নিজস্ব সংবাদদাতা • মন্তেশ্বর |
বিসর্জনের দিন বের হয় বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা। দেবী চড়েন মহিলাদের কাঁধে।
বহু বছর ধরে এই রীতিই চলে আসছে মন্তেশ্বরের আসানপুর গ্রামে।
এই গ্রামের সবথেকে বড় উৎসব লক্ষ্মী পুজো। রয়েছে কংক্রিটের দেবীমন্দির। সেখানে দেবীর সঙ্গে পুজিত হন নারায়ণও। তিন দিনের এই উৎসবের প্রস্তুতি শুরু হয়ে যায় মাসখানেক আগে থেকেই। মন্দির রং করা থেকে শুরু করে মূর্তি গড়া সবই চলে। গ্রামবাসীদের দাবি, গড়াই ও ঘোষ পরিবারের উদ্যোগেই প্রথম শুরু হয় দেবীর আরাধনা। তবে উৎসবের জাঁকজমক বেড়েছে গত ২৬ বছর ধরে। সর্বজনীন এই পুজোয় এ বারও রয়েছে বিভিন্ন কর্মসূচি। পুজো উপলক্ষে বসে নাম সংকীর্তনের আসর। গোটা গ্রাম রঙিন আলোয় ঝলমল করে। |
তিন দিন পরে বিসর্জনের সন্ধ্যায় মহিলারা প্রথমে দেবীকে বরণ করে নেন। তার পরে দেবী চড়েন মহিলাদের কাঁধে। বের হয় শোভাযাত্রা। শুধু আসাপুর গ্রামই নয়, শোভাযাত্রা পৌঁছয় পাশের সাহাপুর গ্রামেও।
গ্রামের বাসিন্দা সুনীল গড়াই বলেন, “গ্রামের বেশিরভাগ মানুষই চাষবাস করেন। গ্রামের বাসিন্দাদের বিশ্বাস, দেবী সন্তুষ্ট হলে তাঁদের জীবিকায় কোনও ব্যাঘাত ঘটবে না।” অন্য এক বাসিন্দা শিশির ঘোষের কথায়, “গ্রামের মানুষ সবথেকে বেশি আনন্দ করেন লক্ষ্মীপুজোর সময়ে। নতুন জামাকাপড়ও পড়েন। বিভিন্ন জায়গা থেকে আত্মীয়স্বজন আসেন।”
এক কথায় লক্ষ্মীই আসানপুরের পরমাত্মীয়। তাঁর বিসর্জন আসলে বিসর্জন নয়। |