|
|
|
|
|
|
মন্থরা সেজে হাউহাউ কান্না
রাখী গুলজার |
|
ছোটবেলা কেটেছে রানাঘাটে। বাবা পাটের ব্যবসার কাজে বাইরে থাকতেন। মা বাড়ির বাইরে বিশেষ যেতেন না। আমাকেই বাইরের টুকিটাকি কাজগুলো সারতে হত। বাবা বলতেন, ‘মেয়ে না, তুই আমার ছেলে।’ আসলে মেয়ে হয়েও একটু অন্য রকম ছিলাম। এক জায়গায় বসে কোনও কিছু খেলা আমার ধাতে ছিল না। পুতুল খেলেছি বলে তো মনেই পড়ে না। সুযোগ পেলেই গাছগাছালির মাঝে হারিয়ে যেতাম। মা ঘুমিয়ে পড়লে চুপিচুপি ঘর থেকে বেরিয়ে কোনও গাছের নীচে বসে থাকতাম। সেটাই অবসর। এক বার উই-এর ঢিপির ওপর বসেছিলাম। কে যেন ধাক্কা মারায় সে যাত্রা বেঁচে গিয়েছিলাম। জানতাম না, উই-এর ঢিপিতে সাপ থাকে। |
|
ছোটবেলায় আখ খেতে গিয়ে এক বিশাল কাণ্ড ঘটিয়ে ফেলেছিলাম। দুই বন্ধুর পাল্লায় পড়ে পাশের স্টেশনে আখ খেতে গিয়েছি। পথ হারিয়ে গিয়েছি। অনেক পরে যখন বাড়ি ফিরলাম, কিচ্ছুটি না শুনেই মা দমাদম মার। শেষে বলল, বাবা এসে রাম-দা দিয়ে আমাকে বলি দেবে। এক মূকবধির প্রতিবেশী কোনও রকমে উদ্ধার করে আমাকে তাঁর বাড়িতে নিয়ে গেল। রাম-দা দিয়ে পাঁঠা কাটা দেখেছি। তাই ধরেই নিয়েছিলাম সেটাই জীবনের শেষ দিন। এ দিকে বাবা ফেরার পর সবাই তো বাবাকে উস্কাচ্ছে। আমাকে ডেকে পাঠানো হল। সব শুনে মারা তো দূরের কথা, একটুও বকলেন না বাবা। শুধু বললেন, জীবনে কখনও মিথ্যে বলো না। আমার তো ঘাম দিয়ে জ্বর ছাড়ল।ছোটবেলাতেই এক রবিবার আমার অভিনয়ের হাতেখড়ি। গরমের ছুটিতে মামা বাড়ি গিয়েছি। পাড়ার ক্লাবে নাটক। রামের বনবাস। আমাকে দেওয়া হল মন্থরার পার্ট। আমার তো ভারী মজা। পিঠে কুঁজ থাকবে। নির্দিষ্ট দিনে আমাকে সাজানো হল। সাজ শেষে আয়নায় নিজের বিদঘুটে চেহারা দেখে তো আমি বিকট চিৎকার। কিছুতেই স্টেজে যাব না। সবাই ঠেলে পাঠাল বটে। প্রথম শো’তেই আমি এক্কেবারে ফ্লপ।
জীবনে বাঁচার তাগিদেই এক দিন রঙিন জগতে এসে পড়েছিলাম। তবে বেশি কাজ নিতাম না বলে অবসর মিলত অনেকটাই। ইন্ডোর নয়, আউটডোরেই কাজ করতে বেশি ভাল লাগত। যদিও আউটডোরে গেলে একটানা মাসখানেকও কাজ করতে হত।
আউটডোরে কাজের দিনগুলো আমরা মজায় মুড়ে রাখতাম। ‘রেশমা ঔর শেরা’ ছবির শুটিং করতে গিয়েছিলাম মরুভূমিতে। ইউনিটে ছিলেন সুনীল দত্ত, নার্গিস, ওয়াহিদা রহমান, অমিতাভ বচ্চন। ৫০টা তাঁবু পড়েছিল। শুটিংয়ের ফাঁকে অদ্ভুত সব খেলায় সময় কাটাতাম। যত রাজ্যের খুচরো পয়সা কুড়িয়ে তাস খেলা হত। কে আর্টিস্ট আর কে টেকনিশিয়ান বোঝাই যেত না।
