ফার্গি-ওয়েঙ্গারই আদর্শ ভাবি জাতীয় কোচের |
নিজস্ব সংবাদদাতা • কলকাতা |
ইতিমধ্যেই শুভেচ্ছা পেয়ে গিয়েছেন আর্মান্দো কোলাসোর। চূড়ান্ত খবরটা পেলে তাঁর ই মেল করার ইচ্ছে বব হাউটনকে।
বব হাউটন নিজে সিনিয়রদের এক দল রেখে দিয়েছেন। আর্মান্দো বাদ দিয়েছিলেন সিনিয়রদের। ভারতের পরবর্তী কোচ স্যাভিও মিদেরা মনে করছেন, জুনিয়র-সিনিয়র মিলিয়েই জাতীয় দল করা ভাল। গোয়ার মারগাও থেকে ফোনে সাক্ষাৎকার দেওয়ার সময় স্যাভিও বললেন, “আই লিগে কয়েকটা ম্যাচে কে কেমন খেলছে, তা দেখে দল নির্বাচন করব। আমি খেলা দেখতে যাব। ডুরান্ডও দেখার ইচ্ছে ছিল। কিন্তু টিভিতে দেখাচ্ছে না।”
সরকারি ভাবে তাঁর নাম ঘোষণা হবে আজকালের মধ্যে। তার আগে বিশেষ কিছু বলতে নারাজ। কিন্তু একটা ব্যাপারে তাঁর খুব তৃপ্তি। “গোয়ার হয়ে সন্তোষ ট্রফি খেলতে যাওয়ার আগে দেশের হয়ে খেলেছিলাম ১৯৮৭ সালে। কোচের ক্ষেত্রেও তাই হচ্ছে। গোয়ার কোচ হইনি কখনও। তার আগে জাতীয় কোচ হওয়ার কথা হচ্ছে।” বললেন ছেচল্লিশ বছরের স্যাভিও। খেলা শুরুর সময় তাঁর আদর্শ ফুটবলার ছিলেন মরিসিও আফন্সো। বাঙালি তারকাদের মধ্যে মনোরঞ্জন ভট্টাচার্যর সঙ্গে ভারতের হয়ে খেলেছেন বলে বিশেষ উত্তেজিত। আলাদা করে নাম বললেন, সুদীপ চট্টোপাধ্যায়, কৃশানু দে, বিকাশ পাঁজির। আদর্শ কোচ কে? কোনও ভারতীয় কোচের নাম আলাদা করে না বলতে চাইলেও স্যাভিও নাম করেন অ্যালেক্স ফার্গুসন এবং আর্সেন ওয়েঙ্গারের। “এই দু’জন কোনও বিতর্ক ছাড়া যে ভাবে ধারাবাহিকতা দেখিয়ে যাচ্ছেন, তা শিক্ষার ব্যাপার। এত দিন ধরে একটা জায়গায় আছেন, ভাবা যায় না। ফার্গুসন সাফল্য পাচ্ছেন। ওয়েঙ্গার ফুটবলার তৈরি করেছেন।”
স্যাভিও নিজেও একটা জায়গায় থেকে কাজ করার পক্ষপাতী। “আমি ১৯৮৩ সাল থেকে সতেরো বছর খেলেছি। মাঝে ১৯৮৯ সালে একবার শুধু এম আর এফ ক্লাবে চলে গেছিলাম। বাকি সময়টা খেলি সালগাওকরে। কোচিংয়েও ২০০০ থেকে ২০০৮ সাল পর্যন্ত সালগাওকরে। একক দায়িত্বে আসি ২০০১ সালে।”
সালগাওকর কোচ হিসেবে সেরা সাফল্য হিসেবে ভাবী জাতীয় কোচ ডুরান্ড কাপ জয় এবং আই লিগে রানার্স হওয়ার ব্যাপারটা আগে রাখতে চান। “সাতানব্বই সালে ইরাকে এক প্রদর্শনী সফরে ভারতের নেতৃত্ব দিয়েছিলাম। আর নেতৃত্ব পাইনি। শেষ পর্যন্ত কোচ হতে পারলে দারুণ ভাল লাগবে।” বললেন স্যাভিও।
|