|
|
|
|
টু-জি |
কেন সময়মতো ব্যবস্থা নেয়নি কেন্দ্র, প্রশ্ন সুপ্রিম কোর্টের |
সংবাদসংস্থা • নয়াদিল্লি |
টু জি কেলেঙ্কারি ঠেকাতে সরকার সময়মতো ব্যবস্থা নেয়নি বলে আজ উষ্মা প্রকাশ করল সুপ্রিম কোর্ট। বিচারপতি জি এস সিঙ্ঘভি এবং বিচারপতি এইচএল দাত্তু এ দিন বলেন, টু জি স্পেকট্রাম নিলাম করতে বলে স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংহ চিঠি লিখলেও তা অগ্রাহ্য করেন তৎকালীন টেলিকমমন্ত্রী এ রাজা এবং ‘আগে এলে আগে পাবে’র ভিত্তিতে বিভিন্ন সংস্থাকে ইচ্ছাপত্র (লেটার অফ ইনটেন্ট) বিলি করেন। তা জেনেও সরকার কিছু করেনি। অথচ সময়মতো ব্যবস্থা নিলে এত বড় কেলেঙ্কারি ঘটত না বলে মত বিচারপতিদের।
আজ ইউনিটেক ওয়্যারলেস প্রাইভেট লিমিটেডের এমডি সঞ্জয় চন্দ্র ও সোয়ান টেলিকমের ডিরেক্টর বিনোদ গোয়েনকার জামিনের আবেদনের শুনানি চলছিল বেঞ্চে। তখনই বিচারপতিরা বলেন, “চার্জশিটে একটি গুরুত্বপূর্ণ তারিখ রয়েছে। ২০০৭ সালের ২ নভেম্বর। ওই তারিখে সরকারের প্রধান (মনমোহন সিংহ) চিঠি লিখে জানান, টু জি স্পেকট্রাম নিলাম করা উচিত। এ রাজা একমত হননি। অর্থ মন্ত্রকও আপত্তি করেছিল। আপনাদের কি মনে হয় যে কী চলছে, সরকার জানত না?” এখানেই শেষ নয়। শীর্ষ আদালত বলে, ২০০৮ সালের অক্টোবর-নভেম্বর থেকে টু জি স্পেকট্রাম বণ্টন নিয়ে সরকারের কাছে
অভিযোগ আসতে শুরু করে। সিবিসি-র কাছেও অভিযোগ যায়। সেই থেকে তিন বছর
সরকার কেন কোনও পদক্ষেপ করেনি? বাধাটা কোথায় ছিল?
এ দিকে, আইনমন্ত্রী সলমন খুরশিদের মন্তব্যে তৈরি হওয়া জটিল পরিস্থিতি সামাল দিতে আজ উদ্যোগী হয়েছে সরকার। সম্প্রতি খুরশিদ জানান, বিভিন্ন মামলায় শিল্পপতিদের জেলে পাঠানো হচ্ছে। ফলে দেশে লগ্নিতে তার প্রভাব পড়বে। সে কথা শোনার পর গতকালই সুপ্রিম কোর্ট জানায়, এমন মন্তব্য বিরক্তিকর। সর্বোচ্চ আদালতের বিরক্তির আঁচ পেয়ে খুরশিদ গতকালই জানান তাঁর বক্তব্যের সঙ্গে টু-জি মামলার কোনও সম্পর্ক নেই। আইনমন্ত্রী হিসেবেও তিনি কিছু বলতে চাননি। তাঁর মত একেবারেই ব্যক্তিগত। সুপ্রিম কোর্টের ‘বিরক্তি’ কমাতে আজ সরকারের তরফেই সুপ্রিম কোর্টকে জানানো হয়েছে আইনমন্ত্রী সংবাদমাধ্যমকে স্বতস্ফূর্তভাবে ব্যক্তিগত মত জানিয়েছেন। কোনও মামলা প্রভাবিত করা কিংবা শিল্পপতিদের বাঁচানোর উদ্দেশ্যে তিনি কিছু বলেননি। |
|
|
|
|
|