মজা করার জন্য নানা উপায় বের করা হত। অমিতাভের তাঁবুর পাশে ছিল ক্যামেরাম্যান রামচন্দ্রণের তাঁবু। ও বোধ হয় রাতে নাক ডাকত। ওকে জব্দ করতে ভূতের ভয় দেখানো হয়। মেক-আপ ম্যানকে দিয়ে ভূতের মুখোশ বানানো হল। এক দিন রাতে গলায় লাল টর্চ বেঁধে, মুখে মুখোশ সেঁটে এক হাত লম্বা জিভ বের করে রামচন্দ্রণের গালে চাঁটি মারা হল। ঘুম ভেঙে সামনে ওই মূর্তি দেখে তো রামচন্দ্রণের হয়ে গেল। পর দিন তুমুল জ্বর । শুটিং বন্ধ।আমার যে কী পরিমাণ দুষ্টু বুদ্ধি ছিল, কেউ আঁচ করতে পারত না। ‘রেশমা ঔর শেরা’তে ভিলেনের ভূমিকায় অভিনয় করেছিলেন কে এন সিং। ওর জন্য বিয়ারের বোতল আসত। ঠান্ডা করার জন্য কে এন সিং বোতলগুলো বালিতে পুঁতে রাখত। আমরা ওখান থেকে বোতল বের করে অন্য জায়গায় পুঁতে রাখতাম। শুটিং থেকে ফিরে এসে কে এন সিং বালি খুঁড়ত আর কিছুতেই বোতল খুঁজে পেত না।
আউটডোরে যাওয়ার সময় একটা বড় বাসে সব্বাই একসঙ্গে যেতাম। বাসেই দু’দলে ভাগ হয়ে অন্ত্যাক্ষরী খেলা হত। ‘কভি কভি’র শুটিংয়ের জন্য বাসে মাইসোর যাচ্ছি। গানের লড়াই চলছে। যশ চোপড়া সব গানই একই সুরে গাইতেন। আমরা বলতাম ইউনিভার্সাল টিউন। আমার চল্লিশ বছরের সঙ্গী খতিজা। আমার চুল বেঁধে দেয়। আমাদের দুই জনের অনেক পুরনো গানের স্টক ছিল। আর যে সব শব্দ দিয়ে কম গান হয়, সে রকম কিছু শব্দ দিয়ে ওদের বেঁধে ফেলতাম। ওরা গান খুঁজে পেত না। অমিতাভ তো এক বার দারুণ খাপ্পা। রেগে গিয়ে বলে, ‘খতিজা আপা, আপনি তো কবর থেকে গান টেনে টেনে আনছেন। খেলব না।’
তাই বলে কাজের সঙ্গে কম্প্রোমাইজ চলত না। ঋষিকেশ মুখোপাধ্যায়ের পরিচালনায় অভিনয় করছি। গানের দৃশ্য। বললাম, ঋষিদা, এত সুন্দর গানের জন্য এটা কী লোকেশন বেছেছেন! ঋষিদা ধমকে বললেন, ‘তোমার কী দরকার?’ বললাম, ওখানে শুকনো গু আছে। যাব না। উনি নিজে গিয়ে হাত দিয়ে তুলে ওটা সরিয়ে দিলেন। সত্যিই শেখার ছিল।
আর এক বার বিজয় আনন্দের পরিচালনায় কাজ করছি। রোজই দোসা, ইডলি। কত দিন আর ও সব খাব! এক দিন প্রচণ্ড রেগে গিয়ে না খেয়ে বসে আছি। শুটিংয়েও যাব না। বিজয় আনন্দ সব শুনে বললেন, ‘কাল থেকে সবার জন্য ডাল, ভাত হবে। কিন্তু শুটিং বন্ধ হবে না।’ বুঝিয়ে দিলেন খাওয়া নয়, কাজটাই আসল। আমিও সুড়সুড় করে করে শুটিংয়ে চলে গেলাম। |
