দিনের ব্যস্ত সময়ে ফের বিভ্রাট মেট্রোয়। দমদম ও মাস্টারদা সূর্য সেন স্টেশনে দু’টি মেট্রো রেক অল্প সময়ের ব্যবধানে বিকল হওয়ায় ভোগান্তির শিকার হলেন হাজার হাজার নিত্যযাত্রী। বিভিন্ন স্টেশনে হাঁসফাঁস ভিড়ে নাস্তানাবুদ অসংখ্য মানুষ। ওই বিভ্রাটের জেরে বাতিল করতে হল ছ’জোড়া আপ ও ডাউন ট্রেন। দমবন্ধ করা তুমুল ভিড়ে যাতায়াত করতে বাধ্য হলেন যাত্রীরা। অনেকেরই অফিসের হাজিরা খাতায় পড়ল ‘লেট মার্ক’।
সমস্যার সূত্রপাত সকাল সওয়া ৯টা নাগাদ। মাস্টারদা সূর্য সেন স্টেশনে দমদমমুখী লাইনে (আপ) আচমকাই একটি ট্রেন বিকল হয়ে যায়। যাত্রীদের ট্রেন থেকে নামিয়ে মিনিট দশেক চেষ্টার পরে বিকল রেকটিকে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয় টালিগঞ্জে, মেট্রোর কারশেডে। মাস্টারদা সূর্য সেন তো বটেই, মহানায়ক উত্তমকুমার, রবীন্দ্র সরোবর, কালীঘাট, যতীন দাস পার্ক বিভিন্ন স্টেশনের প্ল্যাটফর্মে ততক্ষণে তিল ধারণের জায়গা নেই। ‘আপ’ লাইনে বিভ্রাট মিটতে না-মিটতেই নতুন সমস্যা শুরু হয় ‘ডাউন’ লাইনে। দমদমে কারশেড থেকে কবি সুভাষমুখী একটি এসি রেক নিয়ে প্ল্যাটফর্মে আসার সময়ে চালক টের পান, সেটিতে যান্ত্রিক ত্রুটি রয়েছে। ঘড়িতে তখন সকাল ৯টা বেজে ৫০ মিনিট। ‘পাবলিক অ্যাড্রেস সিস্টেম’-এ ট্রেন বিকল হওয়ার ঘোষণা করেন চালক। ওই ট্রেনটিতে তো বটেই, প্ল্যাটফর্মেও তখন থিকথিকে ভিড়। বারবার নেমে যাওয়ার ঘোষণা সত্ত্বেও প্রথম দিকে যাত্রীরা কেউই তা মানতে চাননি। ভিড় থেকে আওয়াজ ওঠে, “আরে দাদা, প্ল্যাটফর্মে নেমে দাঁড়াবটা কোথায়!”
কিছুক্ষণ পরে বাধ্য হয়েই ট্রেন খালি করে নামতে থাকেন যাত্রীরা। প্ল্যাটফর্মে তুমুল ধাক্কাধাক্কিতে মাটিতে হুমড়ি খেয়ে পড়েন অনেকে। টাল সামলাতে না-পেরে লাইনেও নেমে পড়েন কয়েক জন। এরই মধ্যে মিনিটে-মিনিটে টিকিট কাউন্টার থেকে প্ল্যাটফর্মে ঢুকতে থাকে বাড়তি ভিড়। মিনিট দশেক এই পরিস্থিতি চলার পরে বিকল রেকটিকে কোনও মতে খালি করে কারশেডে ফিরিয়ে নেওয়া হয়। |