ব্যবসায়ী পরিতোষ দে হত্যাকাণ্ডে মূল অভিযুক্তকে গ্রেফতারের দাবিতে ফের আন্দোলনে নামার হুমকি দিল বালুরঘাট ব্যবসায়ী সমিতি। তাঁদের অভিযোগ, তোলাবাজির প্রতিবাদ করতে গিয়ে পরিতোষবাবু খুন হন। পাঁচ মাস কেটে গেলে ঘটনায় মূল অভিযুক্ত খোকন কর্মকারকে পুলিশ গ্রেফতারের ব্যাপারে গড়িমসি করছে। অভিযুক্তকে ফেরার দেখিয়ে খুনেরর মামলার চার্জশিট আদালতে পেশ করা হয়েছে। এ বার আড়াল থেকে অভিযুক্ত ফের তোলাবাজির চেষ্টা চালাচ্ছে। মামলার সাক্ষীদের টেলিফোনে হুমকি দিচ্ছে অভিযুক্ত। বালুরঘাট থানার বিরুদ্ধে মূল অভিযুক্তকে গ্রেফতারে উদাসীনতার অভিযোগ জানিয়ে ব্যবসায়ীরা পুলিশ সুপারের দ্বারস্থও হয়েছেন। বালুরঘাট ব্যবসায়ী সমিতির সম্পাদক হরেরাম সাহা বলেন, “পুলিশের আশ্বাসেই আমরা আন্দোলন স্থগিত রেখেছিলাম। কিন্তু পুলিশের ভুমিকায় আমরা আশ্বস্ত হতে পারছি না। দু’একদিনের মধ্যে সমিতির বৈঠক করে আন্দোলনে নামা হবে।” জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জেমস কুজুর বলেন, “ফেরার অভিযুক্তের বিরুদ্ধে সম্প্রতি এক ব্যবসায়ী টেলিফোনে হুমকি দিয়ে তোলাবাজির অভিযোগ জানিয়েছেন। এই ব্যাপারে মামলা দায়ের হয়েছে। যাঁকে সামনে রেখে ওই দুষ্কৃতী তোলাবাজি করত তাকেও গ্রেফতার করা হয়েছে। ফেরার অভিযুক্তের সম্পত্তি নিলাম করে বাড়িটি সিল করে দেওয়া হয়েছে।” মূল অভিযুক্তকে আড়াল করার ব্যাপারে বালুরঘাট থানার পুলিশ কর্মীদের একাংশ জড়িত। ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি গৌররঞ্জন বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “পুলিশকে কিছু জানালেই দুষ্কৃতীরা সেটা জেনে যাচ্ছে। খুনের পরে এক দক্ষ অফিসারকে এনে ৭ অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হয়। ওই পুলিশ অফিসার চলে যেতেই মামলায় পুলিশের তৎপরতা বন্ধ হয়ে যায়। এর পরে পুলিশের উপরে ভরসা রাখা কঠিন হয়ে পড়েছে।” বালুরঘাট মাছ বাজারে তোলাবাজির প্রতিবাদ করেছিলেন নিহত পরিতোষ দে। বালুরঘাট থানায় তিনি অভিযোগও জানান। পুলিশ ওই দু’জনকে গ্রেফতার করার পরে আদালত থেকে দুষ্কৃতীরা জামিনে ছাড়া পান। তার পরেই গত ৮ মে সকালে বাড়ির কাছেই দুষ্কৃতীরা পরিতোষবাবুকে গুলি করে খুন করেন। খুনের পরে দুষ্কৃতীরা গা ঢাকা দেয়। ৭ জনকে গ্রেফতার করা হলেও মূল অভিযুক্ত এখনও পুলিশের হাতের বাইরেই। |