ফুন্টশেলিং-এ বোমা বিস্ফোরণের পর ভারত-ভুটান সীমান্ত জুড়ে কড়া সতর্কতা জারি করা হয়েছে। ভুটান জুড়ে কড়া নিরাপত্তা জারি করা হয়েছে। চলতি সপ্তাহেই ভুটান রাজার বিয়ের অনুষ্ঠান। তার আগে সোমবার সন্ধ্যায় বিস্ফোরণের জেরে নড়চড়ে বসেছে সেদেশের পুলিশ-প্রশাসন। ফুন্টশেলিং-এর সীমান্ত গেটে সমস্ত গাড়িতে চলছে জোর তল্লাশি। এতে মঙ্গলবার সকাল থেকে জয়গাঁ শহরে যানজট সৃষ্টি হয়েছে। জয়গাঁ পুলিশের তরফেও কড়া নজরদারি শুরু হয়েছে। ঘটনাস্থলে গিয়েছেন জয়গাঁ উন্নয়ন পর্ষদের চেয়ারম্যান মিহির গোস্বামী এবং আলিপুরদুয়ারের মহকুমা শাষক অমলকান্তি রায়। মিহিরবাবু বলেন, “ভুটান গেটের একদেড়শ মিটার কাছে পেট্রল পাম্পের সমানে একটি গাছের নিচে বিস্ফোরক রাখা ছিল। আর একটি বিস্ফোরণ ফুন্টশেলিং থেকে থিম্পু যাওয়ার রাস্তায় হয়েছে। সীমান্তের পুলিশ-প্রশাসনকে সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে।” তবে বিস্ফোরণের জেরে জয়গাঁ ব্যবসা বাণিজ্যে প্রভাব পড়েছে। ভুটানের ফুন্টশেলিং-সহ লাগোয়া বিস্তীর্ণ এলাকায় বাসিন্দারা জিনিসপত্র, খাবারের জন্য জয়গাঁর উপর নির্ভরশীল। জয়গাঁ মার্চেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের সাধারন সম্পাদক রামাশঙ্কর গুপ্ত বলেন, “জয়গাঁ শহরের পাশেই ফুন্টশেলিং। স্থানীয় বাসিন্দারা আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন। জয়গাঁ বাজারে প্রভাব পড়েছে। এলাকায় পরিবহণ এবং পযর্টন ব্যবসা মার খাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।” পুলিশ-প্রশাসন সূত্রের খবর, বিস্ফোরণে চারজন জখম হয়েছেন। এর মধ্যে দু’জন ভারতীয়। ভুটানের একটি সংস্থার কর্মী, পেশায় বাস্তুকার সঞ্জয় কুমার শর্মা এবং ইলেকট্রিশিয়ান প্রদীপ বর্মন পেট্রল পাম্প থেকে গাড়ি নিয়ে বার হওয়ার সময়ই বিস্ফোরণের কবলে পড়েন। প্রদীপের বাঁ হাতে লোহার টুকরো ঢুকে গিয়েছে। সঞ্জয়ের বুকের নিচে চোট লেগেছে। দুজনের বাড়িই জয়গাঁ এলাকায়। আলিপুরদুয়ারের মহকুমা শাসক অমলকান্তি রায় বলেন, “বিস্ফোরণে চারজন জখম হয়েছেন। দু’জনকে প্রাথমিক চিকিৎসার পর ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। বাকি দুজন ভারতীয় নাগরিকের মধ্যে সঞ্জয় কুমার শর্মার শিলিগুড়িতে চিকিৎসা চলছে। প্রদীপ বর্মন ফুন্টশেলিং হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।” |