|
|
|
|
খড়্গপুরে মহিলাদের পাল্টা তোপ কর্তৃপক্ষকে |
কারখানায় ‘জুলুম’, অভিযুক্ত তৃণমূল |
নিজস্ব সংবাদদাতা • মেদিনীপুর |
শাসকদল তৃণমূলের জুলুমের জেরে নির্মীয়মাণ একটি কারখানা বন্ধ হয়ে যাওয়ার অভিযোগ উঠেছে খড়্গপুর লোকাল থানার জিনশহরে। কর্মীদের মারধর করে কারখানা থেকে বের করে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। মঙ্গলবার এই ঘটনা নিয়ে কারখানা কর্তৃপক্ষ থানায় অভিযোগ জানানোর পরেই স্থানীয় মহিলারা আবার কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধেই শ্লীলতাহানির অভিযোগ নিয়ে হাজির হন থানায়। পুলিশ জানিয়েছে, দু’পক্ষেরই অভিযোগ নেওয়া হয়েছে। ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে। ফের যাতে গণ্ডগোল না হয় সে জন্য এলাকায় পুলিশি টহলও রয়েছে।
গত বছর অক্টোবর মাসে জিনশহরের কাছে একটি কারখানা তৈরির কাজ শুরু করেন মেদিনীপুরের বাসিন্দা বজরংলাল অগ্রবাল। নির্মাণকাজ শুরুর পর থেকেই সিপিএম ও তৃণমূল দু’পক্ষই নানা ভাবে ‘জুলুম’ শুরু করে বলে অভিযোগ। বজরংলালবাবুর অভিযোগ, “খোলাবাজারে কারখানা তৈরির সামগ্রীর যা দাম তার থেকে ৩০-৪০ শতাংশ বেশি দাম চাওয়া হয়। তাই দিতে বাধ্য হচ্ছিলাম। কিন্তু বর্তমানে নতুন সরকারের মুখ্যমন্ত্রী শিল্পে জুলুমবাজি বন্ধের নির্দেশ দেওয়ায় বুকে ভরসা পাই। বেশি দামে ইট-বালি-সিমেন্ট আর কিনব না বলে জানিয়ে দিই। তার পর থেকেই সিপিএম ও তৃণমূল ঝামেলা শুরু করে। মঙ্গলবার কর্মীদের মারধর করে। মোবাইল ও টাকাও কেড়ে নেয়। অনেক কষ্টে প্রাণে বেঁচেছে কর্মীরা। এই ঘটনার পর কাজ বন্ধ করে দিয়েছি।” ওই শিল্পোদ্যোগীর প্রশ্ন, “যে রাজ্যে হাজার হাজার শিক্ষিত যুবক-যুবতী বেকার, সেখানে নতুন কারখানার নির্মাণকাজেও কেন এত জুলুমবাজি?” |
|
বন্ধ নির্মীয়মাণ কারখানার কাজ। ছবি: রামপ্রসাদ সাউ। |
মঙ্গলবার স্থানীয় তৃণমূল নেতা অজিত মহাপাত্র নিজে দাঁড়িয়ে থেকে মারামারিতে নেতৃত্ব দিয়েছেন বলে অভিযোগ। অজিতবাবুর অবশ্য বক্তব্য, “কারখানার নির্মাণকাজ নিয়ে কোনও গণ্ডগোল হয়নি। কর্মীরা স্থানীয় মহিলাদের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করছিল। নির্মাণকাজে যুক্ত মহিলাদেরও সম্মানহানির চেষ্টা হয়। তাই মহিলারা প্রতিবাদ করেছেন।” বস্তুত, স্থানীয় কয়েক জন মহিলা এ দিন থানায় শ্লীলতাহানির অভিযোগও করেছেন। ওই নির্মীয়মাণ কারখানাতেই শ্রমিকের কাজে যুক্ত গায়ত্রী রায় বলেন, “বেশ কিছুদিন ধরেই আমাদের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করছিল কয়েক জন। এ দিনও খুব খারাপ ব্যবহারের চেষ্টা হয়। থানায় অভিযোগও করেছি।” কারখানা কর্তৃপক্ষ আবার মহিলাদের অভিযোগ মানতে চাননি।
এ দিনের ঘটনা প্রসঙ্গে তৃণমূলের পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা সভাপতি দীনেন রায় বলেন, “ওই কারখানাকে কেন্দ্র করে স্থানীয়স্তরে কিছু বিবাদ হয়েছে বলে শুনেছি। সঙ্গে সঙ্গে ব্লক নেতৃত্বকে জানিয়েছি, সমস্যার সমাধান করতে।” খড়্গপুরের এসডিপিও দীপক সরকার বলেন, “ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে। পুলিশের পক্ষ থেকে যথাযথ পদক্ষেপ করা হবে।” |
|
|
|
|
|