ভাল লাগা
প্রিয় ব্যক্তিত্ব: ছবি বিশ্বাস, ছায়া দেবী, সুচিত্রা সেন
প্রিয় গীতিকার: শৈলেন্দ্র, আনন্দ বকসি, গুলজার
প্রিয় সঙ্গীতকার: সলিল চৌধুরী
প্রিয় খাবার: গন্ধরাজ লেবু মেখে ডাল ভাত, সঙ্গে কাঁচা লঙ্কা
প্রিয় বেড়াবার জায়গা: কেরল |
|
এক রবিবারের কথা মনে আছে, মুম্বই থেকে ৬২ কিলোমিটার দূরে আমাদের একটা ফার্ম হাউস আছে। ছুটির দিনগুলো পরিবারের সবাই মিলে ওখানেই কাটাতাম। চার দিকে পাহাড় আর পাশ দিয়ে বইছে পাতাল গঙ্গা নদী। আমার ছোটবেলার চূর্ণি নদীর মতো। এক রবিবার ফার্ম হাউস থেকে ফিরছি। গাড়িতে বাচ্চারা রয়েছে। হঠাৎ দেখি গাড়ির চাকা খুলে পাহাড়ের দিকে চলে যাচ্ছে। টানেলের ওপর ছিলাম বলে সে যাত্রা রক্ষে পেয়েছিলাম।
এখন রবিবারগুলো ভারী ব্যস্ততায় কাটে। সে-দিনটা আমার মেয়ে আর জামাইয়ের ছুটি থাকে। ওরা আসে। মাঝে মাঝে লং ড্রাইভেও যাওয়া হয়। রবিবার নয়, আমার অবসরের মুহূর্তটি অন্য রকম। সেটা যে কোনও দিনই হতে পারে। হিমশীতল ঘরে সাদা ধবধবে নরম বিছানায় শুয়ে থাকব। মৃদু ল্যাম্প জ্বলবে। আমি এক মনে বই পড়ে যাব। আর আমার গায়ে থাকবে ১০২ ডিগ্রি জ্বর। কেউ বিরক্ত করবে না! |
সাক্ষাৎকার রুমি গঙ্গোপাধ্যায় |
|
|
মুখ খোলার, গল্প করার, গলা ফাটানোর নতুন ঠিকানা চারিদিক থেকে কানে আসা
নানা কথা নিয়ে আমরা শুরু করে দিলাম। এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার ভার আপনাদের |
• কোন বাসস্ট্যান্ডে কোন রবীন্দ্রসঙ্গীত বাজবে, তাই নিয়ে এসএমএস চালাচালি চলছে। আলিমুদ্দিন স্টপে দু’টি চয়েস:
১) আবার যদি ইচ্ছা করো, আবার আসি ফিরে, ২) এই করেছ ভাল নিঠুর হে।
রাহুল। এন্টালি
• মমতার পিছন পিছন বামফ্রন্টী নেতারাও ভূমিকম্পবিধ্বস্ত অঞ্চলে গিয়েছিলেন। অবশ্য এই একটি বিষয়ে তাঁদেরই আগে যাওয়া উচিত ছিল। কারণ, পায়ের তলার মাটি কেঁপে উঠে মাথার ওপর ছাদ ভেঙে পড়ার অভিজ্ঞতা তাঁদের মতন আর কারই বা আছে!
সুন্দর দাস। রমেশ মিত্র রোড
• বাঙালির পুজোর হিট গান: ‘আমার ঘাসফুল, ভালবাসা হয়ে গেছে; তুমি (সিপিএম) যেন ভুল বুঝো না! (‘হার’-এর) মালা গেঁথে রেখেছি, পরাব তোমায়; তুমি যেন ছিঁড়ে ফেলো না’...
বাপী ঘোষাল। ব্যান্ডেল
• ফেডারেশন কাপে অবিচারের শিকার হয়েও ইউনাইটেড স্পোর্টস-এর ফুটবলাররা রেফারিকে ‘আদর’ করে বোঝালেন খেলার মাঠেও ‘দাদাগিরি’র বিরুদ্ধে ‘গাঁধীগিরি’ প্রয়োগ সম্ভব!
