে। লক্ষ্মীপুজোর খাবারের বৈচিত্রও এখানে কম নয়। আন্দুলবেড়িয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের সদস্য তপতী পালও পুজোর প্রথম দিন সকাল থেকেই হাত লাগিয়েছেন প্রস্তুতিতে। তিনি বলেন, “আমরা পুজোর প্রতিদিনই খুব সকালে উঠেই খাবার তৈরি করি। খই, মুড়কি, তিলের নাড়ু, নারকেল নাড়ু, চিঁড়ে, মুড়ি, সিঙ্গা, কদমা ইত্যাদি তৈরি করে দেবীর পুজোতে দিই।” বৃহস্পতিবার সকালেও আন্দুলবেড়িয়া জুড়ে চলছে ভাসানের প্রস্তুতি। অনেক বাড়ির প্রতিমা সকাল-সকালই ভাসান দিতে বেড়িয়ে পড়েন অনেকে। আবার আচার মেনে অনেক বাড়িতে লক্ষ্মী প্রতিমাকে কুলোর মধ্যে রেখে দেওয়া হয় সারা বছর। পরের বছর লক্ষ্মীপুজোয় নতুন প্রতিমা নিয়ে এসে পুজো করা হবে।
গ্রামের এক প্রবীন বাসিন্দা সাবিত্রী পাল বললেন, “পুজোর দিন চালের বাটা দিয়ে বাড়ির প্রতিটি দরজা ও মাটির দেওয়ালে আলপনা দেওয়া হয়। এর পরে লক্ষ্মীর পাঁচালি পড়ে, ধান-দুর্বা দিয়ে দেবীর পুজো করা হয়।”
বৃহস্পতিবার আন্দুলবেড়িয়া ও রেজিনগরের লক্ষ্মী প্রতিমাগুলির ভাসান হয়। এক পুজোর উদ্যোক্তা বলেন, “ঢাক-ঢোল সহযোগে ধুমধাম করে স্থানীয় পুকুরে প্রচুর মানুষ এক সঙ্গে প্রতিমা বিসর্জন করেন।” বাড়িতে বাড়িতে আলপনা, আর লক্ষ্মীপুজো উপলক্ষে বিশেষ খাবারের আয়োজনে সেজে উঠেছে রেজিনগর। এই গ্রামে দুর্গাপুজোর পাশাপাশি লক্ষ্মীপুজোর খাবারের উৎসবেও মেতে ওঠেন সকলে। |