|
|
|
|
সর্বজনীন লক্ষ্মীপুজোয় মেতেছে বেলদার গ্রাম |
নিজস্ব সংবাদদাতা • মেদিনীপুর |
গ্রামজুড়ে উৎসবের মেজাজ। বাড়িতে-বাড়িতে আত্মীয়দের আনাগোনা। হই-হুল্লোড়। দুর্গাপুজোর থেকেও লক্ষ্মীপুজো ঘিরেই আনন্দ বেশি বেলদার রসুলপুর গ্রামে। তাই সবাই এই সময়টার জন্যই সারা বছর অপেক্ষা করে থাকেন। এ বারেও সেই উৎসাহে এতটুকু ঘাটতি নেই। বরং, জৌলুস-জাঁকজমক যেন আরও বেড়েছে। পুজো কমিটির অন্যতম সদস্য সুব্রত ঘোড়ইয়ের কথায়, “দুর্গাপুজোর আগে থেকেই আমাদের গ্রামে শুরু হয় লক্ষ্মীপুজোর প্রস্তুতি। পুজোর ক’দিন কত মানুষ আসেন। ছোট-ছোট ছেলেমেয়েরা কত আনন্দ করে। এ পুজো সব-অর্থেই তাই সর্বজনীন।”
রসুলপুর গ্রামের লক্ষ্মীপুজোর এ বার ২৬ তম বর্ষ। মন্দিরের আদলে মণ্ডপ হয়েছে। মণ্ডপ জুড়ে থার্মোকলের নানা সুদৃশ্য কাজ। পুজো উপলক্ষে প্রতি বছরই নানা সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন হয়। এ বারও এর অন্যথা হচ্ছে না। কলকাতা থেকে শিল্পীরা এসেও পারফর্ম করবেন। বসবে গানের আসর। বেলদা থেকে এগরার দিকে কিছুটা এগোলেই অর্জুনি। অদূরেই রসুলপুর গ্রাম। প্রায় ৩০০ পরিবারের বাস। স্থানীয় হেল্পস্টার ক্লাবের উদ্যোগেই এখানে লক্ষ্মীপুজোর আয়োজন। |
|
বেলদার অর্জুনীতে প্রতিমা। ছবি তুলেছেন কৌশিক মিশ্র। |
কী ভাবে শুরু হয়েছিল পুজো? পুজো-কমিটির অন্যতম সদস্য সুদীপ প্রামাণিক, অচিন্ত্য প্রামাণিকদের কথায়, “শুরুর কথা ভাবলে এখনও অন্য রকম একটা অনুভূতি হয়। সেই সব দিনের কথা মনে পড়ে যায়। তখন আমরা স্কুলে পড়ি। এক দিন ক’জন বন্ধু মিলে ঠিক করলাম, গ্রামে লক্ষ্মীপুজো করব। সেই সময় এখানে কোনও সর্বজনীন পুজোই হত না। ফলে, পুজোকে কেন্দ্র করে সবার এক জায়গায় আসার কোনও সুযোগও ছিল না। দেখতে দেখতে পুজো চলে এল। প্রথম বছর ভাল ভাবেই পুজো উতরে গেল। সেই শুরু। তার পর থেকে প্রতি বছরই পুজো হয়।” কাজের জন্য যে যেখানেই থাকুন না কেন, এই সময় সবাই রসুলপুরে আসেন।
প্রথম ক’বছর বাঁশের কাঠামোর উপরে খবরের কাগজ সাঁটিয়েই মণ্ডপ তৈরি হত। তবে তখনও পুজোর উৎসাহে এতটুকু ঘাটতি ছিল না। এখনও নেই। পুজো-কমিটির সম্পাদক জয়দীপ প্রামাণিকের কথায়, “তখন আমরা নিজেরাই মণ্ডপ তৈরি করতাম। কত হুই-হুলোড় হত। এখন অবশ্য ডেকোরেটরই মণ্ডপ তৈরি করে।” মঙ্গলবার রাত থেকে পুজো শুরু হয়েছে। সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানও রয়েছে। সেই সঙ্গে রয়েছে গরিব মানুষদের বস্ত্রবিতরণের কর্মসূচি। পুজো-কমিটির সদস্য পীযূষ প্রামাণিকের কথায়, “সামাজিক দায়বদ্ধতা থেকেই এই কর্মসূচি। আমাদের সাধ্য বেশি নেই। তার মধ্যেই যতটুকু করা সম্ভব, করি।” |
|
|
|
|
|