গৌরাঙ্গ গোপ। দমদম
• ক্রমশ টি-টোয়েন্টি মাঠে যে ভাবে দর্শক কমে আসছে, মনে হচ্ছে ক্রিকেটকে বেস বল বানানোর মিডিয়া প্রকল্পটি ফ্লপ হতে চলেছে। আসলে সব কিছুতেই গোদা মারের আমেরিকান দর্শন একটি বনেদি খেলার ঘাড়ে চাপিয়ে দিয়ে যে গুরুচণ্ডালী ঘটে গেছে, তাকে বোধ হয় সামলানো যাচ্ছে না।
রতন দাস। মায়াপুর
• পুজো আর এক বার প্রমাণ করল যে, পাবলিক যায় আগে আগে পুলিশ যায় পিছে! এ বার অধিকাংশ পুজোয় প্রায় মহালয়ার দিন উদ্বোধন হয়ে গেছে। পাবলিক চতুর্থী, পঞ্চমী, ষষ্ঠী সব ঠাকুর দেখে ফেলে রিটায়ার্ড হার্ট হয়ে যাচ্ছে। পুলিশের ভিড় সামলানোর প্ল্যান শুরু হচ্ছে সপ্তমী থেকে।
প্রফুল্ল পাল। ঘাটাল
• এ বার পুজোয় সব মেয়েরাই প্রতিদিন বয়ফ্রেন্ড পাল্টেছে। ষষ্ঠীর দিন ষণ্ডামার্কা বাইকবাজ, সপ্তমীর দিন কুল কর্পোরেট, অষ্টমীর দিন পানপরাগ-গাঁট, নবমীর দিন ওপর চালাক প্রোমোটার পুত, আর দশমীর দিন আঁতেল মিডিয়া বক্তিয়ার! আর লক্ষ্মীপুজোর দিন এন আর আই পাত্র দেখতে আসছে।
শেফালি সেন। মহাবীরতলা
• কালীপুজোর আগে কেটো না, প্লিজ!
পামেলা। দমদম |
|
|
|
প্রথম দু’দিন ফুলিশ হয়েও সামলে নিল পুলিশ।
তুই তবুও সব গুলিয়ে কর্তব্য ভুলিস।
ঠিক দুক্কুর বারো!
নামল ওরা রাস্তা জুড়ে, সংখ্যা বেশি আরও।
তুই তবুও ঠুঁটো!
ভাত ঘুমটি ঘুমিয়ে নিয়ে ট্র্যাকে নামতে দুটো।
পুজোয় ডাহা ফেল,
ঘুঁটের মালা কণ্ঠে ছুটুক মেট্রো রেল |
|
|
|
প্রতিভা বিশ্বাস |
আমি পঞ্চান্ন। ডাকনাম বুড়ি। ছোটবেলা থেকেই এঁচোড়ে পাকা। কো-এড স্কুল। ও বসত আমার মুখোমুখি কোনার বেঞ্চিতে। নাম কালাচাঁদ মুর্মু। ভালবাসার কথা লিখতাম পাতা ভরে। টিফিন আওয়ারে দিয়ে দিতাম ওর হাতে। ও পড়ত। কিছু বলত না। লিখতও না। আমি ওর না বলা ব্যথাটা চোখ দিয়ে গিলতাম। ও লজ্জা পেত। ক’মাস আমার উৎপাতে স্কুল কামাইও করল। তাতে কী? ওর টেনেটুনে পাশের কী-ই বা দাম? আমি অবস্থাবান বাবার একমাত্র মেয়ে। পড়াশোনাতেও প্রথম। সত্যি কথা, প্রেম করতে আমার কোনও পড়াশোনার ক্ষতি হত না। ও আবার এক দিন স্কুলে ফিরল। পর পর দু’বার পাশও করল। কিন্তু তৃতীয় বার একেবারে চোথা সমেত ধরা পড়ল। ড্যাবা চোখের ক্যাবলা ছেলেটাকে দেখে আমার আরও মায়া হল। ওকে সাত পাক স্কুল ঘুরিয়ে বিদায় দিয়ে ছাড়লেন আমাদের হেড স্যর।
ব্যস, আর কী! আমার কপাল পুড়ল। খাওয়া, ঘুমের খোরাক কমল। এনিমিয়ায় পড়লাম। আমি নিয়মিতই চিঠি লিখতাম। ব্যাগে ভরতাম লুকিয়ে। চব্বিশখানা চিঠি লিখতে পেরেছিলাম। তার পর যখন আমায় নার্সিংহোম নিয়ে যাচ্ছিল, ও নাকি ভাঙা সাইকেল নিয়ে ছুটছিল পেছন পেছন। প্রাণপণে। সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরছি যখন, ও নাকি তখন ওর বাবার শবদেহ নিয়ে যাচ্ছিল সৎকারে।
