স্ত্রী জিলিপি খেতে রাজি না হওয়ায় ছুরি দিয়ে দুই শিশু কন্যার উপর হামলা চালানোর অভিযোগ উঠেছে এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে। মঙ্গলবার বিকালে ঘটনাটি ঘটেছে দক্ষিণ দিনাজপুরের তপন থানার চামটাকুঁড়ি এলাকায়। পুলিশ জানায়, জখম শিশুদের নাম সুনতি পাহান এবং সুস্মিতা পাহান। আশঙ্কাজনক অবস্থায় ওই দুই শিশুকে বালুরঘাট হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে। পেটে এবং পিঠে একাধিক ছুরির আঘাতে জখম তৃতীয় শ্রেণির ছাত্রী সুনতিকে উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে রেফার করেছেন বালুরঘাট হাসপাতালের চিকিৎসক। এক বছর বয়সের সুস্মিতাও গুরুতর জখম হয়েছে। অভিযুক্ত বাবা লহন পাহান এলাকা ছেড়ে পালিয়েছে। পুলিশ তাকে খুঁজছে। দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জেমস কুজুর বলেন, “তপন থানার ওসি’কে ঘটনার তদন্ত করে অভিযুক্তকে ধরতে বলা হয়েছে। অভিযুক্ত মানসিক ভারসাম্যহীন বলে জানা গিয়েছে।” পেশায় গরিব খেত মজুর লহন পাহানের তিন মেয়ে। ঘটনার সময় মেজ মেয়ে পাঁচ বছরের সুনিবালা বাড়িতে ছিল না। ঘটনায় ভেঙে পড়েছেন সুনতি, সুস্মিতাদের মা দীপালী দেবী। তিনি বলেন, “বেশ কিছু দিন ধরে ও মানসিক রোগে ভুগছে। কবিরাজি চিকিৎসা করানোয় কিছুটা ভাল মনে হচ্ছিল। এখন বুঝতে পারছি ভাল হয়নি।” পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, এলাকায় লক্ষ্মীপুজো এবং মেলা উপলক্ষ্যে ঘুরতে যেতে লহন ১০ টাকা চান। টাকা দিলে বড় মেয়েকে দোকানে পাঠিয়ে জিলিপি কেনান। বাচ্চাদের জিলিপি খাওয়ান। এর পর স্ত্রীকে জিলিপি খেতে দিলে তিনি আপত্তি জানান। তাতেই চটে ওঠেন লহন। উঠোন থেকে বাঁশের টুকরো নিয়ে স্ত্রীকে ছুঁড়ে মারেন। ঘর থেকে ছুরি নিয়ে বার হন। পরিস্থিতি বেগতিক দেখে শিশু কন্যাদের নিয়ে দীপালী দেবী পালাতে গেলে তাঁদের উপর ঝাঁপিয়ে পড়ে লহন ছুরি চালাতে থাকেন বলে অভিযোগ। প্রতিবেশীরা ছুটে গিয়ে রক্তাক্ত অবস্থায় শিশু কন্যাদের উদ্ধার করে বালুরঘাট হাসপাতালে নিয়ে যান। হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, সুনতি গুরুতর জখম যকৃৎ ফুটো হওয়ার আশঙ্কায় চিকিৎসকরা তাকে রেফার করেছেন। |