|
|
|
|
রাতের শহরে বাড়ছে চুরি, নালিশ পুলিশি নিষ্ক্রিয়তার |
নিজস্ব সংবাদদাতা • মেদিনীপুর |
রাতের শহরে একের পর এক চুরি-ছিনতাইয়ের ঘটনায় উদ্বিগ্ন মেদিনীপুরবাসী। উৎসবের মরসুমে পুলিশ পর্যাপ্ত নিরাপত্তার আশ্বাস দিয়েছিল। তা সত্ত্বেও চুরি-ছিনতাই ঠেকানো যায়নি। শহরের যে সব এলাকা গ্রামাঞ্চল-সংলগ্ন, মূলত সেখানেই এই ধরনের ঘটনা ঘটছে। রাস্তার ধারে পর্যাপ্ত আলো না থাকার সুযোগ নিচ্ছে দুষ্কৃতীরা। পথচারীদের মারধর করে তাঁদের থেকে টাকা, মোবাইল-সহ নানা জিনিসপত্র কেড়ে নিচ্ছে। প্রতিবাদ করতে গেলে শুনতে হচ্ছে প্রাণনাশের হুমকি। ফলে, বিশেষ কেউ প্রতিবাদের পথে হাঁটার সাহস দেখাচ্ছেন না।
এ প্রসঙ্গে মেদিনীপুর সদর কোতোয়ালি থানার আইসি পবিত্র বন্দ্যোপাধ্যায়ের বক্তব্য, “রাতে শহরে নজরদারি থাকেই। তা আরও বাড়ানো হবে। গত কয়েক দিনে ছিনতাইয়ের একাধিক অভিযোগ এসেছে। দুষ্কৃতীদের খোঁজে তল্লাশি শুরু হয়েছে।”
দ্রুত বদলে যাচ্ছে জেলার সদর শহরের চেহারা। বাড়ছে জনসংখ্যা। নতুন নতুন এলাকায় বসতি গড়ে উঠছে। বছর দশেক আগেও যে জমিতে চাষ হত, সেখানেই এখন মাথা তুলেছে বহুতল। এই সব নতুন বসতি এলাকাতেই চুরি-ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটছে। কিছু ক্ষেত্রে পুলিশের কাছে অভিযোগ জমা পড়ছে। অনেক ক্ষেত্রে আবার পড়ছেও না। শহরে এখন প্রায়ই সাইকেল-মোটরবাইকও চুরি যাচ্ছে। শহরবাসীর অভিযোগ, পুলিশের কড়া পদক্ষেপের অভাবেই দুষ্কৃতীদের এত বাড়বাড়ন্ত। পুলিশ অবশ্য তা মানতে নারাজ। উল্টে তাদের দাবি, চুরি-ছিনতাইয়ের ঘটনা আগের থেকে কমেছে। মাঝে কয়েকটি ঘটনা ঘটেছে বটে। তবে, সব ক্ষেত্রেই অভিযোগ খতিয়ে দেখে তড়িঘড়ি পদক্ষেপ করা হয়েছে।
মেদিনীপুর শহরের শরৎপল্লি, রাঙামাটি, তাঁতিগেড়িয়া, নতুন বাজার, জুগনুতলা এলাকায় দুষ্কৃতীদের দাপট বাড়ছে বলে অভিযোগ। সোমবার রাতেও শহরে একটি ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটেছে। রাত ন’টা নাগাদ তাঁতিগেড়িয়া থেকে বিশ্ববিদ্যালয় রোড ধরে সাইকেলে রাঙামাটি যাওয়ার পথে দুষ্কৃতীদের কবলে পড়ে দেবনাথ সাউ নামে এক যুবক। মোটরবাইকে আসা ৩ জন তাঁর সামনে এসে দাঁড়ায়। কিছু বোঝার আগেই মারধর শুরু হয়। দুষ্কৃতীরা দেবনাথের মানিব্যাগ কেড়ে নেয়। এ দিন পুলিশে লিখিত অভিযোগ জানানো হয়। এর আগে শরৎপল্লিতেও এমন ঘটনা ঘটেছে। বাড়ি ফেরার পথে দুষ্কৃতীদের হাতে আক্রান্ত হয়েছেন মহিলারাও।
মঙ্গলবার রাতে আইসি নিজেই শহরের বেশ কয়েকটি এলাকায় নজরদারি চালান। তাঁর কথায়, “শহরবাসীর উদ্বেগের কিছু নেই। রাতের শহরে নজরদারি আরও বাড়ানো হবে।” |
|
|
|
|
|