এক দিন কালাচাঁদ দশ পাতার একটা চিঠি লিখেছিল আমায়। ওর নিদারুণ অভাবের কথা। নিচু জাতের কথা। আরও কত কী। আমি তবু ওর পিছু ছাড়িনি। কিন্তু বিয়ে করিনি। এক দিন রাতে আমাকে বাড়িতে দিব্যি করানো হয়েছিল। বাবা-মা বেঁচে থাকাকালীন বিয়ে করব না। মরে গেলে, চুলোয় যাই যাব। কেউ দেখতে আসবে না।
আজ বার্ধক্যের দোরগোড়ায় পৌঁছেছি। একটা চাকরি পেয়েছি। বাবার সম্পত্তি এখন একটা আশ্রমে। গ্রামে ছোট্ট একটা বাড়ি করেছি। চুলে পাক ধরেছে। গত বছর আমার বাবা স্বর্গে গেছেন। মা আগেই। আমরা চুয়ান্ন বছর বয়সে বিয়ে করেছি। এক বছরের দাম্পত্য জীবন। ভবিষ্যৎ জীবন ঈশ্বরের উপর। |
|
|
ইয়া দেবী ব্র্যান্ডেশ্বরী স্পনসর-বাহিনী মার্কেট-মাতা,
কমাও দামং, কমাও দামং, কমাও দামং, প্লিজ প্লিজ! ঋভু দত্ত, বালি |
|
|
|
ক্ষমা চাইছি |
|
শীতের দুপুরে বসেছিলাম উঠোনে। হঠাৎ দৃষ্টি পড়ল একটি মা কুকুরের দিকে। দেখলাম কুকুরটি গেটের এক পাশ দিয়ে ঢুকছে। ওকে ঢুকতে না দেওয়ার জন্য সম্ভাব্য চেষ্টা করলাম আওয়াজ ও ভঙ্গিমায়। ক্ষণিকের জন্য ও থমকাল বটে কিন্তু আমাকে উপেক্ষা করে উঠোন দিয়ে সীমানার দেওয়ালের ওপর দিয়ে কোথায় যেন চলে গেল। যখন নিজের পরাজয়ে চিন্তামগ্ন, ঠিক ওই পথেই কুকুরটিকে আবার ফিরতে দেখলাম এক নতুন ভাবে। এ বার সে আমাকে বিকৃত মুখভঙ্গিমায় মৃদু প্রতিবাদ করতে করতে চলে গেল। কুকুরটির এই প্রতিবাদ আমার বোধগম্য হল না। ক’দিন পরে জানতে পারলাম ওই কুকুরটির চারটে ছানা ছিল দেওয়ালের ওপাশে। এ বার ওর ওই প্রতিবাদের কারণ আমার কাছে পরিষ্কার হল। মাকে তার সন্তানের সঙ্গে দেখা করতে না দেওয়ার অপচেষ্টা ওর পছন্দ হয়নি। নিজের অজান্তে ঘটানো এই অপরাধ আজও আমাকে ব্যথা দেয়, তাই নিজেকে ক্ষমা করতে পারিনি।
মহীতোষ দেব, কলকাতা-৯০ |
|
মুখ খোলার, গল্প করার, গলা ফাটানোর
নতুন বিভাগ। চারিদিক থেকে কানে আসা
নানা কথা নিয়ে আমরা শুরু করে দিলাম।
এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার ভার আপনাদের। ই মেল-এ অথবা ডাকে, চিঠি পাঠান। ই-মেল: chirkut.rabi@abp.in
চিঠি: চিরকুট, রবিবাসরীয়,
আনন্দবাজার পত্রিকা,
৬ প্রফুল্ল সরকার স্ট্রিট,
কলকাতা ৭০০০০১ |
নিজের বা আশেপাশের মানুষের জীবন
থেকে কুড়িয়ে পাওয়া ভালবাসার বাস্তব
কাহিনি আমাদের পাঠান, যে কাহিনি এই
কঠিন সময়েও ভরসা জোগাতে পারে।
২৫০ শব্দের মধ্যে লিখুন।
চিঠি পাঠান এই ঠিকানায়:
যদিদং, রবিবাসরীয়,
আনন্দবাজার পত্রিকা,
৬ প্রফুল্ল সরকার স্ট্রিট,
কলকাতা ৭০০০০১ |
|
|
|
|
|
|